মনে করেন আমরা যুদ্ধে আছি : ফারুকী

টানা বৃষ্টি এবং ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখছে বাংলাদেশ। এতে দেশের ৯ জেলার কয়েক লাখ মানুষের জীবন বিপর্যয়ের মুখে। সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসছে আটকে পড়াদের আর্তনাদ; জীবন বাঁচাতে আকুতি জানাচ্ছেন তারা।
এর মধ্যে বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে ফেনী। এই জেলার তিনটি উপজেলার সঙ্গে ইতোমধ্যেই সকল ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে।
এমন অবস্থায় সরব রয়েছে দেশের তারকামহল। তারা নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একের পর এক জনসচেতনতামূলক পোস্ট শেয়ার করে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। দেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে বিভিন্ন ধরনের সতর্কবার্তা এবং দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য ছুঁড়ে দিচ্ছেন তিনি; সকলকে এক হয়ে এই দুর্যোগ মোকাবেলায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে ফারুকী লেখেন, ‘মনে করেন আমরা যুদ্ধে আছি। তাহলে কি করতাম? সবাই মিলে ঝাঁপাইয়া পড়তাম। তাহলে চলেন এখনও তাই করি। নৌ সেনা, বিমান বাহিনীর ভাই-বোনেরা, লেটস স্টেপ আপ! রেসকিউ বোট-কার্গো বিমান যা কিছু আছে তা নিয়ে দ্রুত উদ্ধারের গতি বাড়াই চলেন। কথা বলে যা জানলাম, মানুষের এই মুহূর্তে প্রয়োজন রেসকিউ বোট; লাখো মানুষ উদ্ধার করা একটা হারকুলিয়ান টাস্ক। বাট লেটস ডু ইট। দুর্গত এলাকার কাছে-দূরে যেখানে যত স্পিডবোট, ইঞ্জিন নৌকা আছে, সেগুলা নিয়া ঝাঁপাইয়া পড়ি চলেন। কিন্তু লাইফ জ্যাকেট না নিয়ে কেউ যাবেন না দয়া করে।’
সবশেষ ফারুকী লেখেন, ‘বিপদ আমাদের কেবল একতাবদ্ধই করবে। নো ওয়ান ক্যান ব্রেক আস।’
এর আগে বুধবার ফারুকী সামাজিক মাধ্যমে ১৯৮৮ সালের বন্যার ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেন। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি মানুষের একতা। সেই আটাশির বন্যা থেকে দেখে আসছি। বিপদে আমরা একে অন্যের পাশেই থাকি। জুলাই বিপ্লবের আগে এবং পরেও আমরা দেখিয়েছি। লেটস ডু ইট অ্যাগেইন। লেটস ফোকাস অন ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি। লেটস ওয়ার্ক টুগেদার।’
এদিকে এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে বন্যায় দেশের ৬ জেলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৪৮ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ফেনীতে পানিতে ডুবে একজন মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত এ পরিস্থিতি নিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীর পানি বাড়ছে। এতে মঙ্গলবার থেকে ৬ জেলায় মোট এক লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৩টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৪৮ জন।
ভারতকে জামাই আদর দিব আমরা: সালমান মুক্তাদির

ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ায় দেশের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও মৌলভীবাজারসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে।
ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ায় ভয়াবহ বন্যার কবলে বাংলাদেশ। এতে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও মৌলভীবাজারসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষের জীবন বিপর্যয়ের মুখে। যেসব অঞ্চল এখনও পানির নিচে তলিয়ে যায়নি, সেসব অঞ্চলও ডুবে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এমন অবস্থায় বাংলাদেশে আবারও ভারতবিরোধী স্লোগান উঠেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে আকস্মিক বন্যার জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারতকেই দায়ী করছে। কিন্তু ভারত এ বন্যার দায় এড়িয়ে অতি বৃষ্টি কারণ হিসেবে দেখাচ্ছে।
জনপ্রিয় ইউটিউবার ও অভিনেতা সালমান মুক্তাদির ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচার রুখতে তারকা, কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রতি আহ্বান জানান।
সেই আহ্বানের পর বুধবার বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে রাত তিনটায় ভারত সম্পর্কিত এক ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে হাজির হন সালমান।
যেখানে তিনি লেখেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) ঠিক দুপুর দুইটায় লাইভে এসে ভারতকে একটা গিফট দিব। পুরো বাংলাদেশের সাহায্য লাগবে। জামাই আদর দিব আমরা’।
মুহূর্তের মধ্যে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সালমান মুক্তাদিরের সেই স্ট্যাটাস। তার পোস্টে ২০ হাজারের বেশি মন্তব্য জমা পড়ে মন্তব্যের ঘরে। যার অধিকাংশই ছিল, দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতকে দায়ী করে। এছাড়া বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রতিবেশী দেশটির অপতথ্য প্রচারের প্রতিবাদও জানাতে দেখা গেছে নেটিজেনদের।
তবে সবাই আপাতত অপেক্ষা করছেন সালমান মুক্তাদির ভারতের জন্য কী উপহার নিয়ে হাজির হন সেটা দেখার অপেক্ষায়।
সর্বোচ্চ দিয়ে বন্যার্তদের পাশে থাকার প্রত্যয় পরীমণির

ভয়াবহ বন্যায় অসহায় পড়েছে দেশের ৯টি জেলার বিস্তীর্ণ জনপদের কয়েক লাখ মানুষ। বুধবার রাত থেকেই বানভাসি মানুষের বাঁচার আকুতি প্রবল হয়ে উঠেছে।
এমন অবস্থায় বন্যায় আক্রান্তদের বিভিন্ন মর্মান্তিক চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুটে উঠছে। যেসবে শুধুই হাহাকার, অসহায়ত্বের দেখা মিলছে।
বন্যার্তদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসছে দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। সকলেই নিজ নিজ উদ্যেগে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, মৌলভীবাজারের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
বন্যার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে বন্যার্তদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বুধবার দিবাগত রাতে পানির নিচে বসে থাকা এক শিশুর ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে এই নায়িকা লিখেছেন, আল্লাহ! কি করবো আমি! বুকের ভেতরে দুমরে মুচরে যাচ্ছে। এই চোখের দিকে তাকিয়ে কি করে ঘুমাবো!
এরপর আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে পরী লেখেন, আল্লাহ তুমি সহায় হও। কেউ নাই আর এখন। আমি যাবো, আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে যা করার করবো, ইনশাআল্লাহ।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বন্যা আক্রান্ত একটি ডামি ছবি শেয়ার করে সৃষ্টিকর্তার সাহায্য কামনা করেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।
যেখানে তিনি লেখেন, ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ, আমাদের দেশকে বন্যা থেকে রক্ষা করো।’
দুই নায়িকার পোস্টে ভক্তরাও নিজেদের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে এমন পরিস্থিতিতে সকলে সৃষ্টিকর্তার সাহায্য প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি একে অপরের সহযোগীতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যে। বন্যার কারণে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দিয়েছে। ফলে গোমতী ও ফেনী নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল তলিয়ে বন্যার দেখা দিয়েছে।
‘হন্যে হয়ে’ আরাফাতকে খুঁজছেন হিরো আলম; কারণ কী?

২০২৩ সালে ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে খুঁজছেন ক্ষুব্ধ হিরো আলম। প্রার্থী হওয়ায় সে সময় তাকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন আরাফাত।
সেদিন তার ওপর হামলাকারীদের মোহাম্মদ আলী আরাফাতের লোক বলে দাবি করেছিলেন আলম। তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমি ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেখানে আরাফাতের নির্দেশে কিছু লোক আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। দায়িত্বরত পুলিশও আমার পাশে দাঁড়ায়নি। কোনো মতে বেঁচে ফিরেছিলাম। সেই বিচার আমি আজও পাইনি। এখন আমি আরাফাতকে খুঁজছি, তাকে পেলে ধরে মামলা করবো। সে আমার জেতা আসন ছিনতাই করেছে।’
সামনে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি না জানতে চাইলে আলম বলেন, ‘আমি সব সময় জনগণের পাশে আছি, থাকবো। জনগণ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বলে, করবো। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি বলে আমাকে অনেকবার মার খেতে হয়েছে। অনেকবার অসম্মানিত হতে হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাকে অকারণে ধরে নিয়ে গেছে। বারবার বিচার চেয়েছি, কিন্তু বিচার পাইনি। আশা করছি, এখন সব বিচার হবে। স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারবো।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে একতারা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন হিরো আলম। নৌকা প্রতীক নিয়ে আরাফাত পেয়েছিলেন ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট এবং হিরো আলম পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং ঢাকা সেনানিবাসের একাংশ নিয়ে এই আসন। এই দুই প্রতীদ্বন্দ্বী ছাড়াও বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে আট প্রার্থী অংশ নিলেও উপ-নির্বাচনে ছিল না বিএনপির কোনো প্রার্থী।
নিজের কর্মকাণ্ড নিয়ে সব সময় সমালোচনার শিকার হন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। সিনেমা, গান কিংবা রাজনীতির মাঠ- সবখানে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করেছেন এই তরুণ। বিভিন্ন সময় ভারতীয় গণমাধ্যম তাকে নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। এতে তার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে। নতুন কাজ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘কলকাতায় দুটি সিনেমার শুটিং শেষ করে এসেছি। বাংলাদেশে যে সিনেমাগুলোর শুটিং করেছিলাম, শিগগির সেগুলো মুক্তির ব্যবস্থা করছি। আপাতত কোনো কাজ করছি না।’
বেশ কয়েক বছর আগে ইউটিউবে গানের মডেল হয়ে আলোচনায় আসেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এক সময় সিনেমায়ও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। এরপর গান গেয়ে অনলাইনে বিদ্রুপের শিকার হন তিনি। তাতে দমে যাননি এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। এমনকি সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়েও গান করেছেন তিনি।
নাফিসা কামালের সঙ্গে সাকিবের ঘোরাঘুরি নিয়ে যা বললেন শিশির

