পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৬ বছর পূর্তি, চবিতে আলোচনা সভা
চবি প্রতিনিধি: পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৬ বছর পূর্তি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্বের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় চবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার চুক্তির কারণে আমরা আজ নিরাপদ পার্বত্য চট্টগ্রাম পেয়েছি। আজ ২৬ বছর পর একটা সুফল দেখছি আমরা। নিরাপদে আমরা যাতায়াত করতে পারি সবখানে। সরকারের আবেদনে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা রেখেছি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পকে অফার সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে আখ্যায়িত করে ছবি উপাচার্য বলেন, এখানে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা পর্যটন শিল্পকে উন্মুক্ত করে দিলে তরুণ যুকবদের সামাজিক কাজে আরও সম্পৃক্ত করা যাবে। একটা সময়ে আমরা শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামে মৃত্যুর খবর শুনতাম। কিন্তু এখন সেই অসময় কেটে গেছে। অসলো চুক্তি বা প্যারিস শান্তিচু্ক্তি ঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হলে আমাদের এই চু্ক্তি বিশ্বে মডেল হিসেবে তৈরি হয়েছে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, আগামীর নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন নির্বাচনী সুবাতাস বইছে। সবাই তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে একত্রিত হয়েছে। এই সাংসদরাই যেন আগামীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারে সে বিষয়ে সবার লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন বলে গুরুত্বারোপ করেন চবি উপাচার্য।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে ৭২ টি অনুচ্ছেদে চারটি ভাগ রয়েছে। তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম ১৮ মাসের শাসনে এই চুক্তি করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি নিষ্পত্তি আইন ২০১০ সংসদে পাস করেন। এই শান্তি চুক্তির ফলে ৭০০ জন আত্মসমর্পণকরী বিচ্ছিন্নতাবাদীকে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় যুক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে ১৯৭২ সালের সংবিধানে পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের নিয়ে বিশেষ আইন করা হয়েছিল। এই শান্তি চুক্তির একবছরের মাথায় একে মডেল হিসেবে নিয়ে গুড ফ্রাইডে চুক্তিতে ব্রিটেন ও উত্তর আয়রল্যান্ড স্বাক্ষর করা হয় বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. আনোয়ার সাঈদ।