আজ বিশ্ব গাধা দিবস, কীভাবে এলো এই দিবস?

আজ ৮ মে, বিশ্ব গাধা দিবস। আজকের দিনে কেউ যদি আপনাকে গাধা বলে, তবে রাগ করার দরকার নেই, কেননা আজকের দিনটা গাধাদের। এই প্রাণীটিকে আজ ভালোবাসার দিন, সম্মান জানানোর দিন। আর গাধা কিন্তু বহু বছর ধরে মানুষের সেবা করে আসছে।
তবে শুধু যে গাধারাই গাধা বিষয়টা এরকম নয়। আমাদের চারপাশের অনেক মানুষকেও আমরা গাধার চোখে দেখি। আমাদের শিক্ষকগণ তো গাধা হিসেবে পেয়ে পরে মানুষ করেছেন। গাধা থেকে যারা মানুষ হয়েছেন, তাদের জন্য দিবসটি নয়। যে প্রাণীটি জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত গাধা দিবসটি সেই প্রাণীদের জন্য।
আর্ক রাজিকের প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালে প্রথম বিশ্ব গাধা দিবস উদযাপন করা হয়। তখন থেকে প্রতি বছর ৮ মে গাধা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো গাধাকে নিয়ে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া এবং তারা কীভাবে মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে তা তুলে ধরা।
বর্তমানে সারা বিশ্বে এই প্রাণীটিকে বোঝা টানতে ব্যবহার করা হয়। তারা প্রতিকূল জলবায়ু ও ভূখণ্ডেও টিকে আছে। গাধারা তাদের ধৈর্য ও অধ্যবসায় জন্য আমাদের সবার কাছে বেশ পরিচিত।
গাধা কাজ থেকে পিছপা হয় না। মাইলের পর মাইল বোঝা টানতে সক্ষম। গাধা অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় বেশি সময় পরিশ্রম করতে পারে। তাদের চলার গতি ঘণ্টায় ৩১ মাইল পর্যন্ত হতে পারে। গাধার গড় আয়ু ৫০ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে হয়।
জায়েদ খানের ফোন পানিতে ছুড়ে ফেললেন সাকিব!

বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। মাঠ এবং মাঠের বাইরে আলোচনায় থেকেই তিনি। আরও একবার মাঠের বাইরের ঘটনায় আলোচনায় আসলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ফোন পানিতে ফেলেছেন সাকিব।
৫ সেকেন্ডের এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে দেখা যায়, জায়েদ খানের সঙ্গে সেলফি তুলছেন সাকিব। এরপর মুখে অবহেলা ও বিরক্তির ছাপ ফুটিয়ে তুলে মুঠোফোন ছুড়ে মারেন সুইমিং পুলের পানিতে। এরপর সোজা হেঁটে যান সামনের দিকে।
এই ঘটনায় শুকিয়ে গেছে জায়েদের মুখ। সুইমিং পুলের পানির দিকে তাকিয়ে হায় হুতাশ করছেন তিনি। ছটফটানি দেখে এটি স্পষ্ট যে মুঠোফোনটি জায়েদের ছিল। ভিডিওটির পারিপার্শ্বিক পরিবেশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি শুটিংয়ের অংশ হয়ে থাকতে পারে। তবে এটি কোনো বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অংশ নাকি অন্য কোনো ধরণের শুটিং তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
‘আমাকে একটা ভোট কে দিল তাকেই খুঁজছি’

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন অভিনয়শিল্পী শ্রাবণ শাহ। এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি পেয়েছেন মাত্র ১ ভোট। এর পর থেকে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন শ্রাবণ শাহ।
তিনি জানিয়েছেন, আমি আমার নিজের ভোটটাও নিজেকে দিইনি। কারণ ভোট দিয়ে তো নষ্ট করা যাবে না। তাই আমার ভোটটা ডিপজল ভাইকে দিয়েছি। আর আমার সব পরিচিতদের বলে দিয়েছিলাম যে আমাকে যেন ভোট না দেয়। কারণ ভোট নষ্ট করে তো লাভ নেই। তার পরও কে যেন আমাকে একটা ভোট দিয়েছে, আমি সেই মানুষটাকেই খুঁজছি।
এর আগে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কারণে শিল্পী সমিতির ভোটাধিকার হারিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে অবশ্য ফিরে পান শিল্পী সমিতির সদস্যপদ। ভোটাধিকার ফিরে পেয়ে ঘোষণা দেন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হবেন। দুই হেভিওয়েট প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নিপুণ আক্তারের সঙ্গে সেক্রেটারি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচিত প্যানেল চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন শ্রাবণ। এর কারণ মনোয়ার হোসেন ডিপজল নিজেই একটি ইন্ডাস্ট্রি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এখন চলচ্চিত্রের উন্নয়ন ঘটবে বলে মনে করেন তিনি।
শ্রাবণ বলেন, ডিপজল ভাইকে আরও আগেই আমাদের আনা উচিত ছিল। কারণ তিনি নিজেই একটা ইন্ডাস্ট্রি। তার পরও নির্বাচনে নিপুণ আপু তাকে যেভাবে গ্রহণ করে নিলেন তাতে করে আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে যে মেরুকরণ ছিল তা থাকছে না বলে আমি মনে করছি।
নির্বাচনের কিছু দিন আগে শ্রাবণ অভিযোগ করেছিলেন নিপুণ তার সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্য ভোটার তালিকায় নাম রাখেননি। সদস্যপদ ফিরে পেয়ে অনেকটা জেদ করেই নির্বাচনে সেক্রেটারি পদে অংশ নিয়েছিলেন শ্রাবণ। তার এই সিদ্ধান্ত যে শিল্পীরা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেননি তার প্রমাণ মিলল ভোটের বাক্সে।
ডিপজলের কাছে কত ভোটে হারলেন নিপুণ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে সভাপতি পদে জয় পেয়েছেন মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। শনিবার সকালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।
তবে এ নির্বাচনে বহুল আলোচিত সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজলের কাছে মাত্র ১৬ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তবে এ বিষয় নিয়ে হতাশ নন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ডিপজল ভাইয়ের মতো জনপ্রিয় কারও কাছে এত কম ব্যবধানে হেরে যাওয়া এবং এ ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তার জন্য সম্মানজনক।
ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। অন্যদিকে নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ২০৯ ভোট।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৫৭০ জন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ৪৭৫ শিল্পী।
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। এ সংক্রান্ত শুনানি শেষে আদালত পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ (সমন জারি) দেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষ পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন কিন্তু আদালত সে আবেদন গ্রহণ করেননি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমির বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি।
মামলায় নাসিরউদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পারসেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।
এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পারসেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন এবং বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।
মন্তব্য