শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জবি নীলদলের ওয়েবিনার

মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, জবিঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদলের ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে 'একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা: বাঙালি জাতিকে মেধাহীন করার নীল নকশা' শীর্ষক ওয়েবিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়েবিনারে প্রধান আলোচক ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদ কদের চৌধুরী বলেন, 'মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের সূর্য সন্তাননের নীল নকশার মাধ্যমে হত্যা করেছিল পাক বাহিনী ও এদেশীয় দোসররা। তাঁরা দেশকে মেধা শূন্য করতেই এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের একান্ন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়নি। যার ফলে বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে নানান সময়ে বিভ্রান্ন্তির সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি।'
এছাড়াও ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর এর উপাচার্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন।
তিনি বলেন, দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুসহ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদানকে অস্বীকার করার ব্যর্থ চেষ্টাকে প্রতিহত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখতে হবে এবং এর সঠিক ইতিহাসকে কখনও বিধ্বস্ত করা যাবে না। রাজাকার-আলবদর, যুদ্ধাপরাধীরা বাংলাদেশের যে কোনো রাষ্ট্রীয় পদে যেন আসীন হতে না পারে। অতীতে এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে। এখন যাতে আর এমন না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।'
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির বিকল্প নেই। এই প্রজন্মের অনেকেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানেনা, তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান জানেনা। দেশের সঠিক ইতিহাস না জানলে কখনোও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠা যায়না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আরও বেশি গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। সেই সাথে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের অবদান সম্পর্কেও সবাইকে জানাতে হবে।'
নীল দলের সভাপতি অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও নীল দলের সাধারণ সম্পাদক ড. নাফিস আহমদের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান, নীল দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. কামাল হোসেন, শিক্ষক সমিতির সদস্য ড. একেএমএম গোলাম আদম সহ নীলদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
রাবির কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আধুনিকায়নের ছোঁয়া

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন সংস্কার ও আধুনিকায়নের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এতে থাকছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সাউন্ড সিস্টেম, সেন্ট্রাল এয়ারকন্ডিশনসহ দুই হাজারের বেশি সিট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে রাবির ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ৩৬৩ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়। পরে বাজেট সংশোধিত হয়ে ২০১৯ সালে ৫শ ১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সংস্কার কাজ। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬ কোটি টাকা। দুই ভাগে বিভক্ত কাজটির এসি ও অ্যাকুস্টিকের কাজ পায় ঢাকা প্রিমিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, যার নির্মাণ ব্যয় ছিল ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। গত বছর এ কাজ শুরু হয়, যা শেষের দিকে।
মিলনায়তনের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, এত সুন্দর মিলনায়তন পেয়ে আমরা আনন্দিত। এখন থেকে যেকোনো বড় অনুষ্ঠান করতে আমাদের আর সমস্যায় পড়তে হবে না। উন্নতমানের লাইটিং, সাউন্ড সিস্টেমসহ সবমিলিয়ে দারুণ লাগছে আমাদের অডিটোরিয়ামটাকে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অডিটোরিয়ামে বসে অনুষ্ঠান দেখার সৌভাগ্য আমাদের হচ্ছে। তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক খোন্দকার শাহরিয়ার জানান, মিলনায়তনের আধুনিকায়নের সম্পূর্ণ কাজ মার্চের দিকে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার ফলে সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ইতোমধ্যে অডিটোরিয়ামের ভেতরের কাজ শেষ হয়েছে। বাইরে কিছু রঙের কাজ বাকি আছে। আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মিলনায়তনের শতভাগ কাজ শেষ হবে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণিল সাজে ঢাকা কলেজ

মহান বিজয় দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে ঐতিহ্যবাহি ঢাকা কলেজ। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই বর্ণিল আলোয় ঝলমল করে ওঠে প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, সড়ক ও বিভিন্ন চত্বর।
দেখা যায়, বিজয় দিবসে শহীদদের স্মরণে প্রধান ফটক সাজানো হয়েছে লাল-সবুজের আলোয়। প্রশাসনিক ভবনে ও একাডেমিক ভবনে দেওয়া হয়েছে লাল, সবুজ, নীল আর সাদা বাতি।
প্রধান ফটক থেকে প্রশাসনিক ভবন এবং মূল ভবনের সামনে থেকে ক্যাফেটেরিয়া পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশেও করা হয়েছে আলোকসজ্জা। বাদ পড়েনি বিজয় চত্বর, স্বাধীনতা চত্বর ও শহীদ মিনার চত্বরও।
লাল সবুজের আলোকচ্ছটায় মহান স্বাধীনতার ৫১ বছর উদযাপনের মাধ্যমে বিজয়ের আনন্দ ছড়িয়ে দিতেই আলোকসজ্জা করা হয়েছে ক্যাম্পাসজুড়ে।
বর্ণিল এই আলোকসজ্জা উপভোগ করতে ঘুরে বেড়াতে ও স্মৃতি ধরে রাখতে মুঠোফোনে ছবি তুলতে দেখা গেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে কুবিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ

হেদায়েতুল ইসলাম নাবিদ, কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হলেও আলাদা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শাখা ছাত্রলীগ।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদের দুইটি অংশ এবং সাংবাদিক সমিতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ১৯৭১ সালে বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য ১৪ ডিসেম্বর বাঙালির উপর নির্মম গণহত্যা চালায়। তারা আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে হত্যা করেছে, যেটা আমরা এখনও পূরণ করতে পারি নাই। যদি আমরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একত্র হতে পারি তাহলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন শহীদ ধীরন্দ্রনাথ দত্তের কথা স্মরণ করে বলেন, '৮৫ বছর বয়সে হাত-পা ভেঙ্গে তাকে ও তার পুত্রকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নির্মমভবে তাদের হত্যা করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ছিল বলেই স্বদেশ ছেড়ে চলে যাননি। এখান থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
বুদ্ধিজীবী দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দ সমাপনী বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু একক নেতৃত্বে যখন এই দেশ স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন পাকিস্তানের হায়নার দল এই হত্যাকান্ড চালায়। আজকের এইদিনে আমরা সামাজিক ভাবে এই হায়নার দল এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে তাদের সবাইকে বর্জন করবো এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ মোকাদ্দেস উল-ইসলাম, প্রক্টর ভারপ্রাপ্ত কাজী ওমর সিদ্দিকী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুয়েট ছাত্র ফারদিনকে খুন করা হয়নি, আত্মহত্যা করেছেন: ডিবি প্রধান

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ (২৪) অন্তর্মুখী ছিলেন। সবার সঙ্গে সব কিছু শেয়ার করতে পারতেন না। হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, মৃত্যুর সেই রাতে ফারদিন নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ায় যাননি। সর্বশেষ তাকে যাত্রাবাড়ীতে দেখা গেছে। সারা রাত দিকবিদিক ছোটাছুটি করেছেন তিনি।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন ডিবিপ্রধান।
তিনি বলেন, ফারদিনের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। ফারদিন তার বান্ধবী বুশরাকে নামিয়ে দেওয়ার পর ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়িয়েছেন। কেরাণীগঞ্জ ব্রিজের পাড়ে গেছেন। এ সময় অনেকের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। কিন্তু কোনো ব্যক্তিকে আমরা তার সঙ্গে দেখতে পাইনি।
হারুন বলেন, সারা রাত ফারদিন এলোমেলো ঘুরে বেড়িয়েছেন। ডিস্টার্ব মাইন্ড না থাকলে কেউ এরকম ঘুরে বেড়ায় না। রামপুরা থেকে কেরাণীগঞ্জ, কেরাণীগঞ্জ থেকে জনসন রোড, জনসন রোড থেকে গুলিস্তান, গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী, এরপর তার নিজের বাসা পার হয়ে চলে গেলেন ব্রিজে (ডেমরা)।
তদন্তের বিস্তারিত তুলে ধরে ডিবিপ্রধান আরও বলেন, আমরা যে লেগুনা চালককে গ্রেপ্তার করেছিলাম, জিজ্ঞাসাবাদে সে কিন্তু বলেছে কোনোভাবেই তাদের লেগুনা চনপাড়ার দিকে যায়নি। কারণ লেগুনা ২টা ৩৪ মিনিটের দিকে ফারদিনকে নিয়ে গেছে ব্রিজের কাছাকাছি। তবে চনপাড়া যায়নি এটা আমাদের তদন্তে পরিস্কার। তাকে কেউ ধরে নিয়ে গেছে অথবা তিনি নিজ থেকেই চনপাড়া গেছে এরকম কোনো আলামত বা সিসিটিভি ফুটেজও আমরা পাইনি।
হারুন বলেন, তার রেজাল্ট গ্রাজুয়ালি খারাপ হচ্ছিল। ১ম সেমিস্টারে সিজিপিএ ৩.১৫, তারপর কমতে কমতে ২.৬৭ হয়। যেটা বাসার লোকজন বা আত্মীয়-স্বজন কেউ জানতো না। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উদ্দেশে স্পেন যাওয়ার জন্য ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন ছিল। যেটা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিল। বন্ধুরা ৪০ হাজার টাকা দেয়। বুশরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, হতাশায় ভুগছিল ফারদিন।
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ, ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর চিকিৎসক যে কথাটি বলেছিলেন, সে রকম তথ্য আমরা পাইনি। তার মারপিট বা জামা কাপড় ছেড়া ছিল না। কোথাও ধস্তাধস্তি হয়েছিল কি না বা তার শরীরে ছেঁড়াফাটা মারধরের দাগও আমরা দেখতে পাইনি। সুরতহালে কোনো আঘাতের চিহ্নও পাইনি। বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ, মৃত্যুর রাতে তার ঢাকা শহরে ছোটাছুটি, ব্রিজের কাছ পর্যন্ত যাওয়া, হতাশা, মানসিক অবস্থা- সবমিলিয়ে আপাতত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে এটা সুইসাইডাল কেস।
হারুন বলেন, ব্রিজের মাঝামাঝি পর্যন্ত গিয়েছিলেন ফারদিন। সেখানেই ছিল তার সর্বশেষ অবস্থান। এরপর একটা পানির শব্দ হয়েছে। সেখান থেকেই আমরা মনে করছি, এটা সুইসাইড।
এ রকমই জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছিল উল্লেখ করে হারুন বলেন, আত্মহত্যার আগে সারা রাত ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে একা একা ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। আমাদের ভিকটিম (ফারদিনও) এ রকম একা একা ঘুরে বেড়িয়েছেন উদ্দেশ্যহীনভাবে। বুশরাকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে নামানোর পর উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং কারও সঙ্গে দেখা করেননি। তার গত ১ বছরের সিডিআর পর্যালোচনা করেলে আগে কখনও এমন দেখা যায়নি।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফারদিন নিজে টিউশনি করাতেন ৪টা। সব টাকা দিয়ে নিজের ও ছোট দুই ভাইয়ের পড়াশোনা করাতেন। নিজের জন্য কিছু করেন না। তারপরও বাড়িতে শাসন, তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে। হলে থাকা যাবে না। এক ধরনের চাপের মধ্যে ছিল, যেটা ভিকটিম ফারদিন মানতে পারেনি।
মন্তব্য