বিলাসবহুল জীবনযাপনে মুকেশ আম্বানিকেও হার মানিয়েছেন তিনি

এই মুহূর্তে ভারতের সবথেকে বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন হলেন মুকেশ আম্বানি। তিনি এই মুহূর্তে ভারতের সবথেকে ধনী ব্যক্তি না হলেও তিনি ধনীদের মধ্যে অন্যতম একজন। এই মুহূর্তে ভারতে তিনি একটি দারুন জায়গায় অবস্থান করছেন এবং তিনি এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছেন শুধুমাত্র নিজের কঠোর পরিশ্রমের জন্য।
এই কারণেই তিনি মাঝেমধ্যেই খবরের শিরোনামে থাকেন এবং বর্তমানে মিডিয়াও তাকে বেশ সম্মান করে থাকে। তিনি বিলাসবহুল ভাবে জীবন যাপন করেন এবং তার নামে বেশ কয়েকটি দামি দামি বাড়ি রয়েছে মুম্বাইয়ে। তবে শুধুমাত্র মুকেশ আম্বানি একা নয়, তার মতো এরকম বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন দক্ষিণী সিনেমার আরো একজন সুপারস্টার। তার মতো জনপ্রিয় অভিনেতা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কম আছে।
মুকেশ আম্বানির কাছে যেরকম বিলাসবহুল বাড়ি এবং দামি দামি কিছু গাড়ি রয়েছে সেরকমই তার কাছেও কিন্তু একই রকম গাড়ি এবং বাড়ির কালেকশন রয়েছে। আজকে প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে জানাবো কে সেই দক্ষিণী তারকা এবং কিভাবে তিনি মুকেশ আম্বানির থেকেও বেশি ধনী।
মুকেশ আম্বানি আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ভারতের একজন অন্যতম সফল ব্যবসায়ী। যদি আমরা গৌতম আদানিকে বাদ দিই তাহলে, মুকেশ আম্বানি হলেন ভারতের সবথেকে ধনী ব্যক্তি। তার মতো ব্যবসা চালানোর ক্ষমতা সকলের নেই। এই কারণে অনেকেই তাকে আদর্শ মনে করেন। এখন আর মুকেশ আম্বানিকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হয় না। তার পরিচয় তার কাজ। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি এবং জিও থেকে শুরু করে ভায়কম, ১৮ টির মতো টিভি চ্যানেল গ্রুপ সব কিছুই মুকেশ আম্বানির অধীনে। তার পাশাপাশি আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে সফলতম দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মালিক মুকেশ আম্বানি নিজেই।
এইজন্য তাকে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হয় না। কিন্তু তারই মত বিলাসবহুল এবং নামিদামি জীবন যাপন করেন দক্ষিণ ভারতের আরো একজন তারকা। তার কাছেও প্রচুর ধনসম্পত্তি রয়েছে এবং তিনি রাজার মত জীবন যাপন করেন। সেই তারকা হলেন দক্ষিণের অন্যতম জনপ্রিয় সুপারস্টার নাগার্জুন এবং তার জীবন যাপনের স্টাইল শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারত নয় সারা ভারত এমন কি বিশ্বের কাছেও একটা মাইল ফলক।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে নাগার্জুন সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তার বেশ কিছু সিনেমার দৌলতে। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন করে ফিরিয়ে আনার এবং তাকে পুনর্জন্ম দেবার পিছনে নাগার্জুনের একটা বিশাল বড় ভূমিকা রয়েছে। তার একশন সিনেমা দেখে এখনো অনেকেই অনুপ্রাণিত হন। তার ছেলেরাও সিনেমা জগতে বেশ ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে নাগার্জুন এবং তার পরিবারের কাছে কোন জিনিসের কমতি নেই। তারা একেবারে রাজার মত জীবন যাপন করেন। এই কারণেই তাদের ব্যক্তিগত জীবন প্রায়ই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে। তিনি যেরকম ভাবে বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন তা দেখে বোঝা যায় তার সম্পত্তির পরিমাণ মুকেশ আম্বানির থেকে খুব একটা কম কিছু নয়।
তিনি যে মহলে থাকেন সেই মহল দেখতে অনেকটা পুরনো যুগের রাজমহলের মত। মুকেশ আম্বানির মতো তিনিও বেশ বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত এবং প্রায় সব দিকেই মুকেশ আম্বানিকে তিনি টেক্কা দিতে পারেন।
তারকা থেকে তারা হয়েছেন পথের ফকির

বলিউডের জৌলুস আর চাকচিক্য সবার সয় না। অনেকেই এই রূপালী জগতের গোলক ধাঁধায় পড়ে খেই হারিয়ে ফেলছেন। কেউ কেউ রাতারাতি তারকাখ্যাতি থেকে ছিটকে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। অনেকের জীবন তাদের কেটেছে অসহায় অবস্থায়। বলিউডের সেসব নামী কয়েকজন তারকাকে নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন।
ভারত ভূষণ: তিনি বলিউডে পঞ্চাশের দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। ১৯৫২ সালে তার অভিনীত ‘বাইজু বাওরা’ খুব জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়া মির্জা গালিব (১৯৫৪), বসন্ত বাহার (১৯৫৬), ফাগুন (১৯৫৮) এর মতো বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছিলেন খ্যতিমান এই অভিনেতা ভারত ভূষণ। তবে জাঁকজমক জীবনযাপনই এক সময় কাল হয়ে ওঠে তার জন্য। চরম মাত্রায় জুয়ায় আসক্ত ছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে সব অর্থ, কয়েকটি বাড়ি, গাড়ি জুয়া খেলে হারান।অর্থাভাবে এক সময় তাকে বস্তিতেও থাকতে হয়। এমনকি পরে একটি ফিল্ম স্টুডিওর দারোয়ানের চাকরিও করেছেন তিনি।
ভগবান দাদা: চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকে আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা ও পরিচালক ভগবান দাদা। দামি বাংলো, গাড়ি কেনার শখ ছিল তার। কিন্তু শেষ জীবনে মুম্বাইয়ের এক নোংরা বস্তিতে মৃত্যুবরণ করতে হয় তাকে। দুটি ছবি ‘ঝামেলা’ ও ‘লাবেলা’ ফ্লপ করায় আর্থিক দিক থেকে একবারেই নিঃশেষ হয়ে যান তিনি। পরে বস্তিতে থাকতে বাধ্য হন। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
মীনা কুমারী: বলিউডে পঞ্চাশের দশকে দুর্দান্ত এক অভিনেত্রী। আসল নাম মাহজাবিন। অভিনয়ের খাতিরে পাল্টে ফেলেন নাম। তবে ভাগ্যটা আর পাল্টায়নি। বিয়োগান্তক ছবিতে স্মরণীয় অভিনয় করে ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। চারবার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পান তিনি। ‘বাইজু বাওরা’ (১৯৫৪), ‘পরিণীতা’ (১৯৫৫), ‘সাহেব বিবি গোলাম’ (১৯৬২), ‘কাজাল’ (১৯৬৬) ‘পাকিজা’ (১৯৭২) তার অভিনীত অন্যতম ছবি। তবে ৩৮ বছরে যখন লিভার সিরোসিসে মারা যান তিনি, তখন একেবারে নিঃস্ব হয়েই চির বিদায় নিয়েছেন। হাসপাতালের বিল দেয়ার সামর্থ্যও ছিল না তার।
অচলা সাচদেব: বলিউডের বেশ কিছু ক্লাসিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। ১৯৩৮ সালে ‘ফ্যাশনেবল ওয়াইফ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়। এরপর ১৩০টি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৬৫ সালের ছবি ‘ওয়াক্ত’ এ তার চরিত্র ছিলো মনে রাখার মতো। ‘এ মেরি জোহরা জাবিন’ গানটির মধ্য দিয়ে বেঁচে আছেন তিনি। এছাড়া সুপারহিট মুভি ‘চাঁদনী’ (১৯৮৯), ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ (১৯৯৫), ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ (২০০১), ‘কাল হো না হো’ (২০০৩) ছবিতে অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী। প্রথম বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্বামী মারা যাওয়ার পর একাই বসবাস করতেন। মৃত্যুর ৫ বছর আগে তিনি তার ফ্ল্যাট পুনের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে দান করে দিয়ে যান। শর্ত ছিল ঐ প্রতিষ্ঠান তাকে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সব দিক দিয়ে খেয়াল রাখবে। কিন্তু ২০১১ সালে রান্নাঘরে পা পিছলে পড়ে মস্তিষ্কে মারাত্মকভাবে আঘাত পান। এরপর প্যারালাইসিসসহ নানা জটিলতায় ভুগে পুনের এক হাসপাতালে নিদারুণ কষ্টে মারা যান তিনি।
ভিমি: বলিউডে ‘হামরাজ’ (১৯৬৭), আব্রু (১৯৬৮), পতঙ্গ (১৯৭১) ছবিতে অভিনয় করে গ্ল্যামারাস নায়িকা ভিমি দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তার স্বামী তাকে ছবিতে অভিনয় না করতে চাপ দেয়। স্বামীর সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিলে ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন ভিমি। এক পর্যায়ে আর্থিক দৈন্যতায় হাসপাতালে নিঃস্ব অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
পারভীন ববি: আশির দশকে বলিউডের গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী পারভীন ববি ছিলেন বেশিরভাগ তরুণের হার্টথ্রব। সে সময় বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে ১২টি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। বিয়ে করেননি। তবে অভিনেতা কবির বেদি, ড্যানি ডেনজোগপা ও পরিচালক মহেশ ভাটের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে কারো সাথেই তার সম্পর্ক টেকেনি। প্রচন্ড মানসিক অবসাদে ভুগে ও দারিদ্র্যের কারণে রোগে ভুগে একটি ফ্ল্যাটে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান তিনি।
রাজ কিরন: আশির দশকে বলিউডে খুব চেনা মুখ ছিলেন রাজ কিরন। কার্জ (১৯৮০), বাসেরা (১৯৮১), আর্থ (১৯৮২) এর মতো আলোচিত ও প্রশংসিত ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আরো অনেক সামাজিক ছবিতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু এক পর্যায়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন এই অভিনেতা। সবাই ভেবেছিল মারা গেছেন তিনি। পরে তার বন্ধু, সহঅভিনেতা ঋষি কাপুর তাকে আমেরিকায় এক মানসিক হাসপাতালে খুঁজে পান।
এ কে হানজাল: বিখ্যাত ছবি ‘শোলে’র সেই অন্ধ ইমামের কথা মনে আছে তো? হৃদয়গ্রাহী ঐ চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা এ কে হানজালকে বলিউডে দুই শতাধিক ছবিতে দেখা গেছে। গুণী এই অভিনেতার জীবনের শেষ দিকে এসে নিদারুণ অর্থ কষ্টে কেটেছে । হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিলটাও দিতে পারছিলেন না। খবরটা জানতে পেরে মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন এগিয়ে আসেন। সে সময় অমিতাভ ২০ লাখ রুপি সহায়তা দেন ঐ অভিনেতাকে।
গীতাঞ্জলি নাগপাল: সফল মডেল গীতাঞ্জলি নাগপাল অনেক ফ্যাশন ডিজাইনারের জন্য র্যাম্পে হেঁটেছেন। মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেনও সে সময় তার সঙ্গী ছিলেন । পরবর্তী সময়ে বলিউডে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন গীতাঞ্জলি। কিন্তু সফল হননি। পরে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি এতোই নাজুক ছিল যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন গীতাঞ্জলি। ২০০৭ সালে তাকে দক্ষিণ দিল্লির রাস্তায় ভিক্ষা করতে দেখা যায়। পার্ক ও মন্দিরে রাত কাটাতেন। এমনকি অন্যের বাড়িতে ঝি-এর কাজ করে মাদকের টাকা যোগাড় করতেন। পরে নারীবাদী সংগঠন দিল্লি কমিশন ফর উইমেনের সহায়তায় মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। ২০০৮-এ তাকে নিয়ে বলিউডে ‘ফ্যাশন’ সিনেমা মুক্তি পায়। সুপারহিট ঐ ছবিতে তার চরিত্রে অভিনয় করেন কঙ্গনা রাণৌত।
ছিলেন আমির খানের বডিগার্ড, আজ বলিউড মাতাচ্ছেন সেই কেডি পাঠক ওরফে রণিত রায়

‘আদালত’ ধারাবাহিকের কেডি পাঠককে চেনেনা এমন লোক কমই আছে। কেডি পাঠক নামে পরিচিত বলিউডের অন্যতম এই জনপ্রিয় অভিনেতার নাম রনিত রায়। তারকা হিসাবে কেডি পাঠকের উত্থানের গল্প শুনলে চমকে যেতে হয়। তিনি একসময় বলিউডের পারফেকশনিস্ট বলে পরিচিত আমির খানের বডিগার্ড হিসেবে কাজ করেছেন, দেহরক্ষীর কাজ থেকে শুরু করে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তার পা রাখার গল্প রীতিমতো সিনেমার মতোই চমকপ্রদ।
বলিউডের সেই স্ট্রাগল সম্পর্কে একটি সাক্ষাৎকারে কেডি বনিত রায় বলেছেন, শখ ছিল আমার বড় গাড়ি থাকবে, মেয়েরা আমার নাম ধরে চিৎকার করবে। এরপর বুঝলাম সবটা এত সহজ নয়। দীর্ঘ পাঁচ-ছয় বছর আমার কোন কাজ ছিল না। পরবর্তী সময় বুঝতে পেরেছি, অভিনেতা হওয়ার সঙ্গে খ্যাতির কোন সম্পর্ক নেই।
এই সাক্ষাৎকারেই আমির খানের দেহরক্ষী হওয়ার কথা স্বীকার করে রনিত রায় বলেন, “ একসময় আমি আমির খানের বডিগার্ড ছিলাম। তবে আমার সৌভাগ্য যে, আমি আমির খানের সাথে দুই বছর থাকার সুযোগ পেয়েছিলাম। ওনার থেকে আমার কাজের প্রতি অধ্যবসায় ও আগ্রহের বিষয়টি শেখা। আমির খান আমার অনুপ্রেরণা।”
নিজের ব্যর্থতা গল্প বলতে গিয়ে জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেন, প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর আমির খানই আমাকে বাস্তবটা দেখান। তখন আমি গাড়ি-বাড়ির চিন্তা বাদ দিয়ে অভিনয়ে মন দিই। আরো শিখতে চেষ্টা করি।
এক সময় বলিউডের পরিচালকেরা তাকে কোন ছবিতে নিতে চাইতেন না। রনিত রায় সে কথা উল্লেখ করে বলেন, “ এক ম্যানেজার একবার বলেছিলেন, আমরা কেন রনিত রায়কে কাস্টিং করব? জুনিয়র আর্টিস্টরাও তার চেয়ে ভালো।” এরপর রনিত নিজের মধ্যে একটু একটু করে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন। যে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি একদিন তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলো, সেখান থেকেই তার কাজের অফার আসতে থাকে।
আরও পড়ুন: আদালতের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগ: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
বছর দুই আগে একবার সিনেমায় কাজ করার অফার এসেছিলো তার কাছে কিন্তু সিনেমাটি ভালো ছিলো না বলে, তিনি সেই অফার ফিরিয়েও দিয়েছিলেন। এভাবেই গাড়ি-বাড়ি ও খ্যাতির স্বপ্ন ভুলে নিজের অভিনয় সত্তাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন অভিনেতা এবং সে চেষ্টায় তিনি সফলও হয়েছেন বলা চলে।
রজকীয় ঝলক নিয়ে শাহরুখের প্রত্যাবর্তন: ‘পাঠান’ টিজার

দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটটে আর বাকি দুই মাসের মধ্যে বড় পর্দায় ফিরছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। আগামী ২৫শে জানুয়ারি প্রতীক্ষিত ‘পাঠান’ সিনেমার মাধ্যমেই হতে যাচ্ছে সেই কাঙ্কিত প্রত্যাবর্তন।
চলতি বছরের মার্চে প্রথম আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অনেক আগে থেকেই সিনেমাটি সংবাদ শিরোনামে রয়েছে। আর গেলো ২রা নভেম্বর শাহরুখ খানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘পাঠান’ টিজার প্রকাশ করলো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যশ রাজ ফিল্মস। প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ঝড় তুলেছে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘পাঠান’।
‘ওয়ার’ খ্যাত নির্মাতা সিদ্ধার্ত আনন্দ পরিচালিত সিনেমাটিতে শাহরুখ খানকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একজন দক্ষ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয়ে দেখা যাবে। প্রকাশিত টিজার থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসের অন্যতম স্টাইলিস্ট অ্যাকশন সিনেমা হতে যাচ্ছে এই ‘পাঠান’।
যশ রাজ ফিল্মসের স্পাই ইউনিভার্সের অংশ হিসেবে নির্মিত সিনেমাটিতে বলিউড বাদশা মুখোমুখি হবেন জন আব্রাহামের। আর এতে তার বিপরীতে থাকছেন দীপিকা পাডুকোন। ‘পাঠান’ টিজার দিয়ে আবারও বড় পর্দায় রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত শাহরুখ খানের।
প্রকাশিত টিজার থেকে জানা গেছে একটি মিশনে শত্রুদের হাতে ধরা পরে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা এই পাঠান। কেউই জানে না পাঠান বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে। তখনই দেখা যায় পাঠান রুপে শাহরুখ খানের দুর্ধর্ষ রুপ। এরপর পুরো টিজার জুড়েই রয়েছে অ্যাকশনের সেই মহড়া। ‘কিং অফ রোমান্স’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খানকে ভারতীয় সিনেমার দর্শকগণ দেখতে পাবেন সম্পূর্ন নতুন রুপে। শাহরুখ খানের পাশাপাশি ‘পাঠান’ টিজারে দীপিকা এবং জন আব্রাহামও মাত করেছেন ।
হকি মাঠে পরীমনি, দর্শকদের ভিড় সামলাতে হিমশিম পুলিশ

গেল বুধবারে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) হকি মাঠে আসবেন আলোচিত চিত্র নায়িকা পরীমনি ও তার স্বামী শরিফুল রাজ। কাজও হয় ঘোষণায়, যে কারণে আগের কয়েকদিনের তুলনায় ভাসানী স্টেডিয়ামে গতকাল দর্শকের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি।
তাছড়া প্রথম ম্যাচের বিরতিতে খেলা সম্প্রচার করা টি-স্পোর্টস ঘোষণা দিয়েছিল দ্বিতীয় ম্যাচের বিরতিতে থাকছে আরও আকর্ষণ। সেই আকর্ষণ যে রাজ-পরীমনি দম্পতির আগমন সেটা বুঝতে বাকি ছিল না দর্শকদের। প্রথম ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ভাসানী স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন পরীমনি। তবে দর্শকরা অনেক আগে থেকেই স্টেডিয়ামের গেটে ভিড় করেছিল তার আসার অপেক্ষায়।
দর্শকদের সে ভিড় এক সময় বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। শতশত ক্যামরা ও মোবাইল তাক করে স্টেডিয়ামের গেটে দাঁড়িয়েছিল ভক্তরা। পরীমনি ও তার স্বামী রাজকে ভেতরে নিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। ধাক্কাধাক্কির মধ্যে কোনো রকম পরীমনি দম্পতিকে ভেতরে নেওয়া হয়।
মন্তব্য