অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে পারবেন শিক্ষকরা

নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না শিক্ষকরা। তবে অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ জনকে কোচিং করানো যাবে। শিক্ষা আইনের খসড়ায় এই সুযোগ রাখা হয়েছে। খসড়াটি চূড়ান্ত করে পাঠানো হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এটি আইন মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হবে। এরপর যাবে জাতীয় সংসদে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষকদের কোচিং বা প্রাইভেট একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হবে না। ক্লাসে কিছু শিক্ষার্থী দুর্বল থাকে তাদের বাড়তি চর্চা করতে হয়। যাদের প্রয়োজন হবে তারা এসব স্থানে যাবে। তাতে কোনো বাধা থাকবে না।
তিনি বলেন, সব শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের পক্ষেও পড়াশোনার বিষয়ে সন্তানকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে তারা কোচিং-প্রাইভেটে পড়তেই পারে। কিন্তু সমস্যা হলো, অনেক শিক্ষক ক্লাসে ঠিকমতো না পড়িয়ে তাদের কাছে শিক্ষার্থীদের পড়তে বাধ্য করেন, সেটি অনৈতিক। এটিকেই আমরা বন্ধ করতে চাই।
এদিকে শিক্ষা আইনের খসড়ায় দেখা গেছে, বিভিন্ন কোচিং সেন্টার ও সহায়ক বইয়ের বৈধতা দিয়ে চূড়ান্ত হচ্ছে শিক্ষা আইন-২০২১। এক্ষেত্রে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত একাডেমিক ও ভর্তির জন্য যে সব কোচিং সেন্টার রয়েছে সেগুলোকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে।
তবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের নোটবই, গাইডবই ক্রয় বা পাঠে বাধ্য করেন তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, ব্যবস্থাপনা কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তবে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সহায়ক বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ ও বাজারজাত করা যাবে।
মধ্য আগস্টে হতে পারে এসএসসি, বই লাগবে ১১,২৬৮ পরীক্ষার্থীর

বন্যার কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় এসএসসি ও দাখিলের মোট ১১ হাজার ২৬৮ পরীক্ষার্থীর পাঠ্যবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; যাদের নতুন বই দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত পরীক্ষার্থীদের হাতে বই দেওয়ার পর কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি শিক্ষা বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, মধ্য আগস্টে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরীক্ষা নিয়ে ১৭ জুলাই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ওই সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানা যেতে পারে। আর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বই দেওয়ার কাজটি করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গত ১৯ জুন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিলেট, সুনামগঞ্জসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় ভয়াবহ বন্যার কারণে পরীক্ষা শুরুর দুই দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। ফলে এসএসসি ও সমমানের প্রায় ২০ লাখ ২২ হাজার পরীক্ষার্থী অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গত বুধবার বলেন, পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে আছে। কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীরা এখনো বাড়ি ফিরতে পারেনি। কতজন পরীক্ষার্থীর বইপত্র বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের হাতে বইগুলো পৌঁছানোর পর অন্তত দুই সপ্তাহ প্রস্তুতির জন্য সময় দিতে হবে। তারপর এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া যাবে।
চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার বই সিলেট ও সুনামগঞ্জে এনসিটিবির দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সিলেট আঞ্চলিক উপপরিচালক সিলেট ও সুনামগঞ্জেই পরীক্ষার্থীদের পাঠ্যবই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন। সুনামগঞ্জে পাঠ্যবই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী ৮ হাজার ১৬৩ জন এবং দাখিল পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২৩ জন। আর সিলেটে পাঠ্যবই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী ৫৩৪ জন এবং ১৪৮ জন দাখিল পরীক্ষার্থী রয়েছে। তবে এই দুই জেলায় এসব পরীক্ষার্থীসহ মাধ্যমিকের অন্যান্য শ্রেণি মিলিয়ে পাঠ্যবই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মোট শিক্ষার্থী এক লাখের কিছু বেশি। হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এনসিটিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বেশ কিছুসংখ্যক বাড়তি বই রয়েছে। সেগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বই যাবে সুনামগঞ্জে। আর কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বই দেওয়া হবে সিলেটে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের কাছে।
আগামী রোববারের মধ্যে এসব বই সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলায় পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম।
সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাঁরা আশা করছেন, ছুটি শেষে ২০ জুলাই বিদ্যালয় খুললে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারবেন।
এইচএসসি অক্টোবরে এদিকে বন্যার কারণে এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও পিছিয়ে যাচ্ছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ছিল আগামী ২২ আগস্ট। তবে শিক্ষা বোর্ডগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রস্তুতির জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যে দুই মাসের বিরতির দরকার হয়। তাই এসএসসি পরীক্ষা যদি মধ্য আগস্টে শুরু করা যায়, তাহলে এইচএসসি পরীক্ষা হবে অক্টোবর মাসে।
এমপিওভুক্তির আওতায় আসছেন ২৭১৬ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী

নতুন করে ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছে সরকার। এবার এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্তির আওতায় আনার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। চলতি মাসে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে।
মাউশি থেকে জানা গেছে, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আওতায় আনতে দ্রুত সময়ে আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে। সে লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার মাউশিতে একটি সভা হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন মাউশির মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী। সভায় দেশের সব জেলার উপ-পরিচালকদের কাছ থেকে এ বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া হয়।
জানা গেছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তিতে যেন কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি ও ভোগান্তি না হয় সে জন্য সব উপ-পরিচালকদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। তারা নানাভাবে এ সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে কীভাবে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও বেতন-ভাতার আওতায় আনা যায় সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে এমপিওর আওতায় আসা স্কুল-কলেজগুলোকে ইআইআইএন নম্বর যুক্ত করা হচ্ছে। এরপর কর্মরতদের এ নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বৃহস্পতিবার বলেন, এমপিওভুক্তির আওতায় আনতে কবে থেকে আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। তবে এ সংক্রান্ত সভা ডাকা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। সেখানে পরবর্তী কার্যক্রমের সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরপর মাউশি থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছে আবেদন চাওয়া হবে।
তিনি বলেন, এমপিভুক্ত কার্যক্রমে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে বাড়তি নজরদারি করা হবে। নিয়মিত মনিটরিং করবেন মাউশির কর্মকর্তারা। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে ৬ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ২ হাজার ৫১টি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি কলেজ এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। আর কারিগরি ও মাদরাসা পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হয়েছে ৬৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় নতুন ২ হাজার ৫১টি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৬৬টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ১২২টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩৬টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ১০৯টি এবং ডিগ্রি কলেজ ১৮টি।
কারিগরি এবং মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ৬৬৫টি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে এসএসসি ভোকেশনাল অথবা দাখিল ভোকেশনাল ৯৭টি, এইচএসসি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি ২০০টি, ডিপ্লোমা ইন অ্যাগ্রিকালচার দুটি, দাখিল মাদরাসা ২৬৪টি, আলিম মাদরাসা ৮৫টি, ফাজিল মাদরাসা ৬টি এবং কামিল মাদরাসা ১১টি।
শিল্পকলা একাডেমিতে একাধিক পদে চাকরি, আবেদন ফি ২০০

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি একাধিক পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানে গ্রেড–১২ থেকে ১৯ পর্যন্ত সাতটি পদে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
১. পদের নাম: ক্যালিগ্রাফিস্ট
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: হস্তশিল্পীলিপিকার/হস্তলিখন ও নকশা অঙ্কন কাজে দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতাসহ চারুকলায় স্নাতক ডিগ্রি। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পাস।
বয়স: ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ১১,৩০০–২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড–১২)
যেসব জেলার প্রার্থীদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই: ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, নরসিংদী, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও নেত্রকোনা। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি–নাতনি, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
২. পদের নাম: মাইক্রোফোন অপারেটর
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: ইলেকট্রনিকসে ডিপ্লোমাসহ মাইক্রোফেন অপারেটর হিসেবে এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)
যেসব জেলার প্রার্থীদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই: ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, নরসিংদী, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও নেত্রকোনা। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনি, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
৩. পদের নাম: ডিমার অপারেটর
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: ইলেকট্রনিকসে ডিপ্লোমাসহ ডিমার অপারেটর হিসেবে এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)
যেসব জেলার প্রার্থীদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই: ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, নরসিংদী, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও নেত্রকোনা। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনি, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
৪. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার ব্যবহারসংক্রান্ত ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডেটা এন্ট্রি ও টাইপিং ইত্যাদির সর্বনিম্ন গতি থাকতে হবে বাংলায় প্রতি মিনিটে ২৫ এবং ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৩০ শব্দ। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি থাকতে হবে বাংলায় প্রতি মিনিটে ৪৫ এবং ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৭০ শব্দ।
বয়স: ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
যেসব জেলার প্রার্থীদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই: ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, নরসিংদী, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও নেত্রকোনা। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনি, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
৫. পদের নাম: উচ্চমান সহকারী
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: স্নাতক ডিগ্রি
বয়স: ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
যেসব জেলার প্রার্থীদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই: ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, নরসিংদী, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও নেত্রকোনা। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনি, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
৬. পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: স্বীকৃত বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ বিষয়ে কারিগরি সার্টিফিকেটসহ এসএসসি পাস।
বয়স: ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
যেসব জেলার প্রার্থীদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই: ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, নরসিংদী, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও নেত্রকোনা। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনি, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
শিল্পকলা একাডেমিতে একাধিক পদে চাকরি, আবেদন ফি ২০০ ৭. পদের নাম: সহকারী পেইন্টার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: অষ্টম শ্রেণি পাস। পেইন্টিং কাজে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)
যেসব জেলার প্রার্থীদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই: মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, বাগেরহাট, মাগুরা, নড়াইল, বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও নেত্রকোনা। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনি, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা
আবেদনকারীর বয়স ২০২২ সালের ৬ জুলাই ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি–নাতনি ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর।
আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইট থেকে ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। আবেদনপদ্ধতি, ফি জমাদান ও নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংক থেকে জানা যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক থেকে ১২১ নম্বরে ফোন অথবা vas.query@teletalk.com.bd বা secretary@shilpakala.gov.bd ঠিকানায় মেইলে যোগাযোগ করা যাবে।
আবেদন ফি
অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২৪ টাকাসহ মোট ২২৪ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোন নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: ২৬ জুলাই ২০২২, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
শিক্ষা আইন নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানো যাবে না

বহুল আলোচিত শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের বাইরে শিক্ষকদের কোচিং–প্রাইভেটের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না।
তবে শিক্ষাবিদেরা মনে করছেন, এটি বাস্তবায়ন করা দুরূহ হবে। কারণ, সারা দেশে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; সেখানে কে কাকে পড়াচ্ছেন সেটি দেখবেন কে?
২০১১ সাল থেকে শিক্ষা আইনের খসড়া নিয়ে আলোচনা চলছে। অভিযোগ আছে, নোট-গাইড বা সহায়ক বই এবং কোচিং-প্রাইভেটের মতো কিছু বিষয় রাখা না-রাখা নিয়েই আইনের খসড়াটি এত দীর্ঘ বছর ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে। অবশেষে শিক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়ন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা খসড়া অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে পাঠদানের জন্য কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা নিষিদ্ধ বলে গণ্য হবে না। তবে কোচিং সেন্টারে কোনো শিক্ষক তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাতে পারবেন না। এমনকি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেটও পড়াতে পারবেন না। কোচিং চালাতে গেলে নিবন্ধন নিতে হবে।
তবে সরকার নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে ও অভিভাবকদের সম্মতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রমের বাইরের সময় অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা যাবে। অবশ্য এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশ রয়েছে। কিন্তু সেটি যথাযথভাবে মানা হয় না; বরং শিক্ষকদের প্রাইভেটের প্রতি ঝোঁক বেশি।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রথম আলোকে বলেন, কোচিং–প্রাইভেট একেবারে বন্ধ করা যাবে না। কারণ, কিছু শিক্ষার্থী থাকে অন্যান্য শিক্ষার্থীর চেয়ে তুলনামূলক দুর্বল। আবার সব শিক্ষার্থীর মা–বাবার পক্ষেও পড়াশোনার বিষয়ে সন্তানকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে তারা কোচিং–প্রাইভেট পড়তেই পারে। কিন্তু সমস্যা হলো, অনেক শিক্ষক ক্লাসে ঠিকমতো না পড়িয়ে তাঁদের কাছে শিক্ষার্থীদের কোচিং–প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন, যা অনৈতিক। এটিকেই তাঁরা বন্ধ করতে চান।
প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় নোট–গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। কেউ এই বিধান লঙ্ঘন করলে জেল–জরিমানা ভোগ করতে হবে। ১৯৮০ সালে করা একটি আইনেও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নোট-গাইড নিষিদ্ধই আছে। এ জন্য এখন নোট-গাইডের পরিবর্তে অনুশীলন বই বা সহায়ক পাঠ্যবই চলছে। প্রস্তাবিত আইনেও সরকারের অনুমোদন নিয়ে সহায়ক বই বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সহায়ক বই কেনা বা পাঠে বাধ্য করতে পারবেন না। এসব বই কিনতে বা পাঠে বাধ্য বা উৎসাহ দিলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রথম আলোকে বলেন, সহায়ক বই থাকতেই পারে। তবে এখন দেখা যায়, যারা এসব সহায়ক বই ছাপে, তারা অনৈতিকভাবে কিছু শিক্ষককে কমিশন দিয়ে ওই প্রকাশনীর বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে। এ জন্য আইনের খসড়ায় সহায়ক বই থাকলেও এসব অনৈতিক কাজ যাতে না হয়, সেটি বন্ধের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হলে কোচিং–প্রাইভেটের প্রয়োজন হবে না বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।
তদারক করবেন কে যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, এখন সারা দেশে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় কে কাকে প্রাইভেট পড়াবেন, সেটি কে তদারক করবেন? তাই যেটি করতে হবে সেটি হলো, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পড়া শেষ করার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক লাগবে। আর এটি করতে হলে শিক্ষকের পর্যাপ্ত সম্মান, মর্যাদা ও আর্থিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আর নোট–গাইড বন্ধ করে সহায়ক বইয়ের সুযোগ থাকলে কার্যত একই হবে।
এ ক্ষেত্রে নোট–গাইডের জায়গায় কেবল সহায়ক বই লিখবেন।
মন্তব্য