ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫ ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
 
শিরোনাম

অনলাইনে করা যাবে সাত কলেজের সার্টিফিকেট উত্তোলনের আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৬:২১
নিজস্ব প্রতিবেদক
অনলাইনে করা যাবে সাত কলেজের সার্টিফিকেট উত্তোলনের আবেদন

বাঙলা কলেজ প্রতিনিধিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্র উত্তোলনের আবেদন করতে আর স্বশরীরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে যেতে হবে না। এখন থেকে অনলাইন আবেদনের মাধ্যমেই সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্র তুলতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

সম্প্রতি বিষয়টি উল্লেখ করে ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর দপ্তর থেকে কলেজ অধ্যক্ষদের একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্রের আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ‘কলেজের জন্য নির্দেশাবলি’ নামে একটি দিক নির্দেশনা মেইলে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টি অতি জরুরি উল্লেখ করে, সব বিভাগে গুরুত্ব সহকারে জানানোর জন্যও চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাতটি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ঢাবি-জাবিতে হত্যার ঘটনায় যা জানালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৬:১৪
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ঢাবি-জাবিতে হত্যার ঘটনায় যা জানালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

    বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি প্রতিক্রিয়া জানান।

    হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘২২ তারিখ (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলা হচ্ছে। দেশজুড়ে অন্যান্য ক্যাম্পাসও দ্রুত খোলা হবে। শিক্ষার্থীরা কোনও হামলাকারীর সঙ্গে ক্লাস ও পরীক্ষায় বসতে পারে না। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এখনও মামলা হয়নি। প্রশাসনিকভাবে কোনও আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের ওপর প্রকাশ্যে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছরে ক্যাম্পাসে অনেকেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার গুণ্ডাবাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। হাসিনার অত্যাচারী শাসনামলে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলে যারা তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন, গণতন্ত্র-ন্যায় এবং সত্যের পক্ষে কথা বলেছেন তারা অনেকেই নির্বিচারে মামলার শিকার হয়েছেন। অতীতে যারা হাসিনার স্বৈরতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে লাঠিয়াল হিসেবে গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলা ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন করেছেন, সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত তাদের বিচারের আওতায় আনা। বিভিন্ন রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তাদের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ট্যাগিংয়ের মাধ্যমে যারা নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছেন, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

    যেসব শিক্ষক নির্যাতনে সহযোগিতা করেছেন, তাদের বিচারের দাবি জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে যেসব শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া নির্যাতনকে সমর্থন করেছেন বা সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা দেখেছি, ক্লাসরুমে বসে যে শিক্ষক নৈতিকতার পাঠ দিয়েছেন, তিনিই আবার স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন। অন্যায়কে পরোক্ষভাবে সমর্থন করেছেন। নতুন বাংলাদেশে আমরা এমন শিক্ষক চাই, যারা তাদের শিরদাঁড়া উঁচু করে কথা বলবেন এবং শিক্ষকের মহান মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন।’

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, ‘মবলিঞ্চিং কোনও অবস্থাতেই কোনও সমাধান হতে পারে না। এটা একটা সুস্পষ্ট অপরাধ। যে বা যারাই এর সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থী দাবি করে কেউ যেন পার পেয়ে যেতে না পারে। সব মিলিয়ে আমরা কোনও হামলাকারী বা নির্যাতনকারীর পুনর্বাসন চাই না। ফ্যাসিবাদ-উত্তর বাংলাদেশের প্রতিটি ক্যাম্পাস হবে জঞ্জালমুক্ত।’

    তিনি বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনের কোনও পথ যেমন উন্মুক্ত নেই, তেমনই আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে অপরাধে অভিযুক্ত হলে তাকেও শাস্তি পেতে হবে। এ বিষয়ে প্রশাসন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে অনুরোধ করছি। পাশাপাশি স্বৈরাচারী হাসিনার ফাসিস্ট রেজিমকে পাকাপোক্ত করতে যেসব সুশীলরা কালচারালি কিংবা পলিটিকালি মদদ যুগিয়েছিল, নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আলাপে তাদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’

    বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে এক যুবককে আটক করে ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। পরে সে গণপিটুনির শিকার হয়। এরপর রাত ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    বুধবার বিকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জয় বাংলা ফটক এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীমকে মারধর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রক্টরিয়াল বডি’র হাতে তুলে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আশুলিয়া থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এরপর রাত ৯টার দিকে চিকিৎসার জন্য সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      তালা ভেঙ্গে মারধরে ছাত্রলীগ নেতা পিস্তল শামীমের মৃত্যু, ছাত্রদলের ৫ জন শনাক্ত 

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৫:৫০
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      তালা ভেঙ্গে মারধরে ছাত্রলীগ নেতা পিস্তল শামীমের মৃত্যু, ছাত্রদলের ৫ জন শনাক্ত 

      জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নিরাপত্তা অফিসের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙ্গে গণপিটুনিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লা ওরফে পিস্তল শামীমের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ভিডিও থেকে প্রাথমিকভাবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৫ জনকে শনাক্ত করা গেছে। তারা হলেন- সাঈদ হোসেন ভুঁইয়া, রাজু আহমেদ এবং রাজন হাসান,  হামিদুল্লাহ সালমান এবং এম এন সোহাগ।
      সাঈদ হোসেন ভুঁইয়া ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া রাজু আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও রাজন হাসান ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, হামিদুল্লাহ সালমান ইংরেজি ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও এমএন সোহাগ কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
      নিরাপত্তা কার্যালয়ের ভেতরে চেক শার্ট পরিহিত অবস্থায় শামীমকে পেটাচ্ছেন আরেকজন। এসময় তার হাতে গাছের ডাল দেখা গেছে। এ দিয়েই পিটিয়েছেন তিনি। তাকে রাজু আহমেদ বলে শনাক্ত করা গেছে।
      এছাড়া রাজন হাসানের গায়ে হাফ হাতা লাল রংয়ের শার্ট দেখা গেছে। হামিদুল্লাহ সালমানের গায়ে হাফ হাতা শার্ট পরিহিত অবস্থায় ও সোহাগের গায়ে সাদা টি শার্ট ও চশমা পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়,  জিন্স প্যান্ট ও শার্ট পরিহিত অবস্থায় শামীমকে মারধর করছেন সাঈদ হোসেন ভুইয়া।
      এসময় তার সাথে থাকা বাকিদের শনাক্তের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
      মারধরের সম্পৃক্ততার বিষয়ে সাঈদ বলেন, কেউই হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে মারধর করে নি। একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে আমি দেখতে গিয়েছিলাম। আর একজন মানুষ যিনি হেঁটে পুলিশের গাড়িতে গেছে আর কিছুক্ষণের মধ্যে মারা গেছেন এর রহস্য উদঘাটন করা জরুরি।
      এ বিষয়ে রাজু আহমেদ বলেন, ’আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে শোনার পর সেখানে গেছিলাম। সেখানে গিয়ে আমি শামীমকে ধমক দিই, তাকে মারধর করিনি।’
      রাজন হাসান বলেন, ’আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম কিন্তু মারার জন্য সেখানে যায়নি।যারা তালা ভাঙার চেষ্টা করছিল তাদের আমি নিষেধ করেছিলাম।’
      এবিষয়ে হামিদুল্লাহ সালমান বলেন, ’আমি সন্ধ্যায় হলে ছিলাম। পরে খবর পেয়ে প্রক্টর অফিসে যায় কিন্তু শামীম মোল্লাকে মারধর করিনি।’
      এবিষয়ে সোহাগ বলেন, ’আমি টিউশন থেকে ফেরার পথে হ‌ইচ‌ই দেখে সেখানে গেছিলাম কিন্তু মারধর করিনি।’
      এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক  রাশিদুল আলম বলেন, আমরা  এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে,  সুষ্ঠ তদন্ত শেষে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো
      এর আগে, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ শিক্ষার্থীকে প্রান্তিক গেট এলাকায় দেখতে পেয়ে তাকে গণধোলাই দিতে চান।  খবর পেয়ে কিছু শিক্ষার্থী উপস্থিত হলে অন্যরা আরও বেশি উদ্যত হয়। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা শামীমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে আসে। সাবেক শিক্ষার্থী হওয়ায় প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ প্রায় ৩ ঘন্টা পর প্রক্টর অফিসে আসে। এরইমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী চলে আসে। প্রক্টরিয়াল টিম কয়েকবার চেষ্টা করেও আটকাতে ব্যর্থ হয়।
      পরে রাত সোয়া আটটার দিকে পুলিশ আসলে শামীমকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে জানা যায়, শামীম মারা গেছেন। যদিও পুলিশ বিষয়টি রাত বারোটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে।
      উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও গুলিতে তিনি মূল হোতা ছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়া বহিরাগত ভাড়া করে নেওয়াতেও তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।
      এর আগে, মাদকসংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে একাধিকবার গুলি ও হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত তিনি। সাভার-আশুলিয়াতে  এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব ছিল তার। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তার কর্মকান্ডের জন্য ৫ আগস্টের পর আশুলিয়া থানায় তার নামে ৪টি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৪:৫২
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

         ঢাবি প্রতিনিধিঃ ৩৮ বছর পূর্ণ করে ৩৯ বছরে পা রাখলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অবস্থিত অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কক্ষে কেক কেটে এবং আনন্দ র‍্যালির মাধ্যমে ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে সংগঠনটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নিয়াজ আহমেদ খান।
        ডুজার সাধারণ সম্পাদক মুহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সভাপতি আল সাদী ভুঁইয়া। সমিতির অন্যান্য সদস্যরাও এতে উপস্থিত ছিলেন।
        প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, 'এটি অত্যন্ত আনন্দের যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ৩৮ বছর পূর্ণ করে আজ ৩৯ তম বর্ষে পদার্পণ করলো। বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে সাংবাদিকতা পেশার ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নিঃসন্দেহে একটি পথিকৃত প্রতিষ্ঠান।
        জুলাই বিপ্লবে সাংবাদিক সমিতি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছে।আমরা কঠিন একটি সময় অতিক্রম করছি।সবকিছু নতুন করে আবার চালু করতে হয়েছে।
        আমাদের ভুলত্রুটি থাকতেই পারে। আমরা ভুল গুলো শুধরে নিয়ে সামনে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো সুশৃঙ্খল করা যায় সেটি নিয়ে কাজ করবো।
        এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ -উপাচার্য অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে সাংবাদিকত সমিতি ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছে। আমরা জুলাই বিপ্লবে সাংবাদিক সমিতিকে দেখেছি তারা যেভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেছে সেটি সত্যি প্রশংসনীয়। আমি অনুরোধ করবো তারা যেন সত্য প্রকাশের এর যাত্রা অব্যাহত রাখে।
        প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালের আজকের এই দিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি জাতীয়ভাবে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ও আস্থার সংগঠন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে সংগঠনটি। ডুজার প্রতিটি সদস্য সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, পেশাদারিত্ব ও বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে সাহসের সাথে সত্য প্রকাশ করে যাচ্ছে। নানা প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে আপসহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সংগঠনটি দেশ ও জাতির বিভিন্ন সংকটেও রেখেছে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          সৈরাচার পতনের চল্লিশা উপলক্ষে ইবির শেখ রাসেল হলে গরু অভিযান

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৪:১৯
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          সৈরাচার পতনের চল্লিশা উপলক্ষে ইবির শেখ রাসেল হলে গরু অভিযান

          ইবি প্রতিনিধি: সৈরাচার হাসিনার পতনের চল্লিশা উপলক্ষে গরু অভিযান ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাকসেস’ ভর্তি কোচিংয়ের সহযোগিতায় এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়

          বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের ছাদে এই নৈশভোজের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে হলের বিভিন্ন বিভাগ ও শিক্ষাবর্ষের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

          আয়োজকরা জানান, এই নৈশভোজ শুধুমাত্র খাবারের আয়োজন নয় বরং এর উদ্দেশ্য  হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি,  ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য ও পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটানো। এই আয়োজন  স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে দেয় এবং যাতে ভবিষ্যতে দেশে কখনো স্বৈরাচারের জন্ম না হয় সেই বার্তা বহন করে। এসময় গরু অভিযান ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজনে হলের শান্তি বজায় রাখতে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।

          এছাড়া বিভিন্ন কার্যক্রমের উদ্যোগ হিসেবে খেলাধুলা, বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান চর্চা ও প্রতিভার বিকাশ ঘটবে এমন নিয়মিত আয়োজন করার জন্য মতামত পেশ করা হয়। হলের রিডিং রুম, ডিবেট রুম, গেম রুমের জন্য নতুন রমের ব্যবস্থা করা, মসজিদের মাইক স্থাপন, মাদক নির্মুল, বৈষম্যহীনভাবে যৌক্তিকভাবে হলের সিট বন্টন ও সিনিয়র- জুনিয়র সম্পর্ক বৃদ্ধির ব্যাপারে জোরালো আলোচনা হয়েছে৷

          প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগেও 'খুনি হাসিনার চল্লিশা' ভোজ আয়োজিত হয়। এতে বিভাগটির সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত