The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

‘গুম আতঙ্কে’ দুদক কর্মকর্তা শরিফ

পটুয়াখালীর দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে থেকে চাকরিচ্যুত উপ-সহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিন যে কোনো সময় গুম হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালী দুদক কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে তিনি এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। মানববন্ধনে পটুয়াখালীর দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন, সহকারী পরিদর্শক কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, উপ-সহকারী পরিদর্শক সিকদার মুহম্মদ নুরুন্নবী, উচ্চমান সহকারী মো. নুর হোসেন গাজীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮ এর ৫৪(২) বিধি অনুযায়ী মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

চাকরিচ্যুত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, সাত বছরের চাকরি জীবনের বেশির ভাগ চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার এলাকায় চাকরি করেছি। তখন অনেক বড় বড় ব্যক্তিদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করেছি। বিশেষ করে চট্টগ্রামে জমি অধিগ্রহণে অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ১৫৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছি। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেওয়ার বিষয়ে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছি। চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম নিয়ে কাজ করেছি। এ ছাড়া পেট্রোবাংলার একটি প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে কাজ করতে গিয়ে পেট্রোবাংলার ডাইরেক্টর (প্লানিং) আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছি।

তিনি বলেন, এ কারণে ৩০ জানুয়ারি (আইয়ুব খান) আমার বাসায় এসে আমাকে এক সপ্তাহের মধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দেন। এ ঘটনা আমি অধিদপ্তরকে অবহিত করেছিলাম। তবে এক সপ্তাহ নয় তার একটু বেশি সময় লেগেছে। ১৬ দিনের মাথায় আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো।

তার দাবি, বুধবার দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮ এর ৫৪(২) বিধি অনুযায়ী দুদক চেয়ারম্যান মো. মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ আমাকে চাকরি থেকে অপসারণ করেন। এর আগে আমাকে কোন ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়নি। এখন আমি অজ্ঞাত স্থানে আছি, যেকোনো সময় গুম হয়ে যেতে পারি’।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. অপরাধ ও শৃঙ্খলা
  3. ‘গুম আতঙ্কে’ দুদক কর্মকর্তা শরিফ

‘গুম আতঙ্কে’ দুদক কর্মকর্তা শরিফ

পটুয়াখালীর দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে থেকে চাকরিচ্যুত উপ-সহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিন যে কোনো সময় গুম হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালী দুদক কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে তিনি এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। মানববন্ধনে পটুয়াখালীর দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন, সহকারী পরিদর্শক কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, উপ-সহকারী পরিদর্শক সিকদার মুহম্মদ নুরুন্নবী, উচ্চমান সহকারী মো. নুর হোসেন গাজীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮ এর ৫৪(২) বিধি অনুযায়ী মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

চাকরিচ্যুত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, সাত বছরের চাকরি জীবনের বেশির ভাগ চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার এলাকায় চাকরি করেছি। তখন অনেক বড় বড় ব্যক্তিদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করেছি। বিশেষ করে চট্টগ্রামে জমি অধিগ্রহণে অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ১৫৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছি। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেওয়ার বিষয়ে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছি। চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম নিয়ে কাজ করেছি। এ ছাড়া পেট্রোবাংলার একটি প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে কাজ করতে গিয়ে পেট্রোবাংলার ডাইরেক্টর (প্লানিং) আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছি।

তিনি বলেন, এ কারণে ৩০ জানুয়ারি (আইয়ুব খান) আমার বাসায় এসে আমাকে এক সপ্তাহের মধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দেন। এ ঘটনা আমি অধিদপ্তরকে অবহিত করেছিলাম। তবে এক সপ্তাহ নয় তার একটু বেশি সময় লেগেছে। ১৬ দিনের মাথায় আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো।

তার দাবি, বুধবার দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮ এর ৫৪(২) বিধি অনুযায়ী দুদক চেয়ারম্যান মো. মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ আমাকে চাকরি থেকে অপসারণ করেন। এর আগে আমাকে কোন ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়নি। এখন আমি অজ্ঞাত স্থানে আছি, যেকোনো সময় গুম হয়ে যেতে পারি’।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন