The Rising Campus
News Media
শনিবার, ১লা এপ্রিল, ২০২৩

পহেলা বৈশাখ সব ধর্ম-বর্ণের মাঝে প্রাণের সঞ্চার ঘটায়: ঢাবি ভিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবাইকে বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বুধবার (১৩ এপ্রিল) এক শুভেচ্ছা বাণীতে উপাচার্য বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ ও চিরন্তন প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ।

তিনি বলেন, আবহমান কাল থেকে বাঙালি জাতি নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রীতি-নীতি ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে। বাংলা নববর্ষের উৎসব একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উৎসব। এর সাথে রয়েছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীসহ বাংলাদেশের সকল নৃ-গোষ্ঠীর নিবিড় সম্পর্ক।

পহেলা বৈশাখ তাৎপর্য তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, এটি সকল ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায়। নববর্ষের প্রেরণায় বাঙালির মাঝে উদার মানবিক মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা নতুনভাবে জাগ্রত হয়, মানুষে মানুষে গড়ে ওঠে সাম্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি।

‘‘অতীতের গ্লানি, দুঃখ, জরা মুছে অসুন্দর ও অশুভকে পেছনে ফেলে নতুন কেতন উড়িয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ সকলের জীবনে আরও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব প্রসূত সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ নব-উদ্যোমে আরও এগিয়ে যাবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হবে।’’

নতুন বছরেও সাফল্য, উন্নয়ন ও অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত থাকবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা, বাণিজ্য, অর্থনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জন করেছে। দেশে বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. পহেলা বৈশাখ সব ধর্ম-বর্ণের মাঝে প্রাণের সঞ্চার ঘটায়: ঢাবি ভিসি

পহেলা বৈশাখ সব ধর্ম-বর্ণের মাঝে প্রাণের সঞ্চার ঘটায়: ঢাবি ভিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবাইকে বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বুধবার (১৩ এপ্রিল) এক শুভেচ্ছা বাণীতে উপাচার্য বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ ও চিরন্তন প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ।

তিনি বলেন, আবহমান কাল থেকে বাঙালি জাতি নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রীতি-নীতি ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে। বাংলা নববর্ষের উৎসব একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উৎসব। এর সাথে রয়েছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীসহ বাংলাদেশের সকল নৃ-গোষ্ঠীর নিবিড় সম্পর্ক।

পহেলা বৈশাখ তাৎপর্য তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, এটি সকল ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায়। নববর্ষের প্রেরণায় বাঙালির মাঝে উদার মানবিক মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা নতুনভাবে জাগ্রত হয়, মানুষে মানুষে গড়ে ওঠে সাম্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি।

‘‘অতীতের গ্লানি, দুঃখ, জরা মুছে অসুন্দর ও অশুভকে পেছনে ফেলে নতুন কেতন উড়িয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ সকলের জীবনে আরও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব প্রসূত সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ নব-উদ্যোমে আরও এগিয়ে যাবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হবে।’’

নতুন বছরেও সাফল্য, উন্নয়ন ও অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত থাকবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা, বাণিজ্য, অর্থনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জন করেছে। দেশে বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন