দুই লাখ টাকা করে সরকারি বরাদ্দ পাচ্ছে ১০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়! (তালিকাসহ)

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ক্ষুদ্র অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের ৮ বিভাগের মধ্যে ৪টিতে এ বরাদ্দ রয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও রংপুর বিভাগের ৯ হাজার ৮৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বরাদ্দপ্রাপ্ত বিদ্যালয়সমূহে নির্দিষ্ট শর্তাবলী প্রতিপালন পূর্বক কার্য সম্পাদনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের নামগুলো দেখতে
বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনা সম্পর্কিত গবেষণা প্রস্তাব আহ্বান

২০২১-২২ অর্থবছরে মুজিববর্ষে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনা সম্পর্কিত গবেষণা প্রস্তাব আহ্বান করেছে সরকার।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনা এবং বর্তমান সরকারের অর্জিত সাফল্যের কথা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালের মাধ্যমে বিশ্ব পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস), শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত নির্ধারিত ফরমে গবেষণা প্রস্তাব আহবান করা যাচ্ছে।
আবেদনপত্র আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূরণ করে প্রজেক্ট কনসেপ্ট নোটসহ অনলাইনে পাঠাতে হবে। নির্ধারিত ফরম ছাড়া কিংবা নির্ধারিত সময়ের পর ও অসম্পূর্ণ কোনও আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না। আবেদনকারীকে গবেষণা প্রস্তাবের বিষয়বস্তুর গুরুত্ব, সাফল্য-সম্ভাবনা, গবেষণার আবশ্যকীয় বিষয় ও গবেষণা খাতে ব্যয়ের যৌক্তিকতা পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে প্রাথমিক বাছাই বা জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সামনে প্রয়োজনে যথাসময়ে উপস্থাপন করতে হবে।
গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির যাবতীয় তথ্য সংবলিত নীতিমালা ও প্রজেক্ট কনসেপ্ট নোট ফরম এ লিংক থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
বাংলাদেশের সকল পাবলিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, স্নাতকোত্তর কলেজগুলো উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, পাবলিক চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত শিক্ষক, গবেষক উচ্চতর গবেষণা সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
গবেষণা সহযোগিতা পাওয়ার শর্ত
আবেদনকারীদেরকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রজেক্ট কনসেপ্ট নোট দাখিল করতে হবে। মানসম্পন্ন দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশনা এবং গবেষণায় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপে প্ৰবন্ধ উপস্থাপনা বা অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন আবেদনকারী প্রাধান্য পাবেন।
ন্যূনতম গবেষণা অবকাঠামো, চলমান গবেষণা সংখ্যা, গবেষণা প্রকাশনা এবং গবেষণা কর্মকাণ্ডের বৈদেশিক সংযোগমান সন্তোষজনক প্রতীয়মান হতে হবে।
গবেষণার বিষয়বস্তু বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনা এবং বর্তমান সরকারের অর্জিত সাফল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
ইউসেপ পরিচালিত ৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু হচ্ছে জেএসসি ভোকেশনাল কোর্স

২০২২ শিক্ষাবর্ষে ইউসেপ-বাংলাদেশ পরিচালিত ৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে কারিগরি ধারায় শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেএসসি ভোকেশনাল কোর্স চালুর পদক্ষেপ হিসেবে পাইলটিংয়ের জন্য এসব কারিগরি স্কুলকে নির্বাচন করা হয়েছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও ইউসেপ-বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানের উপস্থিতিতে চুক্তিতে সই করেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান এবং ইউসেপের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল করিম।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে ইউসেপ নিজেদের প্রণীত শিক্ষাক্রমের পরিবর্তে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে তাদের ভোকেশনাল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে এর আগে সাধারণ ধারার বিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোর ও যুবাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ইউসেপ পরিচালিত এসব বিদ্যালয়কে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষক প্রশিক্ষণ, সরকার অনুমোদিত জাতীয় যোগ্যতা কাঠামো বাস্তবায়ন, শিক্ষা উপকরণ উন্নয়নসহ কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণে উভয় পক্ষ সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রীর তিরস্কার

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা ও আনন্দ আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ছাত্রলীগ নেতাদের তিরস্কার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। মূল অনুষ্ঠানে খামারবাড়ীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের বাংলাদেশ মিলনায়তনে ছিলেন নেতারা।
ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্যে ছাত্রনেতাদের নানা বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। মানুষের পাশে দাঁড়াতে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি এগিয়ে নিয়ে যেতে আহ্বান জানান তিনি।
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা ও শোভাযাত্রার আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। উল্লসিত হয়ে হাততালির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানান ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যসহ উপস্থিতি নেতারা। কিন্তু এরপরই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চমৎকার র্যালি করেছ তোমরা, একটু খুঁত আছে। কারও মুখে মাস্ক ছিল না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভালো করে ছবিগুলো খুঁজে খুঁজে দেখেছি, একটা মাস্কও কেউ পরোনি। এখনো অনেকে বসে আছো মাস্ক ছাড়া।’
এরপরই কৃষিবিদ মিলনায়তনে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মাঝে মাস্ক পরার জন্য তাড়াহুড়ো শুরু হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন ভ্যারিয়েন্ট যেটা আসছে, সেটা কিন্তু আরও মারাত্মক। তোমরা যখনই এমন পাবলিক গ্যাদারিংয়ে যাবা, সবাই মাস্ক পরে থাকতে হবে।
তুমি যদি নিজে সুরক্ষিত না থাকো, অন্যকে সাহায্য করবে কীভাবে? ধন্যবাদ জানাই বলার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে পরেছ, এখনো অনেকে পরো নাই। আগামীতে কিন্তু এটা দেখতে চাই না। সবাই পরবা।’
সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

তিন বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। বিসিএস তিনটি হলো ৩৬, ৩৭ ও ৩৯তম। আজ বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পৃথক পাঁচটি রিটের শুনানি শেষে বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এসময় রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩৭তম বিসিএস এবং ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল ৩৯তম বিসিএসের নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে রিটকারীরা আবেদন করেন। যথারীতি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ৩৭তম বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারে ২০১৮ সালের ১২ জুন মোট এক হাজার ৩১৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ২০ মার্চ এবং পরে বিভিন্ন তারিখে সর্বমোট এক হাজার ২৪৮ জনকে নিয়োগ দেয়। কিন্তু সুপারিশকৃত ১ হাজার ৩১৪ জনের মধ্যে ৩৮ জন রিটপিটিশনারসহ সর্বমোট ৬৬ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয়। ৩৯তম বিসিএসে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল মোট চার হাজার ৭৯২ জনকে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে সুপারিশ করে পরবর্তী সময়ে সুপারিশকৃতদের মধ্যে থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর এবং পরে বিভিন্ন তারিখে চার হাজার ৭২০ জনকে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দেয়।
কিন্তু ৩৬ জন রিটকারীসহ সর্বমোট ৭২ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয়। বারবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেও তাদের নিয়োগ না দেওয়ায় তারা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
ওই রিটের রুল শুনানি শেষে বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩৬তম থেকে ১০, ৩৭তম থেকে ৩৮ ও ৩৯তম থেকে ৩৬ জনসহ সর্বমোট ৮৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের নির্দেশনা দিয়ে রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।
মন্তব্য