অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (০২ এপ্রিল) ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৩ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’
তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী, অটিজম গবেষক, চিকিৎসক, থেরাপিস্ট, সহায়ক উপকরণ উদ্ভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনসমূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্ট বিধিমালা-২০১৫, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন-২০১৩, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা বিধিমালা-২০১৫, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করেছে।
এসব আইনের সফল বাস্তবায়নে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলদেশ অটিজম ও স্নায়ু-বিকাশজনিত সমস্যা বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদের উদ্যোগ, পরামর্শ ও নিরলস প্রচেষ্টায় অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তির জীবনমান উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।