The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

চবিতে রিসার্চ পাবলিকেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

সারওয়ার মাহমুদ, চবিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ‘কম্যুউনিকেশন এন্ড জার্নালিজম রিসার্চ এসোসিয়েশন’ এর উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘ওয়ার্কশপ অন রিসার্চ এন্ড পাবলিকেশন’ শীর্ষক দুই পর্বের একটি গবেষণা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান প্রায় পাচঁ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি শিক্ষকরাও অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান করা হয়।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে সকাল নয়টায় কর্মশালার প্রথম পর্ব শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা একটায়। দুপুর দুইটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স কক্ষে কর্মশালার দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালাটিতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের ল্যাঙ্কাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেব আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে,সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ দৌলাহ রেজিস্টর অধ্যাপক মুনিরুল হাসান,চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, মোরশেদুল ইসলাম,চুয়েটের সাবির হোসেন প্রমুখ।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান বলেন, বর্তমানে পৃথিবীতে এমন কোনো ফিল্ড নেই যেখানে গবেষণার প্রয়োজন নেই। গবেষণা একটি প্রতিষ্ঠানকে যেমন সামনের দিকে এগিয়ে নেয়, তেমনি একজন শিক্ষার্থীকেও তার কাঙ্খিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যেটি দরকার তা হলো সেল্ফ মোটিভেশন। কেননা গবেষণা এমন একটি কাজ যেখানে আপনি অল্পতেই সফল হতে পারবেন না। আবার অন্যদের থেকেও খুব একটা সাহায্য পাবেন না। আপনার নিজেকেই নিজের সাহায্য করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের শিল্পকারখানা বিশ্বের প্রতিটি দেশেই বিখ্যাত। এটা সম্ভব হয়েছে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন পণ্য আবিষ্কারের ফলে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের তুলনায় আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা অনেক মেধাবী। তবে একজন সফল গবেষক হতে হলে প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি, মনোবল এবং ধৈর্য।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক বেনু কুমার দে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে গবেষণার বিকল্প নেই। গবেষণার মাধ্যমে আমরা অনেক অজানা বিষয় থেকে নতুন কিছু জানতে পারছি এবং এটাকে কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

সভাপতির বক্তব্যে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. মো. শহীদুল হক বলেন, এই কর্মশালাটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ। কারণ গবেষণা ছাড়া আপনি আজকের এই দুনিয়ায় সামনের দিকে এগোতে পারবেন না। বর্তমান পৃথিবীর সবগুলো সেক্টরে গবেষণা আছে। এমনকি আপনি যদি উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চান তাহলে গবেষণা করা এবং গবেষণা করতে জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি মনে করি এই গবেষণা কর্মশালার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে ভালো গবেষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাইদুর রহমান ২০২০ সালে ল্যাঙ্কাস্টার জরিপে সেরা চার গবেষকের একজন হচ্ছেন বিশ্বের নামকরা ৬ শতাধিক জার্নালে তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর গবেষণাপত্র বিশ্বের অন্যান্য গবেষকের কাছেও বেশ সমাদৃত।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. চবিতে রিসার্চ পাবলিকেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

চবিতে রিসার্চ পাবলিকেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

সারওয়ার মাহমুদ, চবিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ‘কম্যুউনিকেশন এন্ড জার্নালিজম রিসার্চ এসোসিয়েশন’ এর উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘ওয়ার্কশপ অন রিসার্চ এন্ড পাবলিকেশন’ শীর্ষক দুই পর্বের একটি গবেষণা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান প্রায় পাচঁ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি শিক্ষকরাও অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান করা হয়।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে সকাল নয়টায় কর্মশালার প্রথম পর্ব শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা একটায়। দুপুর দুইটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স কক্ষে কর্মশালার দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালাটিতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের ল্যাঙ্কাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেব আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে,সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ দৌলাহ রেজিস্টর অধ্যাপক মুনিরুল হাসান,চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, মোরশেদুল ইসলাম,চুয়েটের সাবির হোসেন প্রমুখ।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান বলেন, বর্তমানে পৃথিবীতে এমন কোনো ফিল্ড নেই যেখানে গবেষণার প্রয়োজন নেই। গবেষণা একটি প্রতিষ্ঠানকে যেমন সামনের দিকে এগিয়ে নেয়, তেমনি একজন শিক্ষার্থীকেও তার কাঙ্খিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যেটি দরকার তা হলো সেল্ফ মোটিভেশন। কেননা গবেষণা এমন একটি কাজ যেখানে আপনি অল্পতেই সফল হতে পারবেন না। আবার অন্যদের থেকেও খুব একটা সাহায্য পাবেন না। আপনার নিজেকেই নিজের সাহায্য করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের শিল্পকারখানা বিশ্বের প্রতিটি দেশেই বিখ্যাত। এটা সম্ভব হয়েছে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন পণ্য আবিষ্কারের ফলে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের তুলনায় আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা অনেক মেধাবী। তবে একজন সফল গবেষক হতে হলে প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি, মনোবল এবং ধৈর্য।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক বেনু কুমার দে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে গবেষণার বিকল্প নেই। গবেষণার মাধ্যমে আমরা অনেক অজানা বিষয় থেকে নতুন কিছু জানতে পারছি এবং এটাকে কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

সভাপতির বক্তব্যে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. মো. শহীদুল হক বলেন, এই কর্মশালাটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ। কারণ গবেষণা ছাড়া আপনি আজকের এই দুনিয়ায় সামনের দিকে এগোতে পারবেন না। বর্তমান পৃথিবীর সবগুলো সেক্টরে গবেষণা আছে। এমনকি আপনি যদি উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চান তাহলে গবেষণা করা এবং গবেষণা করতে জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি মনে করি এই গবেষণা কর্মশালার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে ভালো গবেষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাইদুর রহমান ২০২০ সালে ল্যাঙ্কাস্টার জরিপে সেরা চার গবেষকের একজন হচ্ছেন বিশ্বের নামকরা ৬ শতাধিক জার্নালে তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর গবেষণাপত্র বিশ্বের অন্যান্য গবেষকের কাছেও বেশ সমাদৃত।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন