কত টাকায় বিক্রি হলো মাইকেল জ্যাকসনের ব্যবহৃত মোজা

প্রয়াত পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের ব্যবহৃত এক জোড়া মোজা নিমালে বিক্রি হয়েছে। ফরাসি নিলামকারী অরোর ইলি বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এই মোজা ১৯৯৭ সালে ফ্রান্সে একটি কনসার্টে পরেছিলেন মাইকেল জ্যাকসন।
অরোর ইলি জানান, ১৯৯৭ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাইমস-এ কনসার্টের পরে জ্যাকসনের ড্রেসিং রুমের কাছে একজন টেকনিশিয়ান ব্যবহৃত মোজাটি ফেলে দেয়া অবস্থায় পেয়েছিলেন। বিক্রয়ের জন্য রাখার আগে এটি ২৮ বছর ধরে একটি ফ্রেমে সংরক্ষিত ছিল।
১৯৯৭ সালে তার হিস্টোরি ওয়ার্ল্ড ট্যুরের সময় স্ব-শৈলীর ‘কিং অফ পপ’ সাদা অ্যাথলেটিক মোজা পরেছিলেন। নিলামে এটি প্রায় ৮ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ লাখ টাকা।
এছাড়া জ্যাকসনকে তার হিট বিলি জিন পরিবেশনার ক্লিপগুলোতেও মোজাজোড়া পরতে দেখা যায়।
সূত্রের খবর, অনেক দিন ধরেই এই চকচকে মোজায় খানিকটা হলুদ ভাব দেখা যাচ্ছিল। তাই খুব বেশি নষ্ট হওয়ার আগেই নিলামের সিদ্ধান্ত। নিলামকারীরা আশা করেছিলেন, হয়তো এটি তিন থেকে চার হাজার ডলারের মধ্যে বিক্রি হবে। অনুরাগীদের ভালোবাসায় এটি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। মোজাটি প্রায় ৮ হাজার ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পপসম্রাটের জীবন অবলম্বনে হলিউডে তৈরি হচ্ছে বায়োপিক। ছবির নাম ‘মাইকেল’। মাইকেল জ্যাকসন কীভাবে বিশ্বের কাছে নিজেকে ‘পপ কিং’ হিসেবে তুলে ধরলেন, এই বিশাল যাত্রায় কতটা কষ্ট করেছিলেন তিনি, কীভাবে সারা বিশ্বে নিজের প্রভাব বিস্তার করেছিলেন– সেসব কিছু দেখানো হবে এ সিনেমার মাধ্যমে। ২০২৬ সালের ২৪ এপ্রিল সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকার মেয়র হতে চান হিরো আলম

সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম ফের আলোচনায় এসেছেন। রাজনীতিতে সক্রিয় তিনি। বেশ কয়েকবার জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তবে আলোচনা-সমালোচনার তোয়াক্কা না করে আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
এবার মেয়র পদে নির্বাচনের কথা ভাবছেন হিরো আলম। ঢাকা দক্ষিণ সিটির হয়ে মেয়র পদে নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন হিরো আলম।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন। বিএনপির এ নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচন কতটা কঠিন তা জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, কোনো নির্বাচনই সহজ নয়। আমি আমার মতো কাজ করে যাচ্ছি। তবে সব কিছুই নির্ভর করে জনগণের ওপর।
তিনি বলেন, যদি জনগণ চায় তাহলে জাতীয় নির্বাচনেও অংশ নেব। আপাতত মেয়র নির্বাচন নিয়েই ভাবছি। অনেকে ফোন দিচ্ছেন, উৎসাহ দিচ্ছেন। আলোচনা চলছে। আমি মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ চাই বলে জানান হিরো আলম।
এর আগে ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনকে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে বগুড়া-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান বিজয়ী হন।
এ ছাড়া ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ভোটগ্রহণের দিন তার ওপর হামলা হয়। পরে তিনি ভোট বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেন।
নায়িকা হতে গেলে ক্লিভেজ দরকার, অভিনেত্রীকে পরিচালকের সার্জারির পরামর্শ!

