মোহাম্মদ তুহিন সবুজ নামে এক জেলে বলেন, প্রায় ছয় বছর ধরে নাফ নদীতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। পেটের দায়ে গোপনে বড়শিতে অনেকে মাছ ধরছেন। রাতে বড়শি ফেলেন ভাগিনা ওসমান। ভোরে এসে সে বড়শি টেনে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বড়শিটি বেশ ভারী মনে হওয়ায় আরও একজনের সহযোগিতা নেন। পরে বড়শি টেনে তুলে দেখেন, একটি বড় পোপা মাছ আটকা পড়েছে। সেটির ওজন ছিল ৩৫ কেজি। এরপরে তিনি আবারও বড়শি ফেলেন, এতে তার আরো একটি বড় পোপা মাছ ধরা পড়ে। সেটির ওজন ছিল হয় ৩০ কেজির মতো। জেটিতে মাছ দুটি দেখতে স্থানীয় লোকজন ভিড় করেন। মাছ দুটির দাম দিয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা।
টেকনাফের মনির মাঝি বলেন, স্থানীয়দের কাছে মাছটি ‘কালা পোপা বা বড় কোরাল নামেও পরিচিত। এ মাছের মূল আকর্ষণ হলো পেটের ভেতর থাকা পটকা বা বায়ুথলি (এয়ার ব্লাডার)। এই বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা হয়।আর এই মাছ খুবই সুস্বাদু হয়। এই মাছ কেজি ধরে বিক্রি করলেও কেজিতে ২ হাজার টাকা করে পাওয়া যাবে।
টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নাফ নদীর মাছ খুবই সুস্বাদু। পোপা মাছ সাধারণত ৩৫-৪০ কেজি ওজনের হয় । কোনো কোনো সময় এর চেয়ে বেশি ওজনের পোপা মাছও পাওয়া যায়। তবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও ইয়াবার চালান পাচার রোধে দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর ধরে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় নাফ নদীতে এখন বড় বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছে।