তিমির বনিক, মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় মাদ্রাসায় পড়ুয়া ১২ বছর বয়সী নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক পিতা (৫০) কে সাজঘরে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (২৪ এপ্রিল) কিশোরীর নানীর দায়ের করা লিখিত অভিযোগ করেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার মা গৃহকর্মী হিসেবে প্রবাসে চাকুরী করে থাকেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুছ ছালেক।
ওসি আব্দুছ ছালেক জানান, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও ভুক্তভোগীর মা দেড় মাস আগে গৃহকর্মী ভিসায় সৌদি আরবে পাড়ি জমান। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি তার দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। ভুক্তভোগীর ছোট বোনের বয়স ৭ বছর ও ছোট ভাইয়ের ৫ বছর। গত শনিবার ঈদের রাতে নিজ মেয়েকে ঘরের ভেতর ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি।
এদিকে বিষয়টি যেন কেউ জানতে না পারে সে জন্য ওই মেয়েকে ঘরের ভেতর অবরুদ্ধ অবস্থায় আটকে রাখা হয়। গতকাল সোমবার ভুক্তভোগী ওই কিশোরী ঘর থেকে পালিয়ে তার নানাবাড়িতে চলে যায়। সেখানে তার নানীকে বিষয়টি খুলে বলেন ভুক্তভোগী কিশোরী।
পরে ভুক্তভোগীর নানি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কুলাউড়া থানা পুলিশকে জানান এবং কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর পুলিশ সোমবার রাতেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।