The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক দশকে কলায় পিএইচডি পেয়েছেন ২৮৮ জন, বিজ্ঞানে ৪০

বিশ্বব্যাপী পিএইচডি বা সমমানের গবেষণার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়গুলোই প্রাধান্য পেয়ে আসছে। বাংলাদেশেও সংখ্যাতাত্ত্বিক বিচারে পিএইচডি গবেষকের সংখ্যা বাড়ছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণায় বিজ্ঞান বা প্রকৌশল নয়, গুরুত্ব পাচ্ছে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া পিএইচডি গবেষণায় সবচেয়ে এগিয়ে ইসলামিক স্টাডিজ, বাংলা ও আরবি বিভাগ। ২০১০-১১ থেকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ—এক দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ৭৫৩ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষণার হিসাব বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কলা অনুষদে দেয়া হয়েছে ২৮৮টি পিএইচডি, যা অনুষদভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়েছে ১৩৭ জনকে।

আর সামাজিক বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়েছে ৯২ জনকে। একই সময়ে ব্যবসায় শিক্ষায় ৬৭, বিজ্ঞানে ৪০, প্রকৌশলে ২৬, ফার্মেসিতে ১৯ ও মেডিকেল অনুষদে ১৪ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়েছে। এর বাইরে আইনে নয়জন, পরিবেশ বিজ্ঞানে ছয় ও চারুকলা অনুষদ থেকে চারজন পিএইচডি ডিগ্রি পেয়েছেন।

এছাড়া বিভাগভিত্তিক হিসেবে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়ার ক্ষেত্রেও শীর্ষ তিন বিভাগই কলা অনুষদের। ২০১০-১১ থেকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ—এক দশকে সবচেয়ে বেশি পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়েছে ইসলামিক স্টাডিজে। এ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়েছে ৮১ জন গবেষককে, যা এক দশকে বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে দেয়া পিএইচডি ডিগ্রির ১০ শতাংশের বেশি।

পরের অবস্থানে থাকা বাংলা বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি পেয়েছেন ৬৬ জন। আরবি বিষয়ে গবেষণার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়েছে ৪৩ জনকে। একই সময়ে প্রাণিবিদ্যায় ৩৭, মার্কেটিংয়ে ৩১, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ২৯ ও অণুজীববিজ্ঞানে ২৭ জন গবেষককে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়েছে। এর বাইরে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশে ১৬, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞানে ১৫ ও লোকপ্রশাসনে ১৪ জন পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন।

এদিকে, গবেষণা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী ম্যাগাজিন সায়েন্টিফিক বাংলাদেশের ২০২১ সালের জরিপে দেশ সেরার তকমা পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। তৃতীয় তৃতীয় অবস্থান পেয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।

পিএইচডি গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর মতো একই চিত্র এর ইনস্টিটিউটগুলোতেও। পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউটগুলোয় পিএইচডি গবেষণার হার খুবই কম। ২০১০-১১ থেকে ২০১৯-২০—এই ১০ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউটগুলো থেকে পিএইচডি ডিগ্রি পেয়েছেন মাত্র ৫১ জন গবেষক।

এর মধ্যে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) থেকে ১২টি করে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়েছে। এর বাইরে পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞানে আট, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ) সাত, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ছয়, স্বাস্থ্য অর্থনীতিতে তিন, পরিসংখ্যানে দুই ও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএল) অধীনে একজন গবেষককে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, গবেষণায় আগ্রহীদের জন্য উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় স্কলারশিপসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তাই এসব বিষয়ে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই গবেষণার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। এজন্য বিজ্ঞান-প্রকৌশলে আমরা পিএইচডি গবেষক অনেক কম পাই। অন্যদিকে উন্নত বিশ্বের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় কলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তাই এসব বিষয়ে গবেষক ও ডিগ্রির সংখ্যাও বেশি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.