The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪

বিশ্বের শীর্ষ ০.১ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকায় ড. মীর্জা হাছানুজ্জামান

বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় আবারো স্থান করে নিয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মীর্জা হাছানুজ্জামান। বিশ্বের শীর্ষ ০.১ শতাংশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশের এই গর্বিত শিক্ষক।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক ও অ্যাকাডেমিক গবেষণা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ক্লারিভেট অ্যানালিটিক্‌স প্রকাশিত তালিকায় এই চিত্র উঠে এসেছে।

ক্লারিভেট অ্যানালিটিক্‌স উদ্ভাবনের গতি তরান্বিত করেছেন এমন বিজ্ঞানীদের তথ্যসূত্র বিশ্লেষণ করে এই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। প্রতি বছর হাইলি সাইটেড রিসারচারস তথা সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী বিজ্ঞানীদের এই তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী বিজ্ঞানীদের এই তালিকায় তাদেরকেই স্থান দেওয়া হয়েছে, যারা ধারাবাহিকভাবে সমকক্ষ আন্তর্জাতিক গবেষকদের স্বীকৃতি লাভ করেছেন। এসব বিজ্ঞানীকে শনাক্তে তাদের তথ্যসূত্র বা তাদের সম্পর্কে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহৃত উদ্ধৃতিসমূহ বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

এ বছর ২১টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬ হাজার ৯৩৮ জন বিজ্ঞানীর নামের তালিকা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ওয়েব অব সায়েন্স কোর কালেকশন অনুযায়ী হাসানুজ্জামানের গবেষণাপত্র ১০ হাজার এর অধিক বার সাইটেশন করা হয়েছে।

‘প্ল্যান্ট অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স’ ক্যাটাগরিতে ১৮৫ জনের তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশি গবেষক হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক হাছানুজ্জামান। ক্লারিভেট এনালাইটিক্স অনুযায়ী এবারের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সংখ্যক লেখক ও গবেষক জায়গা পেয়েছেন। যা ৩৮.২ শতাংশ এবং সর্বাধিক হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৩৩ জন গবেষকের নাম তালিকায় এসেছে। এরপরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য ও চীন।

ড. মীর্জা হাছানুজ্জামান ‘প্ল্যান্ট অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স’ ক্যাটাগরিতে তলিকাভুক্ত হন। ওয়েব অফ সায়েন্স অনুযায়ী বিভিন্ন জার্নালে তার ১৯১টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তার এই অর্জনের জন্য তার পরিবার, শিক্ষক, সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও সমন্বয়কদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ওয়েব অফ সায়েন্স ডাটাবেজ মতে, ড. মীর্জা হাছানুজ্জামানের সাইটেশন সংখ্যা ১০ হাজারের অধিক। এছাড়াও রয়েছে ১ হাজার ২৭৪ ভেরিফাইড পিয়ার রিভিউ। ২০১৭ সালে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এন্ডেভার রিসার্চ ফেলোশিপ অর্জন করেন তিনি। গতবছর তিনি ক্রস ফিল্ড ক্যাটাগরিতে হাইলি সাইটেড গবেষকদের তালিকাতেও ছিলেন।

এরপর আগে, ২০১৫ সালে জাপানিজ সোসাইটি ফর প্রমোশন অব সায়েন্স (জেএসপিএস) ফেলোশিপ এবং ২০০৯ সালে মনবুকাগাকশু বৃত্তি লাভ করেন। জীববিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৪ সালে দ্য ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্স ইয়াং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন বাংলাদেশি এই বিজ্ঞানী।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.