The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বসেরা ২% বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় জাবির ৬ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

বিশ্বসেরা ২% বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী স্থান পেয়েছেন। আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির Departments of Medicine, of Health Research and Policy, of Biomedical Data Science, and of Statistics, and Meta-Research Innovation Center at Stanford (METRICS)-এর গবেষক জন পি.এ. ইয়োনিডিস গত ১০ অক্টোবর এলসেভিয়ার প্রকাশনার উপর ভিত্তি করে বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষণা বিজ্ঞানীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেন।

তালিকায় স্থান পাওয়া জাহাঙ্গীরনগর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এ.এ. মামুন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ ইব্রাহিম খলিল , ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলোজির অধ্যাপক শামীম কায়সার, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ুন কবির এবং পাবলিক হেলথ এন্ড ইমফোরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এ. মামুন।

এটিতে দুটি ধাপে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়। এর একটি হল পুরো পেশাগত জীবনের ওপর আরেকটি শুধু এক বছরের গবেষণা কর্মের ওপর। জাবির এই ৫ জন শিক্ষক ও ১ জন শিক্ষার্থী ২০২১ সালের জন্য সেরা গবেষকদের তালিকায় রয়েছেন।

বিজ্ঞানীর প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন ও অন্যান্য সূচকগুলো বিশ্লেষণ করে তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়। ওই প্রতিবেদনটি বিজ্ঞানীদের ২২টি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র এবং ১৭৬টি উপ-ক্ষেত্রে শ্রেণীবদ্ধ করে মোট ২ লক্ষ জন গবেষককে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই র‌্যাংঙ্কিংয়ের স্কোপাস ইন্ডেক্সড আর্টিকেলকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছে।

এতে বাংলাদেশ থেকে মোট সেরা গবেষকের সংখ্যা ১৪২ জন যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইন্সটিটিউট অব এপিডেমোলজি, ডিজিজ এন্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) এর ১৬ জন। পাশাপাশি এই তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। গতবছর এই তালিকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২জন শিক্ষক ছিলেন। তারা হলেন অধ্যাপক এ এ মামুন ও অধ্যাপক ইব্রাহিম খলিল।

অধ্যাপক এ এ মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্পর্কে তিনি বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের ভাই। প্লাজমা পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে তিনি বিশ্বে খ্যাতিমান।

সেরা গবেষকদের তালিকায় নাম আসায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, একজন গবেষক হিসেবে এটি অত্যন্ত আনন্দের খবর। আর বেশি আনন্দ হচ্ছে গতবছরের তুলনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অনেক এগিয়েছে, এমনকি আমাদের একজন শিক্ষার্থীও এতে রয়েছেন। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আমরা এগিয়ে রয়েছি, সবার জন্য গবেষণার পরিবেশ তৈরি করে আরো এগিয়ে যেতে চাই। আমরা আর পেছনে ফিরে তাকাতে চাই না।

তরুণ গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এ মামুন শিক্ষার্থীদের জন্যও গবেষণা অনুদান দাবি করেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে ডিগ্রী দিচ্ছে, আমার এই র‍্যাংকিং দিয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে কিছুটা হলেও তার প্রতিদান দিতে পেরেছি এটা আমার অনেক বড় প্রাপ্তি। আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে সারাজীবন সার্ভ করতে চাই। আরেকটা অনুরোধ করতে চাই, যাতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে ছাত্রদের জন্য গবেষণা অনুদান থাকে। তাহলে আমার মত আরও অনেকেই গবেষণা করবে এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন র‍্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম তালিকায় স্থান পাওয়া সেরা গবেষকদের অভিনন্দন জানান ও গবেষণা পরিবেশ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এরকম অর্জনে উপাচার্য হিসেবে আমি অনেক বেশি আনন্দিত ও গর্বিত বোধ করছি। শিক্ষা ও গবেষণায় আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি তার প্রমাণ এটি আর এর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি। তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের জন্য শুভকামনা।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. বিশ্বসেরা ২% বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় জাবির ৬ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

বিশ্বসেরা ২% বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় জাবির ৬ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

বিশ্বসেরা ২% বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী স্থান পেয়েছেন। আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির Departments of Medicine, of Health Research and Policy, of Biomedical Data Science, and of Statistics, and Meta-Research Innovation Center at Stanford (METRICS)-এর গবেষক জন পি.এ. ইয়োনিডিস গত ১০ অক্টোবর এলসেভিয়ার প্রকাশনার উপর ভিত্তি করে বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষণা বিজ্ঞানীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেন।

তালিকায় স্থান পাওয়া জাহাঙ্গীরনগর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এ.এ. মামুন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ ইব্রাহিম খলিল , ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলোজির অধ্যাপক শামীম কায়সার, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ুন কবির এবং পাবলিক হেলথ এন্ড ইমফোরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এ. মামুন।

এটিতে দুটি ধাপে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়। এর একটি হল পুরো পেশাগত জীবনের ওপর আরেকটি শুধু এক বছরের গবেষণা কর্মের ওপর। জাবির এই ৫ জন শিক্ষক ও ১ জন শিক্ষার্থী ২০২১ সালের জন্য সেরা গবেষকদের তালিকায় রয়েছেন।

বিজ্ঞানীর প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন ও অন্যান্য সূচকগুলো বিশ্লেষণ করে তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়। ওই প্রতিবেদনটি বিজ্ঞানীদের ২২টি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র এবং ১৭৬টি উপ-ক্ষেত্রে শ্রেণীবদ্ধ করে মোট ২ লক্ষ জন গবেষককে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই র‌্যাংঙ্কিংয়ের স্কোপাস ইন্ডেক্সড আর্টিকেলকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছে।

এতে বাংলাদেশ থেকে মোট সেরা গবেষকের সংখ্যা ১৪২ জন যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইন্সটিটিউট অব এপিডেমোলজি, ডিজিজ এন্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) এর ১৬ জন। পাশাপাশি এই তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। গতবছর এই তালিকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২জন শিক্ষক ছিলেন। তারা হলেন অধ্যাপক এ এ মামুন ও অধ্যাপক ইব্রাহিম খলিল।

অধ্যাপক এ এ মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্পর্কে তিনি বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের ভাই। প্লাজমা পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে তিনি বিশ্বে খ্যাতিমান।

সেরা গবেষকদের তালিকায় নাম আসায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, একজন গবেষক হিসেবে এটি অত্যন্ত আনন্দের খবর। আর বেশি আনন্দ হচ্ছে গতবছরের তুলনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অনেক এগিয়েছে, এমনকি আমাদের একজন শিক্ষার্থীও এতে রয়েছেন। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আমরা এগিয়ে রয়েছি, সবার জন্য গবেষণার পরিবেশ তৈরি করে আরো এগিয়ে যেতে চাই। আমরা আর পেছনে ফিরে তাকাতে চাই না।

তরুণ গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এ মামুন শিক্ষার্থীদের জন্যও গবেষণা অনুদান দাবি করেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে ডিগ্রী দিচ্ছে, আমার এই র‍্যাংকিং দিয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে কিছুটা হলেও তার প্রতিদান দিতে পেরেছি এটা আমার অনেক বড় প্রাপ্তি। আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে সারাজীবন সার্ভ করতে চাই। আরেকটা অনুরোধ করতে চাই, যাতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে ছাত্রদের জন্য গবেষণা অনুদান থাকে। তাহলে আমার মত আরও অনেকেই গবেষণা করবে এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন র‍্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম তালিকায় স্থান পাওয়া সেরা গবেষকদের অভিনন্দন জানান ও গবেষণা পরিবেশ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এরকম অর্জনে উপাচার্য হিসেবে আমি অনেক বেশি আনন্দিত ও গর্বিত বোধ করছি। শিক্ষা ও গবেষণায় আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি তার প্রমাণ এটি আর এর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি। তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের জন্য শুভকামনা।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন