The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪

ইবিতে ছাত্রী মারধরের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কারের দাবি

ইবি প্রতিনিধি :ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) খালেদা জিয়া হলের এক আবাসিক ছাত্রী ও তার সাথে থাকা বন্ধুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে । বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ছাত্রলীগের ঐ নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে, ভুক্তভোগী বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পপি ও তার বন্ধু প্রধান ফটকে ঘুরতে যায়। ঐ সময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হাফিজ তার সহযোগীসহ পপিকে জেরা করে। ঘটনার এক পর্যায়ে হাফিজ ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগী পপির সাথে হেনস্তা ও ধস্তাধস্তি করে। এসময় তারা পপির সাথে থাকা বন্ধুকে মারধর করেন।

এর আগে অভিযুক্ত হাফিজের রেফারেন্সে সায়মা ( রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী) খালেদা জিয়া হলের নতুন ব্লকের ২০৪ নম্বর রুমের সীটে উঠে এবং ঐ রুমের জানালার পাশের সীটে উঠতে চায়। এসময় পপির সাথে কথা কাটাকাটি হয় বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী পপি বলেন, “হাফিজের গার্লফ্রেন্ড সায়মা জানালার পাশের সীট চাইলে আমি বলি সিনিয়াররা জানালার পাশে উঠতে পারে। ঐখানে এক সিনিয়ার আছে তুমি সিনিয়ার হলে জানালার পাশে যেতে পারবে। তাকে সেখানে উঠতে নিষেধ করায় হাফিজ মেইন গেটের সামনে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার ও হেনস্তা করে এবং সাথে থাকা বন্ধুকে মারধর করেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়া হলের আবাসিক ছাত্রীরা ওই ছাত্রলীগ কর্মীর বহিষ্কারের দাবি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে আন্দোলন শুরু করে। পরে হল প্রভোস্ট ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, হলের হাউজ টিউটর এবং সহকারী প্রক্টররা ঘটনার মীমাংসার চেষ্টা করেন এবং বিষয়টি তদন্ত করার আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান হাফিজ বলেন, “ঐ মেয়েরে আমি চিনিনা মেইন গেটে বহিরাগত এক ছেলে ফাউল টক করায় একটু ঝামেলা বাধছিলো। হলের সীটের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা এবং ষড়যন্ত্রমূলক”

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. রাজনীতি
  3. ইবিতে ছাত্রী মারধরের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কারের দাবি

ইবিতে ছাত্রী মারধরের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কারের দাবি

ইবি প্রতিনিধি :ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) খালেদা জিয়া হলের এক আবাসিক ছাত্রী ও তার সাথে থাকা বন্ধুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে । বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ছাত্রলীগের ঐ নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে, ভুক্তভোগী বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পপি ও তার বন্ধু প্রধান ফটকে ঘুরতে যায়। ঐ সময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হাফিজ তার সহযোগীসহ পপিকে জেরা করে। ঘটনার এক পর্যায়ে হাফিজ ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগী পপির সাথে হেনস্তা ও ধস্তাধস্তি করে। এসময় তারা পপির সাথে থাকা বন্ধুকে মারধর করেন।

এর আগে অভিযুক্ত হাফিজের রেফারেন্সে সায়মা ( রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী) খালেদা জিয়া হলের নতুন ব্লকের ২০৪ নম্বর রুমের সীটে উঠে এবং ঐ রুমের জানালার পাশের সীটে উঠতে চায়। এসময় পপির সাথে কথা কাটাকাটি হয় বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী পপি বলেন, “হাফিজের গার্লফ্রেন্ড সায়মা জানালার পাশের সীট চাইলে আমি বলি সিনিয়াররা জানালার পাশে উঠতে পারে। ঐখানে এক সিনিয়ার আছে তুমি সিনিয়ার হলে জানালার পাশে যেতে পারবে। তাকে সেখানে উঠতে নিষেধ করায় হাফিজ মেইন গেটের সামনে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার ও হেনস্তা করে এবং সাথে থাকা বন্ধুকে মারধর করেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়া হলের আবাসিক ছাত্রীরা ওই ছাত্রলীগ কর্মীর বহিষ্কারের দাবি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে আন্দোলন শুরু করে। পরে হল প্রভোস্ট ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, হলের হাউজ টিউটর এবং সহকারী প্রক্টররা ঘটনার মীমাংসার চেষ্টা করেন এবং বিষয়টি তদন্ত করার আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান হাফিজ বলেন, “ঐ মেয়েরে আমি চিনিনা মেইন গেটে বহিরাগত এক ছেলে ফাউল টক করায় একটু ঝামেলা বাধছিলো। হলের সীটের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা এবং ষড়যন্ত্রমূলক"

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন