ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

কীসের অপারেশন সিঁদুর, মুখ দিয়ে খারাপ কথা বের হবে : কবীর সুমন

অনলাইন ডেস্ক
৭ মে, ২০২৫ ১৮:২৬
অনলাইন ডেস্ক
কীসের অপারেশন সিঁদুর, মুখ দিয়ে খারাপ কথা বের হবে : কবীর সুমন

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে ২৬ জন নিরীহ পর্যটককে হত্যা করেছিল সন্ত্রাসীরা। সেই সন্ত্রাসবাদের জবাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করছে ভারত। এরইমধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। 

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন বাংলা গানের জনপ্রিয় গায়ক, সঙ্গীত পরিচালক কবীর সুমন। তিনি বললেন, ‘আমি সম্পূর্ণ যুদ্ধের বিরুদ্ধে। সে যুদ্ধ যেই করুক, যারাই করুক, যেভাবেই করুক, আমি যুদ্ধ বিরোধী ব্যক্তি। আমি তো লিখেছিলাম আমার গানে গানে এই যুদ্ধ বন্ধের কথা। সেই গান আজ সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের মনে পড়বে।’

কবীর সুমন আরও বলেন, ‘এই দেশ যখন ভাগ হয়েছিল আমার অনুমতি নিয়েছিল কেউ? দেশের কোনও মানুষের অনুমতি নিয়েছিল কেউ? দেশের নেতারা কোনও জনগনের অনুমতি নিয়েছিল? আমি উপমহাদেশের নাগরিক! কীসের ভিত্তিতে আমার দেশ ভাগ হয়েছিল? আমি ১৯৪৯ সালে জন্মেছিলাম। আমি কোথায় জন্মালাম? তখন তো আমার কোন ব্যক্তিগত পছন্দ ছিল না! আমি তখন থেকেই সব জিনিস সন্দেহের চোখে দেখি। দেশপ্রেম আমার কাছে একটা বুজরুকি। সেখানে মানবপ্রেম নেই। মানুষের জন্য প্রেম নেই, প্রাণীদের জন্য প্রেম নেই।’

যুদ্ধ একেবারেই কাম্য নয়। আজকের সকালে খুব ব্যথিত হয়ে জানাচ্ছেন কবীর সুমন। তিনি আরও বললেন, ‘একবার ভেবে দেখুন, একটা যুদ্ধ হচ্ছে অস্ত্র চালাচ্ছি আমরা, অথচ কতগুলো প্রাণ হারাচ্ছে যারা এই পৃথিবীর কোনও ক্ষতি করেনি। কতগুলো গাছ পুড়ে যাচ্ছে, গাছ ধ্বংস নিয়ে কোনও নেতার কোন মাথাব্যথা নেই। আর যারা দেশপ্রেম দেখাচ্ছেন, তারা এই গাছেদের পুড়ে যাওয়া, গাছের সঙ্গে কত নিরীহ পাখি, পোকামাকড় মারা যাওয়া নিয়ে কিছু বলছেন না। পানি বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে কারও হেলদোল নেই।’

“সিঁদুর দেখাচ্ছে? কীসের ‘অপারেশন সিঁদুর’! আর বেশি বলতে চাই না। আমার মুখ দিয়ে এবার বললে খারাপ খারাপ কথা বের হবে! আমি ৭৭ বছরের বৃদ্ধ। আমি সম্পূর্ণ ভাবে এই 'দেশপ্রেমের' বিরুদ্ধে এবং এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে।” 

শেষ কথা এটাই বলি, ‘যে ধর্মের নামে যুদ্ধ হয় আমি সেই ধর্মকে স্বীকার করি না। সেই ধর্মকে আমি ধিক্কার জানাই। যে মতবাদ যুদ্ধ ঘটায় তাকে আমি ধিক্কার জানাই।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘ছোট পোশাক দেশে পরি না, বিদেশে পরি: মিম

বিনোদন ডেস্ক
৬ মে, ২০২৫ ১৫:২৪
বিনোদন ডেস্ক
‘ছোট পোশাক দেশে পরি না, বিদেশে পরি: মিম
মডেল মারিয়া মিম। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিম। ২০১২ সালে অভিনেতা সিদ্দিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ২০১৩ সালে এই সংসার আলো করে জন্ম নেয় এ দম্পতির প্রথম সন্তান আরশ হোসেন। ভালোবেসে সিদ্দিককে বিয়ে করলেও ২০১৯ সালের শেষের দিকে ডিভোর্স হয় তাদের। এরপর থেকেই সিঙ্গেল এই মডেল ও অভিনেত্রী। 

সিদ্দিকের সঙ্গে ডিভোর্সের পর নিজেকে খোলামেলা রূপে উপস্থাপন করে আসছেন মারিয়া মিম। সোশ্যাল অ্যাকাউন্টগুলোতে নিয়মিত আবেদনময়ী ছবি শেয়ার করেন তিনি। এ নিয়ে নিন্দাও সহ্য করতে হয় তাকে। তবে মারিয়া নিজের ইচ্ছেমতোই চলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

