ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বলা হলেও বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয় থেকেও পরীক্ষার প্রশ্ন থাকবে। যদিও এ বছর বাংলা, ইংরেজিসহ ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন হয়—এমন অনেক বিষয়েই এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করা সংক্ষিপ্ত সিলেবাস আদতে সংক্ষিপ্ত হচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা যে সিলেবাস পড়েছে সেই সিলেবাসের আলোকে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা সেভাবেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করবেন। তবে এতে শিক্ষার্থীদের খুব একটা উপকার হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা।
তাদের মতে, ঢাবির পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে কেবল বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। তবে এখানেও বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্ন থাকে। ‘ক’ ইউনিটে বাধ্যতামূলক না হলেও ‘গ’ ইউনিটে বাধ্যতামূলকভাবে বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ের উত্তর করতে হয়। তবে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ও মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়নি। এক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো তাদের সম্পূর্ণই পড়তে হবে বলে মনে করছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ বলেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে ভর্তি পরীক্ষা হলেও শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে পড়তে হবে। কেননা এই বিষয়গুলো থেকেও পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ইউনিটে পদার্থ ও রসায়ন বিষয়ের উত্তর করা বাধ্যতামূলক। এই দুইটি বিষয়ের প্রশ্ন না হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে করা যাবে। তবে অন্যবিষয়গুলোর ক্ষেত্রে বিশেষ করে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্ন সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে করার সুযোগ নেই। কেননা এই বিষয়গুলোতে এবার এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। কাজেই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বলা হলেও শিক্ষার্থীদের পুরো সিলেবাস পড়তে হবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে এবার (২০২১) সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হওয়ায় সেই সিলেবাসের আলোকেই ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার আহবান জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রীর সেই আহবানে শুরুতে সাড়া না দিলেও পরবর্তীতে ভর্তি কমিটির বিশেষ সভায় শিক্ষার্থীরা যা পড়েছে তার ওপরেই ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় ঢাবি প্রশাসন।