The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪

ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস, ১২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১২৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে আগামী ৩০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন তিনি।

অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলার আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো বলে জানান আইনজীবীরা।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-মহিউদ্দিন রানা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মো. রিমন হোসেন, ইশরাক হোসেন রাফি, নাভিদ আনজুম তনয়, এনামুল হক আকাশ, ফারজাদ সোবহান নাফি, তানভির আহমেদ মল্লিক, মো. বায়জিদ, এস এম রিফাত হোসেন, ফারদিন আহমেদ সাব্বির, প্রসেনজিৎ দাস, আজিজুল হাকিম, নাহিদ ইফতেখার, রফিকুল হাসান এছামি, বনি ইসরাইল, মারুফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, খান বাহাদুর, মো. আইয়ুব আলী বাঁধন, মোস্তফা কামাল, হাফিজুর রহমান হাফিজ, অলিপ কুমার বিশ্বাস, মাসুদ রহমান তাজুল, অসীম বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর আলম, সাইদুর রহমান, হাসমত আলী, আনোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলাম, হোসনে আরা, কাজী মিনহাজুল ইসলাম, রাফসান করিম, আখিনুর রহমান অনিক, নাজমুল হাসান নাঈম, শিহাব হাসান খান, সালমান এফ রহমান, মুহায়মেনুল ইসলাম, সজিব আহমেদ, আব্দুর রহমান রমিজ, মাহবুব মামুন ও অন্যান্য। আসামিদের মধ্যে ৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। অন্যরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের মালিক ও শিক্ষক রয়েছেন।

আদালতে উপস্থিত আসামিদের অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে এ সময় তাঁরা সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। যাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।

২০১৭ সালে দেশব্যাপী ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৯ অক্টোবর মধ্যরাতে গণমাধ্যম কর্মীদের দেওয়া কিছু তথ্যের সূত্র ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল ও অমর একুশে হলে অভিযান চালায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এ সময় গ্রেপ্তার হন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মহিউদ্দিন রানা নামের দুই শিক্ষার্থী। তাঁদের দেওয়া তথ্যে পরদিন পরীক্ষার হল থেকে গ্রেপ্তার হয় ভর্তি–ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী ইশরাক হোসেন রাফি। গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য ও হলের অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডি জানতে পারে, প্রশ্নফাঁসের এই ঘটনার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমীর, মিজান, আজাদ, ওমেগা কোচিংয়ের তন্ময়, মাইলস্টোন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সুব্রত জড়িত। এটাও সিআইডি জানতে পারে যে, এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। দেশব্যাপী এদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত।

এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানায় সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন পুলিশের সাইবার তদন্ত ইউনিটের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস। তদন্তকালে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায় স্বীকার করেন। ওই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ১২৬ আসামির জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।

অভিযোগ গঠন হওয়া ১২৬ জনের মধ্যে ১০৪ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই আসামিরাসহ ১২৬ জনের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৯ সালের ২৩ জুন এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়
  3. ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস, ১২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস, ১২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১২৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে আগামী ৩০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন তিনি।

অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলার আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো বলে জানান আইনজীবীরা।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-মহিউদ্দিন রানা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মো. রিমন হোসেন, ইশরাক হোসেন রাফি, নাভিদ আনজুম তনয়, এনামুল হক আকাশ, ফারজাদ সোবহান নাফি, তানভির আহমেদ মল্লিক, মো. বায়জিদ, এস এম রিফাত হোসেন, ফারদিন আহমেদ সাব্বির, প্রসেনজিৎ দাস, আজিজুল হাকিম, নাহিদ ইফতেখার, রফিকুল হাসান এছামি, বনি ইসরাইল, মারুফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, খান বাহাদুর, মো. আইয়ুব আলী বাঁধন, মোস্তফা কামাল, হাফিজুর রহমান হাফিজ, অলিপ কুমার বিশ্বাস, মাসুদ রহমান তাজুল, অসীম বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর আলম, সাইদুর রহমান, হাসমত আলী, আনোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলাম, হোসনে আরা, কাজী মিনহাজুল ইসলাম, রাফসান করিম, আখিনুর রহমান অনিক, নাজমুল হাসান নাঈম, শিহাব হাসান খান, সালমান এফ রহমান, মুহায়মেনুল ইসলাম, সজিব আহমেদ, আব্দুর রহমান রমিজ, মাহবুব মামুন ও অন্যান্য। আসামিদের মধ্যে ৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। অন্যরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের মালিক ও শিক্ষক রয়েছেন।

আদালতে উপস্থিত আসামিদের অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে এ সময় তাঁরা সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। যাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।

২০১৭ সালে দেশব্যাপী ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৯ অক্টোবর মধ্যরাতে গণমাধ্যম কর্মীদের দেওয়া কিছু তথ্যের সূত্র ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল ও অমর একুশে হলে অভিযান চালায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এ সময় গ্রেপ্তার হন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মহিউদ্দিন রানা নামের দুই শিক্ষার্থী। তাঁদের দেওয়া তথ্যে পরদিন পরীক্ষার হল থেকে গ্রেপ্তার হয় ভর্তি–ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী ইশরাক হোসেন রাফি। গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য ও হলের অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডি জানতে পারে, প্রশ্নফাঁসের এই ঘটনার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমীর, মিজান, আজাদ, ওমেগা কোচিংয়ের তন্ময়, মাইলস্টোন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সুব্রত জড়িত। এটাও সিআইডি জানতে পারে যে, এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। দেশব্যাপী এদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত।

এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানায় সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন পুলিশের সাইবার তদন্ত ইউনিটের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস। তদন্তকালে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায় স্বীকার করেন। ওই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ১২৬ আসামির জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।

অভিযোগ গঠন হওয়া ১২৬ জনের মধ্যে ১০৪ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই আসামিরাসহ ১২৬ জনের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৯ সালের ২৩ জুন এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন