বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি: সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) এর আওতায় ‘টেকসই ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে বাংলাদেশের রেস্তোরাঁ এবং পথখাদ্যা ব্যবস্থার উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ’ প্রকল্পের আয়োজনে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নিয়ে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
রোববার (১৮ জুন) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলায় শেফ হাউজে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় ৬ দিনব্যাপী কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে রাজশাহী শহরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট মালিক ও বাবুর্চিসহ খাদ্য কর্মীরা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেয়।
এ কর্মশালায় খাদ্য নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ১৫ জন প্রশিক্ষনার্থীকে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। দ্বিতীয় দিনের প্রশিক্ষণে নিরাপদ খাদ্য পরামর্শক ও প্রশিক্ষক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পিৎজা, বার্গার, চটপটি ও ফুসকা স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে তৈরির প্রক্রিয়া হাতে কলমে শিক্ষা প্রদান করেন।
স্ট্রিট ফুড ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রশিক্ষণার্থী মো. আজাহার আলী বলেন, ” স্বাস্থ সম্মত খাবার তৈরির ব্যাপারে আমাদের খুব বেশি জ্ঞান ছিলোনা। এ প্রশিক্ষণ-এর মাধ্যমে আমরা অনেক জ্ঞান অর্জন করছি এবং তা আমরা বাস্তবে প্রয়োগ করবো। ইএসডিওর এই প্রজেক্টের মাধ্যমে অনেক উপকৃত হয়েছি, এধরণের প্রাকটিক্যাল ট্রেইনিং খুবই কার্যকর আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য।”
প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. লিটনের সঞ্চালনায়
রাজশাহীর নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, “খাদ্য তৈরির সময় আপনাদেরকে হাইজিন সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। কাঁচামাল হিসেবে নিরাপদ ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করতে হবে। যেমন টেস্টিং সল্ট ব্যবহারে বিরত থাকতে হবে। প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কারণ এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।”
রাজশাহীর সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ বায়েজীদ হোসেন বলেন, “এই ধরণের প্রশিক্ষণ আরো বেশী আয়োজন করা প্রয়োজন এবং ইএসডিও উক্ত প্রশিক্ষণ আয়োজন করায় এবং আমাকে আমন্ত্রণ দেওয়াতে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তিনি উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, এই ধরণের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আপনারা যখন বাস্তবে প্রয়োগ করবেন তখনই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের নিরাপদ খাদ্য পরামর্শক জনাব মোস্তাক আহম্মেদ শাহীন বলেন ” ব্যবসার উন্নতির পাশাপাশি অবশ্যই খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তাদের স্বাস্থ্যগত দিক মাথায় রেখে খাদ্য প্রস্তুত করতে হবে, আশা করি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এই প্র্যাকটিকাল ট্রেইনিং থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কাজে লাগাবেন।”
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মো. আব্দুল মতিন (রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, বিআরআইডি), মোঃ মনজুরুল ইসলাম (মনিটরিং এন্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার), রিনা আক্তার (পরিবেশ কর্মকর্তা) এবং ফারজানা আক্তার (টেকনিক্যাল অফিসার) প্রমূখ।