The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪

৩ কোটি বইয়ের ঘাটতি নিয়ে নতুন বছর শুরু

নতুন বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই দেয়ার উৎসব শুর হচ্ছে। তবে সাড়ে ৩ কোটি মুদ্রণ বাকি রেখেই আজ শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক স্তরে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ কোটি বই বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার ২০২টি। আর প্রাথমিক স্তরে বিতরণ করা হবে প্রায় ১০ কোটি বই।

সূত্র জানায়, প্রায় ২০০টি ছাপাখানার মাধ্যমে বই ছাপানোর কাজ চলছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত প্রাথমিকে ৯ কোটি ২৭ লাখ ৬২ হাজার ২৩২ এবং মাধ্যমিকে ২১ কোটি ৯২ লাখ ২০ হাজার ৫৫৫টি সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। এই হিসাবে প্রাথমিকে ৭০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪২ এবং মাধ্যমিকে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৪২ হাজার ৭০১টি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনসিটিবি সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আইন অনুযায়ী, মুদ্রণকারীরা মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত বই সরবরাহের সময় পান। কিন্তু সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসাবে তারা এবার বেশ সহযোগিতা করেছে। তাদের সহযোগিতায় বাকি কাজটুকুও লক্ষ্যমতো শেষ হবে বলে আশা করছি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, যে পরিমাণ বই ছাপানোর কথা বলা হয়েছে মাঠ পর্যায়ে তত বই পৌঁছায়নি। এক কোটি বই এখনো ট্রাকে পথে আছে। ​বই ছাপায় বেহাল দশার কারণেই করোনার দোহাই দিয়ে এবার ১৩ দিন ধরে বই বিতরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মূলত বই মুদ্রণ শেষ করতে এবার গোটা জানুয়ারি মাস লেগে যেতে পারে। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীরা সব বই একসঙ্গে নাও পেতে পারে।

এদিকে মাঠ পর্যায়ে বই বিতরণে দায়িত্বে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ ব্যাপারে সংস্থাটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, যদি সব বই না যায় তাহলে ধাপে ধাপে দেওয়া হবে। এটা বড় কোনো সমস্যা নয়। কেননা, জানুয়ারিতে ক্লাস কম হয়। ।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সাল থেকে দেশে প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে বই দিয়ে আসছে সরকার।২০২২ শিক্ষাবর্ষে এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের জন্য মোট ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এরমধ্যে প্রাথমিক স্তরের মোট বই ছাপা হচ্ছে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৪ কপি। আর মাধ্যমিক স্তরের জন্য মোট ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার ২০২ কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. ৩ কোটি বইয়ের ঘাটতি নিয়ে নতুন বছর শুরু

৩ কোটি বইয়ের ঘাটতি নিয়ে নতুন বছর শুরু

নতুন বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই দেয়ার উৎসব শুর হচ্ছে। তবে সাড়ে ৩ কোটি মুদ্রণ বাকি রেখেই আজ শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক স্তরে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ কোটি বই বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার ২০২টি। আর প্রাথমিক স্তরে বিতরণ করা হবে প্রায় ১০ কোটি বই।

সূত্র জানায়, প্রায় ২০০টি ছাপাখানার মাধ্যমে বই ছাপানোর কাজ চলছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত প্রাথমিকে ৯ কোটি ২৭ লাখ ৬২ হাজার ২৩২ এবং মাধ্যমিকে ২১ কোটি ৯২ লাখ ২০ হাজার ৫৫৫টি সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। এই হিসাবে প্রাথমিকে ৭০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪২ এবং মাধ্যমিকে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৪২ হাজার ৭০১টি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনসিটিবি সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আইন অনুযায়ী, মুদ্রণকারীরা মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত বই সরবরাহের সময় পান। কিন্তু সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসাবে তারা এবার বেশ সহযোগিতা করেছে। তাদের সহযোগিতায় বাকি কাজটুকুও লক্ষ্যমতো শেষ হবে বলে আশা করছি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, যে পরিমাণ বই ছাপানোর কথা বলা হয়েছে মাঠ পর্যায়ে তত বই পৌঁছায়নি। এক কোটি বই এখনো ট্রাকে পথে আছে। ​বই ছাপায় বেহাল দশার কারণেই করোনার দোহাই দিয়ে এবার ১৩ দিন ধরে বই বিতরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মূলত বই মুদ্রণ শেষ করতে এবার গোটা জানুয়ারি মাস লেগে যেতে পারে। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীরা সব বই একসঙ্গে নাও পেতে পারে।

এদিকে মাঠ পর্যায়ে বই বিতরণে দায়িত্বে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ ব্যাপারে সংস্থাটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, যদি সব বই না যায় তাহলে ধাপে ধাপে দেওয়া হবে। এটা বড় কোনো সমস্যা নয়। কেননা, জানুয়ারিতে ক্লাস কম হয়। ।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সাল থেকে দেশে প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে বই দিয়ে আসছে সরকার।২০২২ শিক্ষাবর্ষে এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের জন্য মোট ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এরমধ্যে প্রাথমিক স্তরের মোট বই ছাপা হচ্ছে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৪ কপি। আর মাধ্যমিক স্তরের জন্য মোট ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার ২০২ কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন