ঢাকা, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫ ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

বিশ্বকাপে এবার ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্বকাপে এবার ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে বাংলাদেশ

বিশ্বকাপ শেষে হয়েছে মাত্র চার মাস আগে। এর মধ্যেই বেজে উঠেছে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা। ইতোমধ্যেই ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি। সূচি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ পড়েছে ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে।

গত আসরে বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছিল বাছাইপর্ব। তবে এবার আর বাছাইপর্ব নয়, বাংলাদেশ এবার সরাসরি খেলবে সুপার টুয়েলভে অর্থাৎ মূল পর্বে। গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ শেষে বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ আটে থাকায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বিষয়টা।

আসছে ২২ অক্টোবর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব। বিশ্বকাপের এই আসরে বাংলাদেশ খেলবে সুপার টুয়েলভের গ্রুপ-২ তে। সেখানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

বিশ্বকাপের গ্রুপ-১ গড়া হয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে নিয়ে।

এর আগে ‘প্রাথমিক পর্বের’ লড়াইয়ে খেলতে হবে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। দল দুটো অবশ্য আছে দুটো আলাদা গ্রুপে। ‘এ’ গ্রুপে শ্রীলঙ্কার সঙ্গী হয়েছে নামিবিয়া। ‘বি’ গ্রুপে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্কটল্যান্ড। এই চার দল গেল বছরের আসরে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করার কারণে জায়গা করে নিয়েছে ‘প্রাথমিক পর্বে’। বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব শেষে গ্রুপ দুটিতে আরও দুটো করে দল নির্ধারিত হবে। দুই গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল আসবে সুপার টুয়েলভে।

‘এ’ গ্রুপের রানার্স আপ ও ‘বি’ গ্রুপের সেরা দলকে নিজেদের গ্রুপ-২ এ প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ‘এ’ গ্রুপের রানার্স আপ দলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আগামী ২৪ অক্টোবর নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে টাইগাররা।

বিশ্বকাপের এই সূচি থেকে আলোচনার জন্ম দিয়েছে দুটো ম্যাচ। গতবারের দুই ফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হবে সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচেই। আর গ্রুপ-২ এ আবারও ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান, গতবার যাদের উড়িয়ে দিয়েছিল ১০ উইকেটের ব্যবধানে। দুটো ম্যাচই মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বের প্রথম দুই দিনে অর্থাৎ যথাক্রমে ২২ ও ২৩ অক্টোবর।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় বাংলাদেশের

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:১৯
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় বাংলাদেশের

    আইসিসির গতকাল প্রকাশ করা বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পান মোস্তাফিজুর রহমান। আজ প্রকাশিত ওয়ানডের বর্ষসেরা দলে জায়গা পেলেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার—মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।

    বর্ষসেরা ওয়ানডে দলের এই একাদশে বাংলাদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন।

    দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা থেকে দুজন করে খেলোয়াড় বর্ষসেরা এই দলে জায়গা পেয়েছেন। ভারত, অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডের মতো দল থেকে কারও জায়গা হয়নি গত বছরের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বানানো এই দলে।

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে সব দলই গত বছর টি-টোয়েন্টি বেশি খেলেছে। বাকি সময়ও টেস্ট ক্রিকেটই প্রাধান্য পেয়েছে। ফলে পূর্ণ সদস্য দলগুলোর মধ্যে ১০ বা এর বেশি ওয়ানডে খেলেছে শুধু বাংলাদেশ (১২), শ্রীলঙ্কা (১৫), আয়ারল্যান্ড (১৪) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (১০)।

    এ কারণেই মাত্র তিনটি ওয়ানডে জেতা দক্ষিণ আফ্রিকার দুজন জায়গা পেয়েছেন আইসিসির দলে। দলকে চার ম্যাচ জিতিয়েই শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের দুজন বর্ষসেরা দলে এসেছেন। বছরের ৬ ম্যাচের ৪টিতেই হারের পরও যেমন পাকিস্তানের দুজন আছেন বছরের সেরা দলে।

    পাকিস্তান থেকে জায়গা পেয়েছেন বাবর আজম ও ফখর জামান। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ইয়ানেমান মালান ও রাসি ফন ডার ডুসেন। আয়ারল্যান্ড থেকে জায়গা পেয়েছেন গত বছর ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করা পল স্টার্লিং।

    তাঁর সঙ্গে ওপেনার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন মালান। আয়ারল্যান্ডের স্পিনার সিমি সিংয়েরও জায়গা হয়েছে দলে। শ্রীলঙ্কার লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও পেসার দুষ্মন্ত চামিরাকেও রাখা হয়েছে।

    গত বছর তিন শতক ও দুটি অর্ধশতক করা স্টার্লিং ১৪ ম্যাচে ৭০৫ রান তোলেন। তাঁর জায়গা পাওয়াটা মোটামুটি নিশ্চিতই ছিল। ধারাবাহিকভাবে রান পেলেও মাঠে ভুগেছে তাঁর দল আয়ারল্যান্ড। মালান তাঁর ওপেনিং সতীর্থ হিসেবে জায়গা পেয়েছেন ৮ ম্যাচে ৫০৯ রান তুলে।

    প্রতিপক্ষের কন্ডিশনেও ভালো করেছেন অল্প সময়ের মধ্যে প্রোটিয়া দলে নিজের জায়গা পোক্ত করা এ ব্যাটসম্যান। গত বছর মাত্র ৬ ম্যাচ খেলা বাবর আজম এই দলে ব্যাট করবেন তিনে। গত বছর ৬৭.৫০ গড়ে ৪০৫ রান তোলেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

    চারে ব্যাট করবেন পাকিস্তানেরই ফখর জামান। গত বছর ৬ ম্যাচে ৩৬৫ রান তোলেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯৩ রানের ইনিংসও ছিল। এই দলে ছয়ে ব্যাট করবেন সাকিব।

    গত বছর ৯ ম্যাচে ২৭৭ রানের পাশাপাশি ১৭ উইকেট নেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে সাতে নামবেন মুশফিক। গত বছর ৯ ম্যাচে ৪০৭ রান করেন তিনি। গত বছর ৫.০৩ ইকোনমি রেটে ১০ ম্যাচে ১৮ উইকেট নেন মোস্তাফিজ।

    আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দল: পল স্টার্লিং, ইয়ানেমান মালান, বাবর আজম, ফখর জামান, রাসি ফন ডার ডুসেন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মোস্তাফিজুর রহমান, সিমি সিং ও দুষ্মন্ত চামিরা।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      নির্ধারিত সূচিতেই বিপিএল, উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি চট্টগ্রাম-বরিশাল

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১২ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:১২
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      নির্ধারিত সূচিতেই বিপিএল, উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি চট্টগ্রাম-বরিশাল

      ২১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএলে) শুরুর কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিপিএল হবে কিনা, সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তবে সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে নির্ধারিত সময়েই শুরু হচ্ছে বিপিএলের অষ্টম আসর। ২১ জানুয়ারি উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশাল। আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

      মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দুপুর দেড়টায় উদ্বোধনী ম্যাচ মাঠে গড়াবে। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একই মাঠে খেলবে খুলনা টাইগার্স ও মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। ফলে টুর্নামেন্টের প্রথম দিনই মাঠে পাওয়া যাচ্ছে মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহকে।

      ২১ জানুয়ারি শুরু হওয়া বিপিএল শেষ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। যদিও ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩০ দিনে মোট ৩৪ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন দুটি করে খেলা। তিন ভেন্যু- ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট। শুক্রবার ছাড়া অন্য দিন প্রথম ম্যাচ শুরু হবে দুপুর সাড়ে ১২টায় ও দ্বিতীয় ম্যাচ বিকাল সাড়ে ৫টায়। আর শুক্রবার প্রথম ম্যাচ শুরু হবে দুপুর দেড়টায়, পরের ম্যাচ সাড়ে ৬টায়।

      ঢাকায় প্রথম পর্বে ৮ ম্যাচ। এরপর বিপিএল চলে যবে চট্টগ্রামে। বন্দরনগরীতে পাঁচ দিনে হবে ৮ ম্যাচ। ২৮ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দ্বিতীয় পর্বে ঢাকায় দুই দিনে ৪ ম্যাচ শেষ করে বিপিএল চলে যাবে সিলেটে। সেখানে ৭ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকায় ফিরে শেষ হবে বিপিএল-২০২২।

      গ্রুপ পর্বের শেষ চার ম্যাচের পর দুটি কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। দুটি কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল ম্যাচের মাঝে একদিন করে রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। ফাইনাল হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। তবে ম্যাচ রিজার্ভ ডেতে গড়ালে পরদিন শেষ হবে টুর্নামেন্ট।

      এবারের বিপিএলে অংশ নিচ্ছে ছয় দল- মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও সিলেট সানরাইজার্স।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৬ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:৪৬
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন

        টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ঘরের মাঠেও পাকিস্তানের সঙ্গে সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা। সে দলই যেন নতুন বছরে নতুন করে নিজেদের দেখাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকে। চারিদিকে ভাসছে তাদের বিজয়ের জয়ধ্বনি।

        আর বাংলাদেশের এই জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে তিনি নিজের এই অনুভূতির কথা জানান।

        বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি টুইট বার্তায়ও জানান তার এই অনুভুতি। তিনি টুইটারে লেখেন, ২০২১ সাল ছিল আমাদের গভীর সংহতি এবং বন্ধুত্বের বছর। ২০২২ সালে সেই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্মাণ করব বলে সম্মত হয়েছি। এবং সবশেষ নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ জেতায় অভিনন্দন জানান তিনি।

        গত বুধবার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাউন্ট মঙ্গানুই নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। মুমিনুল হকের নেতৃত্বে বছরের প্রথম টেস্টে শক্তিশালী কিউইদের হারিয়ে বেশকিছু রেকর্ড জন্ম দেয় সফরকারীরা। ঘরের মাঠে অপরাজিত থাকা নিউজিল্যান্ড ১৭ টেস্ট পর পরাজয় যেন সৃষ্টি দিয়েছে নতুন এক ইতিহাসের।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          বাংলাদেশ বিদেশেও জিততে জানে, বললেন আজহারউদ্দিন

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৬ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৮
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          বাংলাদেশ বিদেশেও জিততে জানে, বললেন আজহারউদ্দিন

          নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে বলেই এ জয়ের মাহাত্ম্য অনেক। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, এই জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবনাচিন্তার জগৎটাকে আমূলে বদলে দিতে পারে। ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন মনে করেন, এই টেস্ট জয় প্রমাণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ বিদেশেও জিততে পারে।

          নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বলেই এই টেস্ট জয়ের মাহাত্ম্য এত। ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ১৬টি টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মাত্র ৬টি বিদেশের মাটিতে। এর ২টি ওয়েস্ট ইন্ডিজে, ২টি জিম্বাবুয়ে ও একটি শ্রীলঙ্কায়। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান শিরোপাধারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই জয় যেকোনো বিচারে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা সাফল্য। আজহার মনে করেন, বিদেশের মাটিতে এই অসাধারণ জয়টা বাংলাদেশ পেয়েছে নিজেদের সামর্থ্যের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে।

          সাবেক এই তারকা বলেন, ‘এটি ঐতিহাসিক এক জয়। আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানাই। নিজের সামর্থ্যের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছে বাংলাদেশ।’ আজহার মনে করেন, এই জয় সবাইকে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সম্পর্কেই একটা বড় বার্তা দিয়েছে, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই এই জয় দেখিয়ে দিল, বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা যদি নিজেদের খেলাটা খেলতে পারে, তাহলে বিদেশের মাটিতে জেতা কোনো ব্যাপারই না।’

          প্রতিভা অনুযায়ী খেলতে না পারা। নিজেদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস না রাখা, দেশের ক্রিকেটের এক পুরোনো রোগই। আমরা পারি—এই ব্যাপারটি মাথায় থাকলে অনেক সময় কাজটা সহজ হয়ে যায়। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশ ছিল পুরোপুরি অন্য দল। কদিন আগে ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ৮৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া দলটিই নিউজিল্যান্ডের শক্তিধর বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে বুকি চিতিয়ে লড়াই করল।

          এটি সম্ভব হয়েছে নিজেদের ওপর বিশ্বাস ফেরাতেই। ইবাদত হোসেনও নিজের সামর্থ্যকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন। টেস্টে ঠিক জায়গায় বোলিং করতে পারেন না বলে যাঁর বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ, সেই ইবাদতই কী অসাধারণ বোলিং করলেন। গতি, সুইং আর টানা নির্দিষ্ট জায়গায় বল ফেলে যাওয়ার পুরস্কারই পেয়েছেন। দলকেও জয় পেতে সহায়তা করেছেন। মাহমুদুল হাসানের মতো তরুণ কিউই বোলারদের দিকে না তাকিয়ে ধৈর্য নিয়ে খেলে গেলেন নিজের সামর্থ্যের ওপর ভরসা করেই। মুমিনুল–লিটনরাও সামর্থ্য দেখালেন। তাঁরা রান পেলেন, দলও পেল টেস্টে অসাধারণ এক জয়।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত