এমপিওর অসামঞ্জস্যতা দূর করতে কমিটি গঠন

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০২১ সালের সংশোধিত এমপিও নীতিমালার অসামঞ্জস্যতা দূর করতে কমিটি গঠন করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে সুপারিশমালা প্রেরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন, সহকারী পরিচালক (অর্থ) মো. লুৎফর রহমান।
আদেশে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর বিভিন্ন অসামঞ্জস্যতা নিরসনে প্রস্তাবনা/সুপারিশমালা প্রেরণের জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হলো।
অফিস আদেশের তথ্য অনুযায়ী কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে মাদ্রাসা অধিদপ্তরের উপপরিচালককে (অর্থ), সদস্য করা হয়েছে খুলনা বিভাগের পরিদর্শককে। আর সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন)।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর বিভিন্ন অসামঞ্জস্যতা চিহ্নিতকরণ। অসমাঞ্জস্যতা দূরীকরণে এতদসংক্রান্ত অন্যান্য আইন/বিধি/নীতিমালা পর্যালোচনা। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবেন এবং এতদবিষয়ে মাদ্রাসার অভিজ্ঞ শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করতে পারবেন। উক্ত কমিটিকে আগামী ৭ দিনের কর্মদিবসের মধ্যে প্রস্তাবনা/সুপারিশমালা প্রেরণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষকের মধ্যে যাদের বয়স ৩৫ ঊর্ধ্বো তাদের এমপিও ফাইল গণহারে রিজেক্টের অভিযোগ ওঠে। প্রার্থীরা জানান, ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে ৪ নং পয়েন্টে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের (৩৯০০/২০১৯) মামলার রায় অনুযায়ী ২০১৮ সালের পূর্বে যারা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিল যোগ্য।
স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে এমপিওর জন্য আবেদন করেছেন তারা। তবে বয়স ৩৫ ঊর্ধ্বো হওয়ায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় প্রোগ্রামার তাদের এমপিও ফাইল রিজেক্ট করে দিচ্ছেন। এই অবস্থার দ্রুত সমাধান চান তারা।
৩১ মার্চের মধ্যে উপবৃত্তিযোগ্যদের তথ্য অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ

২০২১-২২ অর্থবছরে সারা দেশের স্নাতক (পাস) ও সমমানের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়ার জন্য অনলাইনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূরণ করা শিক্ষার্থীর তথ্য এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ সংশ্লিষ্ট তথ্য আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ‘ই-স্টাইপেন্ড সিস্টেমে’ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট।
সোমবার (২১ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে বিষয়টি জানিয়ে সব উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নাসরীন আফরোজের স্বাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে ২০২১-২২ অর্থবছরে সারা দেশের স্নাতক (পাস) ও সমপর্যায়ের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে গত ৯ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পূরণ করা আবেদন এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ সংশ্লিষ্ট তথ্য ই-স্টাইপেন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে ২২ মার্চের মধ্যে ট্রাস্ট অফিসে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলেও এখন পর্যন্ত অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির আবেদনগুলো ট্রাস্টে পাঠাননি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবেদন ট্রাস্টের সার্ভারে না পাঠালে এসব শিক্ষার্থী ২০২২ সালের উপবৃত্তি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে।
জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা ই-স্টাইপেন্ড সিস্টেমে (http://estipend.pmeat.gov.bd) প্রবেশ করে আগের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অথবা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএসের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেও লগইন করতে পারবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব নম্বর যথাযথভাবে পাঠানো অতি জরুরি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব নম্বর ই-স্টাইপেন্ড সিস্টেমে না দিলে টিউশন ফি দেওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টাকা বিতরণ করা সম্ভব হবে না।
তাই ২০২২ সালের সারা দেশের স্নাতক (পাস) ও সমপর্যায়ের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পূরণ করা আবেদনগুলো ই-স্টাইপেন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ট্রাস্ট অফিসে পাঠাতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিষয়টি প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানাতে বলা হয়েছে।
মা-বাবার প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে: ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান পিতা-মাতার প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, নিজের শিকড়কে কেউ যেন ভুলে না যায়।
আজ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের ১ম বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দফতর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপাচার্য বলেন, মেধা ও মননের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে দেশের সেরা শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। হতাশা, বিষন্নতা বা অসচ্ছলতার কারণে শিক্ষার্থীদের এই মেধা যেন বিনষ্ট না হয়। সব ধরণের প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে শিক্ষার্থীদের সৎ, আত্মপ্রত্যয়ী, দেশপ্রেমিক, উদার, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। তাদেরকে পরমতসহিষ্ণু ও অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। ক্যাম্পাসকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মেহজাবীন হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এসময় বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও ছাত্র উপদেষ্টাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আগামীবার থেকে ৪ ইউনিটে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা, একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন

এবারও পাঁচটি ইউনিটে (ক, খ, গ, ঘ ও চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা হবে। তবে আগামীবার থেকে চারটি ইউনিটে এই পরীক্ষা নেয়া হবে। থাকবে না সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ঘ ইউনিট। আর এর সঙ্গে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বদলে যাবে ইউনিটগুলোর নামও।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় হওয়া এসব সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদ (একাডেমিক কাউন্সিল)। গতকাল সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। যদিও সামাজিক বিজ্ঞানের কয়েকজন শিক্ষক সভায় ঘ ইউনিট বাতিলের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাঁচটির পরিবর্তে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে চারটি ইউনিটে। তবে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে আগের মতোই পাঁচটি ইউনিটে পরীক্ষা হবে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ইউনিটগুলোর নামও বদলে যাবে। নামগুলো হবে- বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, চারুকলা ইউনিট এবং কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট৷
এদিকে, গতকালকের একাডেমিক কাউন্সিলে ঘ ইউনিট বাতিলের বিষয়টি উঠলে সেখানেও আপত্তি জানান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের কয়েকজন। ওই শিক্ষকেরা শুরু থেকেই ঘ ইউনিট বাতিলের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ঘ ইউনিট বাতিলের সিদ্ধান্তটি অনুমোদন হয়েছে, তবে দ্বিমতসহ৷ দ্বিমত দিয়েছি আমিসহ সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের কয়েকজন শিক্ষক। ইউনিটের গুরুত্ব যেখানে দিন দিন বাড়ছে, সেখানে একটি ইউনিট তুলে দেওয়া অযৌক্তিক৷ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবের কথা বলা হচ্ছে৷ এই সিদ্ধান্ত নিতে কোনো জরিপ বা জনমত যাচাই করা হয়নি৷
তবে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান ঘ ইউনিট বাতিলের বিষয়ে কোনো আপত্তি জানাননি৷ এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি
পেছাতে পারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা, সিদ্ধান্ত চলতি সপ্তাহে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার কেন্দ্র ও সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ কারণে পরীক্ষা আরও পিছিয়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বিশেষ করে ঢাকায় না জেলায় জেলায় পরীক্ষা হবে, তা নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, এর আগে দুটি চিঠিতে কেন্দ্র বাছাই প্রক্রিয়া ও পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হলেও চাপ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহল ও দলীয়ভাবে। ফলে ঢাকার পরিবর্তে জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়া এবং সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছে। ফলে সোমবার (২১ মার্চ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের দফতরে সভা করা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে জেলায় জেলায় পরীক্ষা নেওয়ার বিরোধীতা করছেন চাকরিপ্রার্থীদের বড় একটি অংশ। তারা মনে করছেন, জেলায় পরীক্ষা হলে নিয়োগে দুর্নীতি হবে। এ কারণে ঢাকায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহে মধ্যে ফের সভা করে জটিলতা সমাধানের উদ্যোগ নেবে মন্ত্রণালয়। নিয়োগ কমিটির সদস্যদের কয়েক দফায় সভাও হয়েছে। ওই কমিটির মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুব রহমান তুহিন বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বৈঠক ছিল। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রতিমন্ত্রী পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট স্টক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সবার সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন।’
এর আগে দুই দফায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ও কেন্দ্র নিয়ে চিঠি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। প্রথমটিতে বলা হয়, আগামী ১ এপ্রিল থেকে রাজধানী ঢাকায় পাঁচ ধাপে পরীক্ষা হবে। পরে আরেক চিঠিতে বলা হয়, ৮ এপ্রিল থেকে চার ধাপে পরীক্ষা হবে।
জানা গেছে, সামনে রমজান মাস এবং আরো কিছু জটিলতার কারণে পরীক্ষার তারিখ আরো পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর সব কিছু নির্ভর করছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, এটি বড় পরিসরে নিয়োগ পরীক্ষা, কেন্দ্র বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।.
অধিদফতরের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত মহাপরিচালক দফতর) মো. মোস্তফা ফারুক খান গণমাধ্যমকে জানান, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। আগের চিঠি দুটি কেন্দ্র বাছাই প্রক্রিয়ার অংশ। যেসব প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হয়েছে, সেগুলোয় কতজনের পরীক্ষা নেয়া যাবে, তা ই-মেইলে জানানোর জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ তথ্য পাওয়ার পর টেলিটকের মাধ্যমে কেন্দ্র ও তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে করোনা মহামারীর কারণে এখনো পরীক্ষা হয়নি। পরে শূন্য পদ বাড়িয়ে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য