The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪

ডেইরি শিল্পে কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করে ব্রুসেলোসিস- ড. সিদ্দিকুর

আমান উল্লাহ, বাকৃবি প্রতিনিধিঃ ব্রুসেলোসিস গবাদি পশুর ব্যাকটেরিয়া জনিত একটি মারাত্মক জুনোটিক সংক্রামক রোগ। সাধারণত গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, কুকুর এই রোগে আক্রান্ত হয়। রোগটিতে আক্রান্ত গাভীর গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে গর্ভপাত হয়। এছাড়া গবাদি পশুতে দুধ উৎপাদন হ্রাস, জরায়ু প্রদাহ, বাচ্চার মৃত্যু , দুর্বল বাচ্চার জন্মদান ও প্রজননে অক্ষমতা প্রভৃতি উপসর্গ প্রকাশের মাধ্যমে আমাদের দেশের ডেইরি শিল্পে কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করে থাকে। আক্রান্ত পশুর বর্জ্য, মাংস ও দুধের মাধ্যমে এ রোগ মানুষে সংক্রমিত হয় এবং বন্ধ্যাত্ব, অকাল গর্ভপাত, ওরকাইটিস, অস্থিসন্ধির প্রদাহসহ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘বাংলাদেশের দুগ্ধজাত খামারে ব্রুসেলোসিস সংক্রমণের গতিশীলতা এবং ঝুঁকির কারণ’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন উপ- প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও বাকৃবির মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) অধীনে বাকৃবিতে প্রাপ্ত ১৫ টি উপ-প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম এটি। প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের অর্থায়নে এলডিডিপি প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে।

গবেষক আরো জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বড় বড় খামারে দুগ্ধজাত গবাদি পশুতে ব্রুসেলোসিস রোগের ঝুঁকির কারণ চিহ্নিত করে সংক্রমণ গতিশীলতা নিরূপণ করা সম্ভব হবে। এছাড়া ব্রুসেলোসিস রোগের কারণগুলো এড়ানোর মাধ্যমে মানবদেহে এই রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. ডেইরি শিল্পে কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করে ব্রুসেলোসিস- ড. সিদ্দিকুর

ডেইরি শিল্পে কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করে ব্রুসেলোসিস- ড. সিদ্দিকুর

আমান উল্লাহ, বাকৃবি প্রতিনিধিঃ ব্রুসেলোসিস গবাদি পশুর ব্যাকটেরিয়া জনিত একটি মারাত্মক জুনোটিক সংক্রামক রোগ। সাধারণত গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, কুকুর এই রোগে আক্রান্ত হয়। রোগটিতে আক্রান্ত গাভীর গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে গর্ভপাত হয়। এছাড়া গবাদি পশুতে দুধ উৎপাদন হ্রাস, জরায়ু প্রদাহ, বাচ্চার মৃত্যু , দুর্বল বাচ্চার জন্মদান ও প্রজননে অক্ষমতা প্রভৃতি উপসর্গ প্রকাশের মাধ্যমে আমাদের দেশের ডেইরি শিল্পে কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করে থাকে। আক্রান্ত পশুর বর্জ্য, মাংস ও দুধের মাধ্যমে এ রোগ মানুষে সংক্রমিত হয় এবং বন্ধ্যাত্ব, অকাল গর্ভপাত, ওরকাইটিস, অস্থিসন্ধির প্রদাহসহ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘বাংলাদেশের দুগ্ধজাত খামারে ব্রুসেলোসিস সংক্রমণের গতিশীলতা এবং ঝুঁকির কারণ’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন উপ- প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও বাকৃবির মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) অধীনে বাকৃবিতে প্রাপ্ত ১৫ টি উপ-প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম এটি। প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের অর্থায়নে এলডিডিপি প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে।

গবেষক আরো জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বড় বড় খামারে দুগ্ধজাত গবাদি পশুতে ব্রুসেলোসিস রোগের ঝুঁকির কারণ চিহ্নিত করে সংক্রমণ গতিশীলতা নিরূপণ করা সম্ভব হবে। এছাড়া ব্রুসেলোসিস রোগের কারণগুলো এড়ানোর মাধ্যমে মানবদেহে এই রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন