The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪

রোমানিয়ান সরকারের বৃত্তি

ইউরোপের ১২তম বৃহত্তম রাষ্ট্র রোমানিয়া। বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল দেশ এটি। অর্থনীতির পাশাপাশি শিক্ষার দিক থেকেও দেশটি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরও নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে রোমানিয়া সরকার।

এ বছর স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবছর বাংলাদেশসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য এই বৃত্তি দেওয়া হয়ে থাকে। ‘রোমানিয়া গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ’-এর আওতায় শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রোমানিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মেডিসিন ও ফার্মেসি ছাড়া প্রায় সব বিষয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাবেন। রোমানিয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব বুখারেস্ট, বুখারেস্ট ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক স্টাডিজ, বাবেস-বলিয়াই ইউনিভার্সিটি, আলেকজান্দ্রা আইওয়ান কুজা ইউনিভার্সিটি, ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অব তিমিশোআরা, ইউনিভার্সিটি পলিটেকনিক অব বুখারেস্ট, টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঘিওরঘি আসাচি ইয়াস ইত্যাদি। তবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের রোমানিয়ান ভাষায় পড়াশোনা করতে হবে। শুধু পিএইচডিতে ইংরেজি ভাষায় শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করতে পারবেন। প্রতিটি দেশ থেকে ৮৫ জনকে এই বৃত্তি দেওয়া হবে।

সুযোগ-সুবিধা

সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে।
ডরমিটরিতে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা।
মাসিক উপবৃত্তি হিসেবে প্রতি মাসে স্নাতকের শিক্ষার্থীদের ৬৫ ইউরো করে দেওয়া হবে।
স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ৭৫ ইউরো দেওয়া হবে।
পিএইচডির শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ৮৫ ইউরো দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরাষ্ট্রগুলো ছাড়া সব দেশের আবেদনকারীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারীদের অবশ্যই একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁদের বর্তমান একাডেমিক নথি জমা দিতে হবে।
স্নাতকের জন্য উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলধারী হতে হবে।
স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতকে ভালো ফলধারী হতে হবে।
পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তরে ভালো ফলধারী হতে হবে।
রোমানিয়ান ভাষায় প্রয়োজনীয় সাবলীলতা নেই এমন শিক্ষার্থীদের জন্য রোমানিয়ান ভাষা কোর্সের প্রয়োজন হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

জীবনবৃত্তান্ত।
স্কলারশিপের অ্যাপ্লিকেশন ফরম।
যে ইউনিভার্সিটিতে পড়তে আগ্রহী, সেই ইউনিভার্সিটির আবেদন ফরম।
যাবতীয় শিক্ষা সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্টের কপি।
জন্মনিবন্ধন বা বার্থ সার্টিফিকেটের কপি।
পাসপোর্টের বায়োগ্রাফিক্যাল পেজ এবং সেই সঙ্গে প্রথম তিন পৃষ্ঠা।
মেডিকেল সার্টিফিকেট।
ইউরো পাস ফরম্যাটের সিভি।
দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
আবেদনকারীর দেশের কূটনৈতিক মিশন দ্বারা জারি করা একটি সরকারি চিঠি।
আবেদনের প্রক্রিয়া
অনলাইনে আবেদন করতে হবে। প্রার্থীদের ‘স্টাডি ইন রোমানিয়া’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন আবেদন জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রোমানিয়ার কোনো দূতাবাস নেই। যার কারণে বৃত্তির আবেদন থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত যাবতীয় কাজ দিল্লিতে অবস্থিত রোমানিয়ার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। যাবতীয় একাডেমিক ডকুমেন্ট দিল্লিতে রোমানিয়ার দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করতে হবে। দিল্লি দূতাবাস থেকে কোনো একাডেমিক ডকুমেন্ট সত্যায়িত করতে হলে প্রথমে সেগুলোকে আমাদের শিক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে। অনেক সময় নোটারির প্রয়োজন হতে পারে।

আবেদনের শেষ সময়: ১৫ মার্চ, ২০২২

ইপেপারে দেখুন:  https://therisingcampus.com/wp-content/uploads/2022/01/867d83e30f21e7d055818f8e34e4e73d.pdf

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. রোমানিয়ান সরকারের বৃত্তি

রোমানিয়ান সরকারের বৃত্তি

ইউরোপের ১২তম বৃহত্তম রাষ্ট্র রোমানিয়া। বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল দেশ এটি। অর্থনীতির পাশাপাশি শিক্ষার দিক থেকেও দেশটি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরও নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে রোমানিয়া সরকার।

এ বছর স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবছর বাংলাদেশসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য এই বৃত্তি দেওয়া হয়ে থাকে। ‘রোমানিয়া গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ’-এর আওতায় শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রোমানিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মেডিসিন ও ফার্মেসি ছাড়া প্রায় সব বিষয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাবেন। রোমানিয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব বুখারেস্ট, বুখারেস্ট ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক স্টাডিজ, বাবেস-বলিয়াই ইউনিভার্সিটি, আলেকজান্দ্রা আইওয়ান কুজা ইউনিভার্সিটি, ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অব তিমিশোআরা, ইউনিভার্সিটি পলিটেকনিক অব বুখারেস্ট, টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঘিওরঘি আসাচি ইয়াস ইত্যাদি। তবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের রোমানিয়ান ভাষায় পড়াশোনা করতে হবে। শুধু পিএইচডিতে ইংরেজি ভাষায় শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করতে পারবেন। প্রতিটি দেশ থেকে ৮৫ জনকে এই বৃত্তি দেওয়া হবে।

সুযোগ-সুবিধা

সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে।
ডরমিটরিতে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা।
মাসিক উপবৃত্তি হিসেবে প্রতি মাসে স্নাতকের শিক্ষার্থীদের ৬৫ ইউরো করে দেওয়া হবে।
স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ৭৫ ইউরো দেওয়া হবে।
পিএইচডির শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ৮৫ ইউরো দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরাষ্ট্রগুলো ছাড়া সব দেশের আবেদনকারীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারীদের অবশ্যই একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁদের বর্তমান একাডেমিক নথি জমা দিতে হবে।
স্নাতকের জন্য উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলধারী হতে হবে।
স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতকে ভালো ফলধারী হতে হবে।
পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তরে ভালো ফলধারী হতে হবে।
রোমানিয়ান ভাষায় প্রয়োজনীয় সাবলীলতা নেই এমন শিক্ষার্থীদের জন্য রোমানিয়ান ভাষা কোর্সের প্রয়োজন হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

জীবনবৃত্তান্ত।
স্কলারশিপের অ্যাপ্লিকেশন ফরম।
যে ইউনিভার্সিটিতে পড়তে আগ্রহী, সেই ইউনিভার্সিটির আবেদন ফরম।
যাবতীয় শিক্ষা সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্টের কপি।
জন্মনিবন্ধন বা বার্থ সার্টিফিকেটের কপি।
পাসপোর্টের বায়োগ্রাফিক্যাল পেজ এবং সেই সঙ্গে প্রথম তিন পৃষ্ঠা।
মেডিকেল সার্টিফিকেট।
ইউরো পাস ফরম্যাটের সিভি।
দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
আবেদনকারীর দেশের কূটনৈতিক মিশন দ্বারা জারি করা একটি সরকারি চিঠি।
আবেদনের প্রক্রিয়া
অনলাইনে আবেদন করতে হবে। প্রার্থীদের ‘স্টাডি ইন রোমানিয়া’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন আবেদন জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রোমানিয়ার কোনো দূতাবাস নেই। যার কারণে বৃত্তির আবেদন থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত যাবতীয় কাজ দিল্লিতে অবস্থিত রোমানিয়ার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। যাবতীয় একাডেমিক ডকুমেন্ট দিল্লিতে রোমানিয়ার দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করতে হবে। দিল্লি দূতাবাস থেকে কোনো একাডেমিক ডকুমেন্ট সত্যায়িত করতে হলে প্রথমে সেগুলোকে আমাদের শিক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে। অনেক সময় নোটারির প্রয়োজন হতে পারে।

আবেদনের শেষ সময়: ১৫ মার্চ, ২০২২

ইপেপারে দেখুন:  https://therisingcampus.com/wp-content/uploads/2022/01/867d83e30f21e7d055818f8e34e4e73d.pdf

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন