ঢাকা, রবিবার, ১১ মে ২০২৫ ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
 
শিরোনাম

পাবিপ্রবি এবং বিওআরআই এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২২:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
পাবিপ্রবি এবং বিওআরআই এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন

পাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ এবং বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

রবিবার (৫ই ফেব্রুয়ারি) সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ভবনের ভার্চুয়াল রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এস মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন এবং বিওআরআই-এর মহাপরিচালক সৈয়দ মাহমুদ বেলাল হায়দার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. রাহিদুল ইসলাম রাহি।

সমঝোতা স্মারক চুক্তির আওতায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সমুদ্র সংক্রান্ত গবেষণা কাজে বিওআরআই’র সকল ধরনের সহযোগিতা পাবেন। তাদের গবেষণাকর্মও এক সাথে প্রকাশ করা হবে। সমঝোতার স্মারকের মাধ্যমে এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গবেষণা করতে পারবেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন সায়েন্স স্থাপন করেন। যেটি সমুদ্র নিয়ে গবেষণাকারী প্রথম প্রতিষ্ঠান, যারা এখনো কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের বঙ্গোপসাগরে সম্পদের ব্যাপক প্রাচুর্য রয়েছে। সেই সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগানোর জন্য সরকার ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপন করেছে। এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা খুবই উপকৃত হবেন। তারা সমুদ্র নিয়ে গবেষণা করতে পারবেন। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে উন্নত, দক্ষ হবেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন এবং বিওআরআই-এর পক্ষে মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সৈয়দ মাহমুদ বেলাল হায়দার সমঝোতা স্মারকে স্মাক্ষর করেন।

এছাড়া এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ূন কবির, রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ের রেজাউর রহিম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিবুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক মেহেদী হাসান, রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য বিওআরআই হলো সমুদ্র নিয়ে গবেষণাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সরকার ২০১৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করে। ২৭ জন সমুদ্র বিজ্ঞানী এর গবেষণা কাজের সাথে জড়িত আছেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ইবিতে প্রধান ফটকে ফের তালা দিয়ে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:১৪
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ইবিতে প্রধান ফটকে ফের তালা দিয়ে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

    মোস্তাক মোর্শেদ, ইবিঃ আন্তঃবিভাগ খেলা চালু সহ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে দল পাঠানোর দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

    রবিবার (৫ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে সাড়ে তিনটার দিকে প্রক্টর অফিসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ। এতে নির্ধারিত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস না চলায় ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

    শিক্ষার্থীরা জানায়, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ইভেন্টগুলোতে দল পাঠানোর জন্য ন্যূনতম এক মাস আগে থেকেই দল তৈরি করতে হয়। তারপর প্র‍্যাক্টিস করে খেলায় অংশগ্রহণ করতে হয়। কিন্তু সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো দলই তৈরি করা হয় নি। এছাড়াও গত তিন বছর করোনার জন্য কোনো অভ্যন্তরীণ খেলাধুলা হয়নাই। করোনার পরেও প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো উদ্যেগ নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোতে চিঠি দিয়ে দিয়ে হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন এবং টেবিলটেনিস খেলাগুলোর ফিকশ্চার তৈরি করা হলেও খেলাগুলোর কোনো কার্যক্রম দেখা যায় নি।

    এসময় শিক্ষার্থীরা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ইভেন্ট গুলোতে দ্বিধাহীন ভাবে অংশগ্রহণ করার দাবি জানায়। এছাড়াও দাবি করেন ইন্টারনাল গেম গুলো যেমন হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল, ক্রিকেট, ফুটবল, টেবিল টেনিস যত ধরনের খেলা আছে প্রত্যেকটা গেম অ্যারেঞ্জ করার এবং একটি বাৎসরিক ক্রীড়া সূচি দেওয়ার।

    আন্দোলনে অংশে নেয়া ইবি ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি এইচ.এম বুলবুল বলেন, গত বঙ্গবন্ধু চ্যাম্পিয়নশিপে আমাদের বাস্কেটবল টিম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। আমাদের ভিসি স্যারও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছিলো। যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেপুটেশন বাড়ে সেখানে বারবার কেনো এই খেলার কার্যক্রম গুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এর আগে যখন গেট বন্ধ করেছিলাম তখন প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলো আমাদেরকে নিয়ে প্রক্টর অফিসে মিটিং ও করেছিলো। কিন্তু সেই আশ্বাসের এতোদিন পরেও আমরা কোনো রেজাল্ট পাই নাই। কয়েকদিনপর আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট খেলা শুরু হওয়ার কথা কিন্তু সেটিও নাকি বাজেটের কারণে বন্ধ হওয়ার পথে।

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. সোহেল বলেন, পূর্নাঙ্গ টিম গঠনের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত বাজেট নেই। বিষয়গুলো উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য স্যারকে জানানো হয়েছে।

    এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের এ দাবির বিষয়গুলো আমাকে জানানো হয়নি। তবে কারো কোনো দাবি থাকলে সেগুলো আলোচনার টেবিলে সমাধান করা উচিত। গেটে তালা দিয়ে দাবি আদায়ের সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      জাবিতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:১১
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      জাবিতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন

      জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ক্যাম্পাসে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ এর নবীন শিক্ষার্থী জাহিদের দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যাক্তির শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

      রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো - ক) ক্যাম্পাসের রাস্তায় মোটরচালিত যানবাহনের জন্য গতিসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া এবং গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গতিরোধক নির্মাণ করা। খ) নম্বরপ্লেট ও বৈধ কাগজপত্রহীন যানবাহন শনাক্ত করে সেগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ ঘোষণা করা। গ) লাইসেন্সবিহীন যানবাহন চালকদের ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা ও এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। ঘ) পথচারীদের জন্য ক্যাম্পাসের সড়কের দুই পাশে স্বতন্ত্র ফুটপাত /ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা।

      মানববন্ধনে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া ফেরদৌসীর সঞ্চালনায় কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলো আরও বিস্তৃত করতে হবে এবং সড়কগুলোর পাশে ফুটপাত দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে গাড়ির আনাগোনা বেড়েছে, সেই সাথে শিক্ষার্থীদেরও সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়কগুলোতে নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে হবে।"

      জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি রাকিব আহমেদ বলেন, "দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যাক্তি যেই হোন না কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুসারে বিচার করতে হবে এবং একই ধরনের ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসনকে নিশ্চয়তা দিতে হবে। সেই সাথে আমাদের দাবিদাওয়া পূরণ না হলে এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে "

      নুর হাসান নাঈম, জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, বলেন, " বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীর জন্য এটি একটি মর্মাহত ঘটনা।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এধরনের ঘটনায় বারংবার অবহেলা প্রদর্শন দুঃখজনক। এখন থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কোনো শিক্ষার্থীর জন্য যেন দুর্ঘটনার কারণ না হয়।”

      এছাড়াও, মানববন্ধনে "মানববন্ধনে ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া ফেরদৌসের সঞ্চালনায় এবং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রাকিব আহমেদ এর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবীকি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো.এমরান জাহান,অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মো. সোহেল রানা, অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান, অধ্যাপক কবিরুল বাশার, অর্থনীতি বিভাগের মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক মো.সালেকুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো.এজহারুল ইসলাম, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম,ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় এবং ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ প্রমুখ।"

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ ১৩ বিভাগ

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:০
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ ১৩ বিভাগ

        জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি বিভাগ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের নূন্যতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। কিন্তু এই অনুপাত বজায় রাখেনি বিভাগগুলো ।

        বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২৪টি বিভাগে পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে ফোকলোর এবং আইন ও বিচার বিভাগ। বিভাগ দুটিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১:৩৮। অর্থাৎ প্রতি ৩৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য বিভাগটিতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন। যা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের মানদণ্ডের ধারে-কাছেও নেই। এরপরের অবস্থানে রয়েছে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ।

        এছাড়া যেসব বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই সেগুলো হলো- ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, অর্থনীতি, পপুলেশন সায়েন্স, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, নৃবিজ্ঞান ও চারুকলা, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগ। এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে ভালো অবস্থান নিয়ে শঙ্কা পরিসংখ্যান বিভাগে। বিভাগটিতে ১২১ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র ৪ জন শিক্ষক রয়েছে।

        ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার বলেন, "আমি জানি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। শিক্ষার গুণগত মান ঠিক রাখতে এই অনুপাত কমানোর বিকল্প নেই। তবে শিক্ষার্থী সংখ্যা না কমিয়ে শিক্ষক বাড়ানো উচিত। নাহলে বড় সংখ্যক শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।"

        শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ সুজন আলী বলেন, "আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত নিশ্চিত করা উচিত। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা থাকায় নতুন কিছু বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে তারতম্য হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে এটি সমাধান হবে।"

        ইউজিসির প্রতিবেদনে আরো দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৬ হাজার ৫ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ২৬৮ জন। অর্থাৎ প্রতি ২২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন একজন করে। এর মধ্যে আবার ৩৫ জন শিক্ষক আছেন শিক্ষাছুটিতে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          তরুণ ও যুব সমাজকে গ্রন্থাগারমুখী হওয়ার আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৮:১১
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          তরুণ ও যুব সমাজকে গ্রন্থাগারমুখী হওয়ার আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের

          জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির যুগে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে বই পড়ার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সে কারণে তরুণ ও যুব সমাজকে গ্রন্থাগারমুখী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

          রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আনন্দ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হয়। ‘স্মার্ট গ্রন্থাগার, স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাবির তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ। শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে উপাচার্য এ কথা বলেন।

          উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জ্ঞান চর্চা ও নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে গ্রন্থাগারের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত গ্রন্থাগারে যেতে হবে। গ্রন্থাগারের জ্ঞান ভান্ডার সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদ্যাপন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের গ্রন্থাগারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও এর সদ্ব্যবহারের জন্য শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের  প্রতি আহবান জানান।

          শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এস এম মান্নান এবং অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক বক্তব্য রাখেন। এতে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশ নেন।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত