দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য একটি ‘ইউনিক আইডি’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত সব তথ্য থাকবে।
করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ইউনিক আইডি তৈরির কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেলেও এখন তা আবার পুরোদমে শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ থেকে ইউনিক আইডির সফটওয়্যারে শুরু হয়েছে ডাটা এন্টির কাজ।
রোববার রাতে ইউনিক আইডির প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলমের সই করা এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
জানতে চাইলে শামসুল আলম বলেন, সফটওয়্যারে এন্ট্রি দেয়ার মাধ্যমে আজ থেকে ইউনিক আইডি তৈরির সর্বশেষ ধাপের কাজ শুরু হলো। যে সব শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি দেয়া শেষ হবে তারা পর্যায়ক্রমে ইউনিক আইডি পেতে থাকবে।
অফিস আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যানবেইস কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন IEIMS প্রকল্পের আওতায় CRVS ব্যবস্থার আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের (ষষ্ঠ- দ্বাদশ শ্রেণি) শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল ডাটাবেইজ তৈরি ও ইউআইডি প্রদানের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে তথ্যছক পূরণের কার্যক্রম চলমান আছে। আজ থেকে সফটওয়্যারে ডাটা এন্ট্রি ও আপলোড শুরু হবে। যা আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার অনুরোধ করা হলো।
আরও বলা হয়, সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীর পিতা/মাতা/ অভিভাবকের জন্ম নিবন্ধন ১৭ ডিজিটে দিতে হবে। অর্থ্যাৎ এই জন্মসনদ নম্বর ১৩ ডিজিট বিশিষ্ট হলে এন্ট্রি দেয়ার সময় জন্মসাল যুক্ত করতে হবে।
যেভাবে ডাটা এন্ট্রি দিতে হবে
ব্যানবেইজ এর ওয়েবসাইট থেকে (www.banbeis.gov.bd) থেকে IEIMS মেন্যুতে গিয়ে ইউনিক আইডির লাইভ সার্ভার এ ক্লিক করে CRVS Institution Login page এ যেতে হবে। অথবা http://crvs-institute.banbeis.gov.bd/ এ ক্লিক করে CRVS Institution Login page এ যেতে হবে।
সফটওয়্যারে এন্ট্রি ও আপলোড করার কাজে দায়িত্বপালকারী শিক্ষকদের ইউজার আইডি ও পাসওর্য়াড তৈরি করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান পাসওয়ার্ড পরির্বতন করতে পারবেন। এ্যাডমিন হিসেবে প্রতিষ্ঠান প্রধান সর্বোচ্চ পাঁচটি ইউজার আইডি তৈরি করতে পারবে। তবে ইউজার আইডি ও পাসওর্য়াড দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ছাড়া হস্তান্তরযোগ্য নয়।