The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫

ক্লাসরুমেই ‘বিয়ে সারলেন’ শিক্ষিকা-ছাত্র, সমালোচনার ঝড়

ডেস্ক রিপোর্ট: ক্লাসরুমেই বসলো বিয়ের আসর। সবাইকে অবাক করে সিঁদুরদান, মালাবদল করলেন শিক্ষিকা ও ছাত্র! ভারতের নদিয়ার হরিণঘাটার মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটির (ম্যাকাউট) এ ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের পোডিয়ামে উঠে এসেছেন ছাত্র এবং শিক্ষিকা দু’জনেই। এসময় ছাত্র সিঁদুরদান করেন শিক্ষিকাকে এবং দু’জনেই মালাবদল করেন। এমনকী সাক্ষীর উপস্থিতিতে একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন। গোটা ঘটনার ভিডিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে। যদিও ওই শিক্ষিকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, তিনি যে বিভাগের প্রধান, বিয়ের আসরটি সেটিরই প্রজেক্টের অংশবিশেষ।

তবে ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির শ্রেণিকক্ষেই কনের সাজে সেজে দাঁড়িয়ে ছিলেন অধ্যাপিকা। তিনি আবার বিভাগীয় প্রধান। আর তার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। এই ঘটনা নিয়ে গোটা ক্লাসে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। এই ঘটনার প্রমাণ হিসাবে কেউ কেউ ভিডিও করে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভারতজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

এরই মধ্যে ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভাইরাল ভিডিও থেকে জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারি ক্লাসরুমের মধ্যেই বিয়ের আসরটি বসে। মালাবদল থেকে শুরু করে সিঁদুরদান সবই দেখানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ক্লাসরুমের মধ্যেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিয়ের আসর ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ওই বিভাগীয় প্রধানকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, প্রথম বর্ষের সেই পড়ুয়ারও খোঁজ মিলছে না। এ নিয়ে সহপাঠীরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী বলেন, বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ক্লাসরুমে তার ওই আচরণের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। মৌখিক ভাবে উনি জানিয়েছেন, একটি প্রজেক্টের জন্য ক্লাসরুমে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু মালাবদল, সিঁদুরদান প্রজেক্টের অংশ হলে এবং পুরো বিষয়টিই অভিনয় হলে বিভাগীয় প্রধানকে কেন ছুটিতে পাঠানো হলো, সেই ব্যাখ্যা অবশ্য দেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সূত্র : আজকাল, আনন্দবাজার পত্রিকা ও দ্য হিন্দুস্তান টাইমস।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.