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে সমর্থন না দেওয়া ও রাজনৈতিক কারণে গত কিছুদিন ধরেই তুমুল বিতর্কের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই বিতর্ক বুধবার আরও বেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাকিবের একটি ভিডিও ও বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়লে। যেখানে সাকিবকে দেখা গেছে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের মেয়ে ও বিপিএলের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামালের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে।
এমন ভিডিও ছড়ানোর পর গুঞ্জন উঠেছে স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের সঙ্গে সাকিবের বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে। তবে গুঞ্জনের ডালপালা মেলার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন শিশির। কঠিন সময়ে সাকিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। উড়িয়ে দিয়েছেন সকল গুঞ্জন।
দীর্ঘ স্ট্যাটাসের শুরুতেই শিশির লিখেছেন, ‘আপনার হয়ত তার (সাকিব আল হাসান) ক্যারিয়ার এবং পছন্দ নিয়ে ব্যক্তিগত মতামত থাকতেই পারে, তা আমি অস্বীকার করব না। প্রত্যেকেরই বাক-স্বাধীনতা আছে। কিন্তু দয়া করে এটি আমাদের সম্পর্কের সঙ্গে মেশাবেন না। সে একজন অসাধারণ স্বামী এবং বাবা। সে সবসময়ই আমার প্রতি বিশ্বস্ত ও সৎ ছিল; আর এমন কিছু করবে না যা আমাকে আঘাত করে। সে এমন মানুষ, যে আমার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল।’
নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে শিশিরের মন্তব্য, ‘আমি তার বাইরে ঘোরাফেরা নিয়ে সবসময়ই জানি; আর বেশিরভাগ সময় তার সঙ্গেই থাকি। ১৩ বছর আগে আমি যে মানুষটির সঙ্গে আলাপ করেছিলাম, সে এখনও সেই একই মানুষ আছে। জীবনসঙ্গী হিসেবে সে ১০০ তে ১০০ পাওয়ার মতোই। আর আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের সুন্দর একটি পরিবার আছে।’
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবি ও ভিডিও নিয়ে শিশিরের বক্তব্য, ‘যারাই এমন করছেন, তাদের প্রতি আমি বলতে চাই- এসব করে আপনি কিছুই অর্জন করতে পারবেন না। আমি চুপ থাকতে চাই, কারণ সত্যটা আমার ভেতরেই আছে। কিন্তু কিছু অপ্রয়োজনীয় ফোনকল এবং মেসেজের কারণে আমি বিষয়টা পরিষ্কার করতে চেয়েছি। তার এখন পাকিস্তান সিরিজে নজর দেওয়ার সময়; আর আমি আমার পরিবারের দিকে নজর দেবো। আমরা সবসময়ই টিম হয়ে ছিলাম, আর তেমনই থাকব ইনশাআল্লাহ।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাকিবের সঙ্গে থাকা বেশ কিছু ছবি মুছে ফেলা নিয়ে শিশিরের জবাব, ‘আমি আমার কোনো পোস্ট বা ছবি ডিলেট করিনি। কেবল তা প্রাইভেট করে রেখেছি। আর ছবি বা পোস্ট কখনো কোনো সম্পর্ককে বিচার করতে পারে না।’
মন্তব্য