সরকারি বাঙলা কলেজের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতা আরম্ভ

সাঈদ মঈন, সরকারি বাঙলা কলেজ: ভাষা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠিত রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সরকারি বাঙলা কলেজে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয়েছে। প্রতিযোগীতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ ফেরদৌসী খান।
আজ রবিবার, ২৬শে ফেব্রুয়ারী ২০২৩, সকাল ৮.৩০ মিনিটে প্রধান অথিতি জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়ানোর মাধ্যমে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এরপর বিএনসিসি কলেজ শাখার সেনা উইং এবং নৌ উইংয়ের সমন্বয়ে একটি চৌকস দল মনোরম প্যারেড প্রদর্শন করে। প্যারেডে অংশ নেয় বাংলাদেশ স্কাউট এবং গার্লস গাইড এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দও।
অনুষ্ঠানসূচীর অংশ হিসেবে পরবর্তীতে বাংলা বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ মার্চপাস্ট প্রদর্শন করে প্রধান অতিথিকে সশ্রদ্ধ সালাম জানায়। এরপর অন্যান্য বিভাগ মার্চপাস্টে অংশগ্রহণ করে। মার্চপাস্ট শেষে অনুষ্ঠানের মূল কর্মসূচী অর্থাৎ ক্রীড়া প্রতিযোগিতারা মূল পর্ব শুরু হয়।
আজকের প্রতিযোগিতাসমূহ ছিলো- ১. উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ১০০ মিটার দৌড় ২. স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ১০০ মিটার দৌড় ৩. উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ৮০০ মিটার দৌড় ৪. স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির ৮০০ মিটার দৌড় ৫. উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির দীর্ঘ লাফ ৬. স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির দীর্ঘ লাফ ৭. গোলক নিক্ষেপ ৮. ক্রিকেট বল নিক্ষেপ (ছাত্রী) ৯. ২০০ মিটার ×৪ রীলে দৌড় ১০. চেয়ার / পিলো পাসিং (ছাত্রী)।
ব্যাডমিন্টন ফাইনালে যবিপ্রবিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ইবি

মোস্তাক মোর্শেদ, ইবিঃ আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২৩ এ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাডমিন্টন টিমকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ব্যাডমিন্টন টিমের খেলোয়াড়রা।
রবিবার (২৬ ফেব্রয়ারি) দুপুরে যবিপ্রবির ইনডোর স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ইবির টিম সূত্রে জানা যায়, ইবি টিম প্রথম সেটে ৫-২১ ব্যবধানে ও দ্বিতীয় সেটে ১২-২১ ব্যবধানে জয় লাভ করেছে। উক্ত টুর্নামেন্টে ইবি টিম ম্যানেজার হিসেবে ছিলেন শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মাবিলা রহমান।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাডমিন্টন টিমের অধিনায়ক তামজিদ হাসান জিৎ বলেন, প্রতিবার আমরা নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে খেলতে আসি। এবারও খেলায় অংশগ্রহণসহ নানা কারণে আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছে। তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে আমরা সেই আন্দোলনের সফলতা দেখছি।
তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে যদি আমাদের বাজেট ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি ঘটে তাহলে অন্যান্য ইভেন্টগুলোও আরও উন্নতি করবে।
প্রসঙ্গত, এবছর ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টটিতে পঁচিশটি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেন এবং ফাইনালে যবিপ্রবিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রপি জিতে নেয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ব্যাডমিন্টনে রাবিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন যবিপ্রবির মেয়েরা

যবিপ্রবি প্রতিনিধি: আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় মেয়েদের খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। ফাইনালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে (রাবি) হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে যবিপ্রবির মেয়েরা।
রোববার ( ২৬ ফেব্রুয়ারী) যবিপ্রবির শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখোমুখি হয় যবিপ্রবি।
খেলায় শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে খেলছিল যবিপ্রবির লিকা পোদ্দার ও ক্যামেলিয়া।অপরদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলায় অংশ গ্রহণ করে ফারহিন তামান্না ও মুন্নি। শেষ পর্যন্ত ২-০ সেটে জয়লাভ করে যবিপ্রবির মেয়েরা।
যবিপ্রবি শিক্ষার্থী লিকা বলেন, এই টুর্নামেন্টে সকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খেলতে এসেছে, এই খেলায় নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে চ্যাম্পিয়ন করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। আমরা আশা করি নেক্সট যে টুর্নামেন্টগুলো হবে সেখানেও ভালো ফলাফল করবো আমরা। জাতীয় র্যাঙ্কিংয়ে চতুর্থ অবস্থানে থাকা লিকা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিয়ে যবিপ্রবির নাম উজ্জ্বল করতে চান বলেও আশা ব্যক্ত করেন।
রাবি শিক্ষার্থী ফারহিন তামান্না বলেন, যদিও আমরা ফাইনালে হেরেছি তবে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে ফাইনালে নিয়ে যেতে পেরেছি। এটা নিজের কাছে অনেক আনন্দের। আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়েরকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি এটার জন্য অনেক গর্ববোধ করছি। বিপক্ষ দলের খেলোয়াড় লিকা পোদ্দার, যার কথা না বললেই নয়। সে অনেক ভালো খেলেছে। লিকা পোদ্দার জাতীয় দলের খেলোয়াড় হলেও আমরা যবিপ্রবিকে যথেষ্ট চাপে রেখে খেলতে পেরেছি। একজন জাতীয় দলের খেলোয়াড়ের বিপক্ষে খেলা এটাও অনেক আনন্দের আমার জন্য। আয়োজক হিসেবে যবিপ্রবি যথেষ্ট স্বচ্ছতা অবলম্বন করেছে। যদি সূক্ষ্ণ চোখে দেখি কিছু ছোটখাটে বিষয় ঘটেছে, যেগুলো এড়িয়ে যাওয়া যায়। সর্বোপরি আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে খেলে রানার্সআপ হতে পেরেছি।
আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাডমিন্টনে রানার্সআপ যবিপ্রবির ছেলেরা

যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা -২০২৩ এ ছাত্র বিভাগের খেলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( যবিপ্রবি) রানার্সআপ হয়েছে। চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়(ইবি)।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামে অনুষ্ঠিত ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় ইবি সাথে যবিপ্রবির ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় অংশগ্রহণকারী যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি তবে নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি।এজন্য ভালো লাগছে, আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেন পরবর্তীতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করতে পারি।
যবিপ্রবিতে খেলতে আসা ইবি শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রথমত এই টুর্নামেন্টে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এটা অন্যরকম এক অনুভূতি। আমাদের বিশ্রাম থেকে শুরু করে সবকিছুই অনেক গোছালো আয়োজন করেছে যবিপ্রবি। খেলার সময় মাঠের পরিবেশ ও শৃঙ্খলা ভালো ছিলো, আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই যবিপ্রবিকে এতসুন্দর একটি আয়োজন করার জন্য।
শাকিরা ভক্তের রেস্তোরাঁয় বান্ধবীসহ পিকে, ফিরতে হলো না খেয়ে!

এক সময় রোমাঞ্চ নিয়ে খবরের শিরোনাম হওয়া এই পিকে এবং শাকিরা দম্পতি এখন আলোচনায় আসেন পরস্পরের কাদা ছোড়াছুড়ির কারণে। সম্প্রতি এক রেস্তোরাঁয় নতুন বান্ধবীকে নিয়ে ভোজে গিয়েছিলেন পিকে। কিন্তু সেখানে তাকে খাবার দেওয়া হয়নি। খাওয়ার আগেই সেখান থেকে তাদের ফিরতে হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে এর পেছনের কারণও নাকি শাকিরা!
পপস্টার শাকিরার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পিকে এখন নতুন বান্ধবী ক্লারা শিয়ার সঙ্গে বেশ ভালোই কাটাচ্ছেন। সেসব ছবি ভক্ত-অনুরাগীদের কল্যাণে চলে আসে সামাজিক মাধ্যমে। তারই ধারাবাহিকতায় রেস্তোরাঁয় গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া সেই ভিডিওটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সম্প্রতি বার্সেলোনার একটি জাপানিজ রেস্তোরাঁয় খেতে যান পিকে ও ক্লারা। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তাদের দুজনকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। তবে খাবার দেওয়া হয়নি নাকি পছন্দমতো খাবার না থাকায় তারা বেরিয়ে আসেন, সেটি অবশ্য় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তা নিয়েই চলছে জল্পনা। জানা যায়, সেই রেস্তোরাঁর মালিক শাকিরার ফ্যান। সে কারণেই তিনি জেরার্ড পিকে ও তার নতুন বান্ধবীকে মেনে নিতে পারেননি। সে কারণে নাকি ওয়েটার তাদের খাবার দিতেও রাজি হননি। পরে হতাশ হয়ে ক্লারা শিয়াকে নিয়ে সাবেক বার্সা ফুটবলারকে গাড়িতে উঠতে দেখা যায়।
মন্তব্য