জবি প্রেসক্লাবের নেতৃত্বে সুবর্ণ-সৌদিপ

জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রগতিশীল চিন্তাধারা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সাংবাদিকদের সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের (জবি প্রেসক্লাব) কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২৩ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক সুবর্ণ আসসাইফ এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন দৈনিক বাংলার প্রতিবেদক মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেল ৪টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জবি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ইমরান আহমেদ এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এসময় জবি প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ও বিডি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার কাজী মোবারক হোসেন, নির্বাচন কমিশনার ও ডেইলি অবজারভারের স্টাফ রিপোর্টার হেদায়েত উল্লাহ খান, নির্বাচন কমিশনার ও এনটিভি অনলাইনের স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিষ্ঠাকালীন দপ্তর সম্পাদক ফখরুল ইসলাম শাহীন, নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সাদেক ও নির্বাচনের সমন্বয়ক সদ্য সাবেক সভাপতি মো. মোস্তাকিম আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আরমান হাসানসহ জবি প্রেসক্লাবের নতুন নেতৃবৃন্দ ও সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন ঢাকা প্রকাশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মুজাহিদ বিল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদিনের বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইউছুব ওসমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আলোকিত বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা আহনাফ তাহমিদ ফাইয়াজ।
জবি প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২৩ এ প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন রাইজিং বিডির বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা মো. মেহেদী হাসান ও অর্থ সম্পাদক পদে চ্যানেল আই অনলাইনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রিদুয়ান ইসলাম। এছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য হয়েছেন সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শেখ শাহরিয়ার হোসেন ও সারাবাংলা ডট নেটের জবি করেসপন্ডেন্ট আবু সুফিয়ান সরকার শুভ।
ফলাফল ঘোষণার পর জবি প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
সাকিবুল ইসলাম/
যবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধর: অভিযুক্তদের স্থায়ী বরখাস্তের দাবি শিক্ষার্থীদের

যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সিকিউরিটি সুপারভাইজার বদিউজ্জামান বাদল কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুনকে মারধরের ঘটনায় বিচার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ মে) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে অবস্থান করে আন্দোলনকারীরা। এসময় বাদলের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকে তারা। এসময় বক্তারা অভিযুক্তদের ক্যাম্পাস থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। আন্দোলনের এক পর্যায়ে যবিপ্রবি প্রক্টর হাসান মোহাম্মদ আল এমরান এসে বিষয়টি সুরাহা করতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তা পত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যান এবং উপাচার্য না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ঘটনা স্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় তিনি বলেন, ঘটনাটি ঘটার সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। আগামী (১৩ মে) রিজেন্ট বোর্ডে এই বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি তোমাদেরকে আশ্বস্ত করছি, নিয়মানুযায়ী সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জানা যায়, যবিপ্রবি কর্মচারী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিকিউরিটি সুপারভাইজার বদিউজ্জামান বাদল ও কর্মচারী শাহিনুর রহমান সাগরসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএফটি বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুনকে গত ১৩ এপ্রিল রাত ৯.৩০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পেটানোর অভিযোগে সিকিউরিটি সুপারভাইজার বদিউজ্জামান বাদল ও শাহিনুর রহমান সাগরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী মুজাহিদ হাসান গত ১৪ এপ্রিল বাদী হয়ে যশোর কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। তারপর ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে বিচার দাবি করেন এবং তার স্থায়ী বরখাস্ত দাবি করেন। নির্যাতনের প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়নি বলে শিক্ষার্থীরা পুনরায় আজ মানববন্ধন করেন।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা কি? নিজেকে নিরাপদ রাখতে করণীয়
উল্লেখ্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে চার শতক জমি ক্রয় করেন শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কর্মচারী মুজাহিদ হাসান। জমি ক্রয়ের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সুপারভাইজার বাদল ও তার সহযোগীরা ভোগদখলে বাধা প্রদান ও মুঠোফোনে বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধামকি ও ভয়-ভীতি প্রদান করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ এপ্রিল রাত ০৯.৩০ ঘটিকায় আব্দুল্লাহ আল মামুনকে একা পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কর্মচারী বাদল ও শাহিনুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন হাতে হাতুড়ী ও লোহার রড নিয়ে ক্রয়কৃত জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে। তখন শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রতিবাদ করায় বদিউজ্জামান বাদলের হাতে থাকা হাতুড়ী দিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ডান পায়ের হাটুর নিচে আঘাত করে গুরুতর জখম করে এতে তার পায়ের হাড় ভেঙে যায়। তখন কর্মচারী শাহিনুর রহমানের হাতে থাকা হাতুড়ী দিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় এলোপাতাড়ী আঘাত করে জখম করে। মারপিটের আঘাতে মামুন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অজ্ঞাতনামা আসামীরা তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন এলোপাতাড়ী আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। তখন ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন জীবন বাঁচানোর জন্য চিৎকার দিলে কর্মচারী মুজাহিদসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলে বিবাদীরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিবাদীদের মারপিটের আঘাতে মামুনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২১ জুন 'নিরাপত্তা প্রহরীর' স্থায়ী শূন্য পদে যোগদান করেন বদিউজ্জামান বাদল। যোগদানের মাত্র আড়াই মাসের মাথায় ৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ এ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটান। যার ফলে তাকে 'তিরস্কার' ও ২ বছর ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করার দণ্ড দেওয়া হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগে ১০ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বরে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা হওয়ায় তিনি চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার হন। ঠিক ছয় মাস পর ১ জুন ২০১৬ তারিখে তাকে চাকরি হাতে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হয়।
তবে হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে স্থায়ীভাবে অপসারণ (Removal) অফিস আদেশ বাতিল করে তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।এরপর ২২/০৭/২০২০ তারিখে শৃঙ্খলা ভঙ্গের(অফিস ভাংচুর) দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এই বাদলকে।দুই বছরের মাথায় (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২) যশোরের চূড়ামনকাটিতে হত্যা মামলায় আসামী হন এবং কিছুদিন জেলহাজত বাস করেন।এপ্রেক্ষিতে অভিযোগ পাওয়ায়, খবর প্রকাশিত হওয়ায় ও কর্তব্যস্থলে অনুপস্থিত থাকায় আবারো সাময়িক বরখাস্ত হন বদিউজ্জামান বাদল।সর্বশেষ চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মামুনের ওপর হামলা চালিয়ে আবারো সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন তিনি।
চবির লক্ষ্মীপুর জেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের আংশিক কমিটি ঘোষণা

সাইফুল মিয়া, চবিঃ লক্ষ্মীপুর জেলা হতে আগত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘লক্ষ্মীপুর জেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের’ এর আংশিক ৯ম কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ সাহেদ, সাধারণ সম্পাদক গণিত বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইরতেজা ইকবাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ ইউনুছ আলী নির্বাচিত হয়েছেন।
গত সোমবার (৯ মে) দুপুর ১২ ঘটিকায় সংগঠনটির পক্ষে সম্মানিত উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন, অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্লা পাটওয়ারী, সদ্য সাবেক সভাপতি জাহিদ হোসেন এবং সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশ্রাফুল আলম নাঈম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, সোমবার সকাল ৯ থেকে ১১ ঘটিকায় পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী অডিটোরিয়ামে ৯ম কার্যনির্বাহী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নবনির্বাচিত সভাপতি মোঃ সাহেদ বলেন, 'স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা যেমন কঠিন, দায়িত্বে আসার চেয়ে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করাও তেমন কঠিন। সংগঠনের কল্যাণে আমি আমার সবটুকু দিয়ে সংগঠনকে একটি রোল মডেলে রূপদান করব- এ আমার অঙ্গীকার।'
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইরতেজা ইকবাল বলেন, 'নির্বাচনের আগে আমি যেসকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সেগুলো পূরণ করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমি শতভাগ করবো আমাদের এসোসিয়েশনকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে। শিক্ষার্থীবান্ধব এসোসিয়েশন হিসেবে লক্ষ্মীপুর জেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনকে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।'
নব নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইউনুছ আলী বলেন, 'যারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এসোসিয়েশনকে আমরা ক্যাম্পাসে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবো, ইনশাআল্লাহ! লক্ষ্মীপুর জেলার সকল স্টুডেন্টকে ঐক্যবদ্ধ রেখে উন্নয়নমূলক কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করবো। সবার দোয়া কামনা করি।'
উল্লেখ্য, নবগঠিত কমিটিকে আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শেকৃবির নবনিযুক্ত ডিনের দ্বিবার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেনারি মেডিসিন (এএসভিএম) অনুষদের উদ্যোগে দক্ষ ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে নতুন ডিনের দ্বিবার্ষিক কর্মপরিকল্পনা এবং বিদায়ী ডিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এএসভিএম অনুষদের সেমিনার কক্ষে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষদীয় দায়িত্ব নেওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই নবনিযুক্ত ডিন আগামী দুই বছরব্যাপী ডিনের কার্যক্রম ও কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপন এবং সদ্য বিদায়ী ডিনসহ সাবেক সকল ডিনদের সম্মাননা প্রদান করেন।
নবনিযুক্ত ডিন অধ্যাপক ড. কেবিএম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এএসভিএম অনুষদের বিদায়ী ডিনসহ, সাবেক সকল ডিন, পরিচালক (গবেষণা), অনুষদীয় সকল চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষকমন্ডলী এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে নবনিযুক্ত ডিন তার দুই বছরব্যাপি কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। যেখানে তিনি এএসভিএম অনুষদের মান উন্নয়ন,শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ তৈরি, ভেটেরিনারি ক্লিনিক উন্মুক্তকরণ, জব ফেয়ারের আয়োজন, শিক্ষার্থীদের মেন্টরিং ব্যবস্থা চালুকরণ, ফ্যাকাল্টিতে গার্লস ও প্রেয়ারস কর্নার উন্মুক্তকরণ, শিক্ষকদের মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কোর্স চালুকরণ, ভেটেরিনারি ক্লিনিকে বঙ্গবন্ধু কর্নার উন্মুক্তকরনসহ বেশকিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মপরিকল্পনা ও ফ্যাকাল্টিকে সমৃদ্ধ করণ প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমাদের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা অনুষদকে দেশের সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যেতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার কামনা করছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, নবনিযুক্ত ডিনের প্রস্তাবিত কর্মপরিকল্পনা চমৎকার যা একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরিতে কার্যকর ভুমিকা রাখবে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে অনুষদটি সমৃদ্ধ হবে এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ সেরা ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েট হবে। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত ডিনের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
জবি প্রেসক্লাবের নির্বাচন ১১ মে

জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রগতিশীল চিন্তাধারা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সাংবাদিকদের সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের (জবি প্রেসক্লাব) নির্বাচন বৃহস্পতিবার (১১ মে) অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি ও নির্বাচন সমন্বয়কারী মো. মোস্তাকিম আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জবি প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া একটি সাংবাদিক সংগঠন। সত্য প্রকাশে প্রেসক্লাব কখনো আপোস করে না। এরই ধারাবাহিকতায় প্রেসক্লাবের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে আগামী ১১ মে নতুন কমিটি গঠন করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, এরই মাঝে ভোটার তালিকা প্রকাশ ও মনোনয়ন ফরম গ্রহণ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের চতুর্থ তলায় ৪০৪ নম্বর কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। একই দিন বেলা সাড়ে ৩টায় ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইমরান আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন সকলের সহযোগীতায় অবাধ, সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত নেতৃত্ব সংগঠনকে আরও বেশি গতিশীল করবে বলে আশা করি।’
সাকিবুল ইসলাম/
মন্তব্য