সম্প্রতি সেলিব্রেটিদের নিয়ে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে অংশ নিয়েছেন এই মডেল। সেখানেই গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন, ওয়েস্টার্ন পোশাক পরতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি। 

মারিয়া মিম বলেন, ‘আমার পোশাক নিয়ে সমালোচনা শুনতে হয়। কিন্তু আমি তো দেশে ছোট পোশাক পরি না, বিদেশে পরি। কারণ আমি বেড়ে উঠেছি বার্সেলোনায়। সে কারণে ওয়েস্টার্ন পোশাক পছন্দ করি। এ ধরণের পোশাকে আমাকে ভালোও লাগে।’

এই মডেল বলেন, ‘বলিউডের কেউ ছোট পোশাক পরলে তখন প্রশংসা করা হয়, কিন্তু আমরা ছোট পোশাক পরলে সেটা ভালো লাগছে না। আমি মনে করি, মানুষের মেন্টালিটি পরিবর্তন করা উচিত। কারণ মিডিয়াতে কাজ করতে হলে তো গ্ল্যামারাস থাকতে হবে, সুন্দর ড্রেস পরতে হবে।’

ছোট পোশাক তারাই পরবে যাদের মানায়, সুন্দর লাগবে। যারা ফিট না, তারা যদি ছোট পোশাক পরে বা ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরে সেটা দেখতে খারাপ লাগবে— যোগ করেন মারিয়া মিম। 

এসময় প্রাক্তন স্বামী অভিনেতা সিদ্দিকুরের বিষয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েন অভিনেত্রী। তবে সিদ্দিককে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। 

কেবল বলেছেন, ‘তার সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হয়েছে ৬-৭ বছর আগে। সে তো আমার স্বামী নন, তাই এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।’

মন্তব্য

স্বস্তিকার সঙ্গে ব্রেকআপটা আমিই করেছিলাম : পরমব্রত

অনলাইন ডেস্ক
৪ মে, ২০২৫ ১৭:১৯
অনলাইন ডেস্ক
স্বস্তিকার সঙ্গে ব্রেকআপটা আমিই করেছিলাম : পরমব্রত

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের প্রেম নিয়ে কোনোদিনই সেভাবে ছিল না রাখঢাক। এমনকী বিচ্ছেদের পরেও, একে-অপরকে নিয়ে কথা বলতে দ্বিধা করেন না।

বিচ্ছেদের পর, এখন স্বস্তিকার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক পরমব্রতের? একসঙ্গে কাজ করতে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তারা? কেন সম্পর্ক ভাঙনের পথই বেছে নিয়েছিলেন দুজন?

২০০৮-০৯ সাল নাগাদ প্রেম করেছেন স্বস্তিকা আর পরমব্রত। তখন সদ্য জিতের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙেছে অভিনেত্রীর। দুজনের প্রেমটা ছিল প্রায় বছর দুয়েক। 

ততদিনে মা হয়েছেন অভিনেত্রী। দাম্পত্য ভেঙে বেরিয়ে এলেও, চলছে ডিভোর্সের মামলা। সেই কঠিন সময়তেই পাশে পেয়েছিলেন পরমব্রতকে।

সম্প্রতি স্ট্রেট আপ উইথ শ্রীতে পরমব্রত জানান, ব্রেকআপ করার সিদ্ধান্ত ছিল তারই। অভিনেতা বলেন, ‘আমাদের প্রায়শই দেখা হয়। কথা হয়। দুইটা বছর একসঙ্গে ছিলাম। সেই দুই বছরের মধ্যে একটা বড় সময় এমন ছিল, যেটা খুব সুন্দর ছিল। সেটাকে আমি সারাজীবন সুন্দর স্মৃতি হিসেবে মনে রেখে দেব। আরেকটা যেটা ছিল, সেটা খুব অশান্ত। আমার বলতে কোনো বাধা নেই, একটা সময়ে এসে আমি নিজেই সম্পর্কটা ভেঙেছি।’

এর পরপরই সিনেমা নিয়ে পড়াশোনার জন্য পরমব্রত চলে যান বিদেশ। তারপর যখন ফেরত আসেন, ততদিনে অনেকটাই ভরে গেছে ক্ষত। কিন্তু প্রথমদিকে প্রাক্তন প্রেমিকার মুখোমুখি হলে একটু ঘাবড়ে যেতেন। তবে ধীরে ধীরে, সেই দ্বিধাও কেটেছে।

পরমব্রতকে বলতে শোনা গেল, ‘সেই সময়ের আমি আর আজকের আমির মধ্যে অনেকটা পার্থক্য আছে। সেই সময় (বিচ্ছেদের পরপর) ওর সঙ্গে কথা বলতে অস্বস্তি হত, অ্যাংজাইটি কাজ করত। তবে এখন আর তেমনটা হয় না।’