বর্তমানে টলিউডে ‘দেখতে সুন্দর’ হওয়ার চাপ এতটাই বেড়েছে যে, রূপ-সৌন্দর্য ধরে রাখতে বহু অভিনেত্রী বেছে নিচ্ছেন প্লাস্টিক সার্জারি, লিপ ফিলার, নোস জব, এমনকি শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি।
কারণ, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাংশের দাবি, এসব না করালে ‘নায়িকা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। এবার এই বিষয়েই মুখ খুললেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে শোলাঙ্কি জানিয়েছেন, তিনি কখনও নিজের মুখে কোনও ইনজেকশন নেননি, কোনও রকম কসমেটিক সার্জারির পথেও হাঁটেননি। আর এই ‘স্বাভাবিকত্ব’-এর জন্যই তাকে বহুবার কটু কথা শুনতে হয়েছে।
শোলাঙ্কির কথায়, ‘অনেকেই বলেন আমার মুখ টিভির তুলনায় সিনেমায় দেখতে খারাপ লাগে। আসলে মুখে তো কখনও কিছু করাইনি, ইনজেকশন নিইনি। তাই হয়তো!’
এখানেই থামেননি অভিনেত্রী। জানালেন, তিনি যেহেতু চিরকালই রোগা, তা নিয়েও নানা কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাকে। এতটাই যে এক সময় আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে যায়। পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যাওয়া বন্ধ করে দেন। ‘অনুষ্ঠানে গেলেই অনেকে জিজ্ঞেস করতেন আমি এত রোগা হয়ে গেছি কেন। যেন এটা কোনও নতুন ব্যাপার! আমি তো ছোটবেলা থেকেই এমন,’ বললেন শোলাঙ্কি।
তবে সবচেয়ে অপমানজনক অভিজ্ঞতার কথাও এদিন অকপটে শেয়ার করেন তিনি। একবার এক পরিচালক তাঁকে সরাসরি পরামর্শ দেন ব্রেস্ট সার্জারির।
শোলাঙ্কির ভাষায়, ‘তিনি বলেছিলেন, ‘নায়িকা হতে গেলে একটু ক্লিভেজ থাকা দরকার’। এই কথাটা শুনে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যদিও আমি যথেষ্ট ম্যাচিওর ছিলাম, তাই কথাটা এড়িয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম। কিন্তু ভাবুন তো, এই কথাটা যদি কোনও নতুন বা কম বয়সি মেয়ে শুনত! কতটা ভেঙে পড়ত সে।’
শোলাঙ্কি আরও বলেন, ‘আজও সেই ঘটনা মাথায় গেঁথে আছে। প্রভাব তো ফেলেছিলই, না হলে এতদিন পরেও এটা নিয়ে বলতাম না। বাইরে থেকে শুনলেই একরকম লাগে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে কী যন্ত্রণা হয়, সেটা শুধু মেয়েরাই বোঝে।’
অভিনেত্রীর এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, গ্ল্যামার দুনিয়ার আড়ালে কতটা নিষ্ঠুর এক মানসিক চাপ কাজ করে প্রতিটি তারকার পরে। সাহস করে সেই রূঢ় বাস্তবের মুখোশ খুলে দিলেন শোলাঙ্কি রায়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা জন্ম নিয়ন্ত্রণে: জয়

সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। বিভিন্ন বিষয়ে মত প্রকাশ করে থাকেন। এবার তিনি মনে করছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা জন্ম নিয়ন্ত্রণে।
নিজের ফেসবুকে জয় লিখেছেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা জন্ম নিয়ন্ত্রণে। এত মানুষ।এজন্যই সব কিছুই বেশি বেশি। বেশিরভাগই জনশক্তিতে পরিণত না হইয়া যেন বোঝায় পরিণত হয়ে আছে। কথা বেশি। প্রয়োজন বেশি। লোভ বেশি। হিংসা বেশি। বিভক্তি বেশি। অভাব বেশি। দুর্নীতি বেশি। হিংস্রতা বেশি। প্রতিশোধ বেশি রাজনীতি বেশি। এত বেশির ভেতর সবচেয়ে কম হচ্ছে মনুষত্ব এবং নমনীয়তা।
ফেসবুকে আবেগী স্ট্যাটাস, ‘বিদায়’ বললেন জয়জয়ের পোস্টের সঙ্গে অনেকে সহমত প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, শতভাগ সত্য কথা। কারও কথায়, একদম বাস্তব কথা বলেছেন। কেউ কেউ নেতিবাচক মন্তব্যও করেছেন। সেসবেরও জবাব দিয়েছেন জয়।
পট পরিবর্তনের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোণঠাসা জয়। নিয়মিত নেটাগরিকদের কটাক্ষ হজম করতে হয়। তবে সেসব নিজের মতো করে মোকাবেলা করেন তিনি।
মারা গেছেন চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে সঙ্গীতশিল্পী রাতুল

প্রয়াত চিত্রনায়ক জসিমের ছেলে ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ওইনডের ভোকালিস্ট ও ফ্রন্টম্যান এ কে রাতুল মারা গেছেন।
আজ (শনিবার) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর একটি জিমে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সেখান থেকে তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিক কমিউনিটি ও দৃক ব্যান্ডের পক্ষ থেকে দেওয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এছাড়া রাতুলের মৃত্যুর খবর জানিয়ে তার সহশিল্পীরাও একের পর এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। গায়কের এমন অকালমৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।
উল্লেখ্য, এ কে রাতুল ছিলেন বাংলাদেশের আন্ডারগ্রাউন্ড রক সংগীতজগতের এক উজ্জ্বল নাম। ২০১৪ সালে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘1’ এবং ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘2’ মুক্তি পায়। দুই অ্যালবামই শ্রোতাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, বিশেষ করে রতুলের কণ্ঠশক্তির জন্য।
শুধু গায়ক হিসেবেই নয়, এ কে রতুল ছিলেন এক অসাধারণ প্রযোজকও। দেশের রক সংগীতের নানা ব্যান্ডের জন্য তিনি তৈরি করেছেন একাধিক হিট অ্যালবাম। তার আকস্মিক মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত, নায়ক জসীমের তিন ছেললের একজন এ কে রাতুল। বাবার পথ ধরে অভিনয়ে নাম লেখাননি তারা, কাজ করেছেন সংগীতজগতে। তিনজনই যুক্ত ব্যান্ডের সঙ্গে।
এর মধ্যে রাহুল ‘ট্রেনরেক’ ব্যান্ডের গিটারিস্ট ও ‘পরাহো’ ব্যান্ডের ড্রামার, রাতুল ও সামী যুক্ত ছিলেন ‘ওইনড’ ব্যান্ডের সঙ্গে। রাতুল ওইনডের ভোকালিস্ট ও বেজিস্ট, সামী ড্রামার।
মন্তব্য