আমান উল্লাহ, বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে সাধারণত এখন পর্যন্ত কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে জাত উন্নয়ন করা হয়। এ পদ্ধতিতে বছরে গাভী থেকে একটি বাচ্চা পাওয়া যায়। কিন্তু ভ্রূণ স্থানান্তরের মাধ্যমে বছরে ২৫-৩০ টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভ্রূণ উৎপাদন এবং প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে কৃত্রিম প্রজননের তুলনায় অধিক সংখ্যক বাছুর উৎপাদন সম্ভব বলে জানান প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. নাসরীন সুলতানা জুয়েনা।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ টেকসই দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গাভীতে ভ্রূন স্থানান্তর প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অর্থায়নে প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্পটি (এলডিডিপি) পরিচালিত হচ্ছে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসরীন সুলতানা জুয়েনা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে অধ্যাপক নাসরীন সুলতানা আরও জানান, সাধারণত মাংস, দুধ উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য উন্নয়নের লক্ষ্যে গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন করা হয়। ভ্রূণ স্থানান্তরের মাধ্যমে উৎপাদিত অতিরিক্ত ভ্রূণ হিমায়িত করে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনমত অন্য গাভীতে প্রতিস্থাপন করা যায়। প্রান্তিক খামারীদের কাছে প্রযুক্তিটি পৌছে দিলে অধিক মাংস ও দুধ উৎপাদন করে তারা লাভবান হবেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারী ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের রিসার্চ এনিম্যাল ফার্মে প্রকল্পটির গবেষণা পরিচালনার সকল ধরনের সক্ষমতা রয়েছে।
কর্মশালায় সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের প্রধান ড. জয়ন্ত ভট্টাচার্য সভাপতিত্বে এবং একই বিভাগের ডা. মোসা. সানজিদা সাফওয়াতের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল আওয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলী আকবর ভূঁইয়া, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্ট বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।