প্রাক্তন প্রেমিকা এখন অনেক বদলে গেছেন জানিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘স্বস্তিকারও মানুষ হিসেবে অনেক বিবর্তন ঘটেছে। আমি যে স্বস্তিকাকে চিনতাম, যখন আমরা একসঙ্গে ছিলাম, সেই স্বস্তিকা আর এই স্বস্তিকার মধ্যে অনেকটা ফারাক। সেটা আমি দেখতে পাই। ওর কথা শুনলে বুঝতে পারি। যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলে, আমরা যখন একসঙ্গে ছিলাম, আজ থেকে ১৬ বছর আগে, তখন এসব ভাবতেও পারতাম না।’

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় যদিও বা এখন থিতু হয়েছেন। পিয়া চক্রর্তীর সঙ্গে বেঁধেছেন ঘর। জুন মাসে আসবে তার প্রথম সন্তান। তবে ‘সিঙ্গেল’ স্বস্তিকার আরও দু-একট প্রেম হলেও, সেভাবে স্থায়ী হয়নি কোনোটাই। এমনকী সেই ২০০০ সালে শুরু হওয়া ডিভোর্স মামলারও নিষ্পত্তি হয়নি। এখনও তিনি আইনত প্রমিত সেনের স্ত্রী।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ‘আমরা গর্বিত— আমাদের একজন খালেদা জিয়া আছেন’

    বিনোদন ডেস্ক
    ৩ মে, ২০২৫ ১১:১০
    বিনোদন ডেস্ক
    ‘আমরা গর্বিত— আমাদের একজন খালেদা জিয়া আছেন’

    বিনোদন জগতের সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।  খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার আগমুহূর্তে সংগীতযুবরাজের এই স্ট্যাটাসটি ভক্তদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। শনিবার সকাল ৮টার দিকে ফেসবুকে দেওয়ার স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

    ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ফিরছেন আপন ঠিকানায়। কাতার সরকারের পাঠানো রাজকীয় বিমানে চিকিৎসা নিতে লন্ডন গিয়েছিলেন, ফিরবেন ৫ মে ইনশাআল্লাহ। বেগম জিয়ার জন্য বর্তমান ইন্টেরিম সরকার স্পেশাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন, সরকারকে ধন্যবাদ।

    হিথ্রোর মতো ব্যয়বহুল এয়ারপোর্টে সরকারি টাকার মচ্ছব এড়ানোর জন্য তিনি বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলাদেশ বিমানের এই ফ্লাইটটি সিলেট হয়ে ঢাকা আসে। ম্যাডামের জন্য বিমান কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল ফ্লাইটটি যেন সরাসরি ঢাকা আসে, পরে সিলেট যাবে। তিনি বিমানের নিয়মিত রুটের নিয়ম ভাঙতে চাননি, বাকি সাধারণের মতো সিলেট হয়েই ফিরবেন আপন আলয়ে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমানকেও ধন্যবাদ জানাই ম্যাডামকে যথাযথ সম্মান জানানোর জন্য। 

    তিনি বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূর্তপ্রতীক। সারাটা জীবন দেশের জন্যই ভেবে গেলেন, কষ্ট করলেন, অত্যাচারিত হলেন। তিনি বলেন, আমরা গর্বিত— আমাদের একজন বেগম খালেদা জিয়া আছেন, যিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। বাংলাদেশ আপনার অপেক্ষায়, আপনার সুস্থতা আর দীর্ঘায়ু কামনা করি ম্যাডাম। 

    ম্যাডামের আগমন উপলক্ষ্যে এয়ারপোর্টে গিয়ে হাঙ্গামা না করলেই ভালো। রাস্তা বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার সিদ্ধান্ত হবে আরও মহত্তর’। 

    মন্তব্য

    পেহেলগাম হামলা নিয়ে ক্ষোভ

    পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করলেন অক্ষয় কুমার

    বিনোদন ডেস্ক
    ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ২০:৭
    বিনোদন ডেস্ক
    পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করলেন অক্ষয় কুমার
    বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার

    পেহেলগাম কাণ্ড নিয়ে আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন। এবার সরাসরি পাকিস্তানকে কটূ ভাষায় আক্রমণ করলেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার।

    বর্তমানে ভারতের প্রেক্ষাগৃহে চলছে দেশাত্মবোধক ছবি ‘কেসরী চ্যাপ্টার ২’। সেই ছবির প্রদর্শনে শনিবার হঠাৎ এক প্রেক্ষাগৃহে হাজির হন অক্ষয়। ছবি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। 
    সেখানেই সিনেমা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উঠে আসে পেহেলগাম প্রসঙ্গ। যেখানে প্রকাশ্যেই পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন অক্ষয়। 

    অভিনেতা দর্শকদের বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের মনে আবার ক্ষোভ জেগে উঠেছে। আপনারা সবাই বুঝতেই পারছেন, আমি কার কথা বলছি।”

    ‘কেসরী ২’-তে শত্রুদের ইংরেজি ‘ফ’ অক্ষরের গালি দিয়েছেন অক্ষয়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সেই একই শব্দ ব্যবহার করতে চান বলে জানান তিনি। অভিনেতা বলেন, “ওই জঙ্গিদের একটাই কথা বলতে চাই, যা আমি এই ছবিতে বলেছি।”

    মন্তব্য
    সর্বশেষ সংবাদ
      সর্বাধিক পঠিত