ক্রিকেটে নতুন নিয়ম

ক্রিকেটে আবারও তালিকাভুক্ত হলো নতুন কিছু নিয়ম। এমসিসির এক বৈঠকে প্রাথমিকভাবে স্বীকৃতিও পেয়েছে নিয়মগুলো।
এমসিসির বৈঠকে প্রাথমিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে নিয়মবদলের বিষয়গুলো। আগামী অক্টোবর থেকে ক্রিকেটের নতুন নিয়মগুলো কার্যকর হবে।
নিয়মগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো— ক্যাচ নেওয়ার সময় দুই ব্যাটসম্যান যদি নিজেদের মধ্যে ক্রস করে নেন। তা হলেও নতুন ব্যাটসম্যানকেই ক্রিজে এসে স্ট্রাইকে দাঁড়াতে হবে।
অর্থাৎ শট নেওয়ার পর ফিল্ডার ক্যাচ নেওয়ার সময় দুই ব্যাটসম্যান প্রান্ত বদল করলে আর আগের মতো নতুন ব্যাটসম্যান ক্রিজে এসে নন-স্ট্রাইকে দাঁড়াতে পারবেন না। তাকেই স্ট্রাইক নিতে হবে। এবার থেকে পুরনো নিয়ম উঠে যাচ্ছে।
নতুন নিয়মে কোনো ব্যাটসম্যান ক্যাচ আউট হলে নতুন ব্যাটসম্যানকেই সরাসরি এসে স্ট্রাইক নিতে হবে। তাতে দুই ব্যাটসম্যান ক্রস করে থাকুক আর নাই বা থাকুক। আউট হওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যান এলে তাকেই স্ট্রাইক নিতে হবে। প্রান্ত বদল করলে নতুন ব্যাটসম্যানের নন-স্ট্রাইকে দাঁড়ানোর নিয়ম আর থাকছে না।
কুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনালে বরিশালকুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনালে বরিশাল

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম কোয়ালিফায়ারে আজ মুখোমুখি হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশাল। এ ম্যাচে কুমিল্লাকে ১০ রানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে গেল বরিশাল।
ফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রানের সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। তবে ৩০ বলে ২০ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেন মাহমুদুল হাসান জয়। জয়কে মেহেদী হাসান রানা বোল্ড করার পর টানা তিনটি উইকেট হারায় কুমিল্লা। ৬৮ রানে ৩ উইকেট যায় কুমিল্লার। ৩৫ বলে ৩৮ রান করেন লিটন দাস।
চতুর্থ উইকেটে মঈন ও ফাফ ডু প্লেসি গড়েন ২১ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন। মঈনকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন ডোয়াইন ব্রাভো। ১৫ বলে ২২ রান করেন মঈন, হাঁকান তিনটি ছক্কা। ১৫ বলে ২১ রান করে দলের প্রয়োজনের সময়েই ক্যাচ আউট হয়ে যান ডু প্লেসিও।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। বোলিংয়ে আসেন মুজিব উর রহমান। দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারার পর ইনিংসের এক বল বাকি থাকতেই আউট হয়ে যান সুনীল নারাইন। সেই সঙ্গে বরিশালের জয় নিশ্চিত হয়।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ফরচুন বরিশাল। ব্যাট হাতে শুভ সূচনা করেন ক্রিস গেইল ও মুনিম শাহরিয়ার। তাদের ৫৮ রানের জুটি ভাঙেন শহিদুল ইসলাম। ১৯ বলে ২২ রান করে বিদায় নেন গেইল। দ্বিতীয় উইকেটে ১৮ বলে ২৬ রান যোগ করেন মুনিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। মারমুখী ভঙ্গিতে থাকা মুনিম বড় শট খেলতে গিয়েই তানভীরের বলে এলবিডব্লিউ হন।
মাঠ ছাড়ার আগে মুনিম করেন ৩০ বলে ৪৪ রান। মারকুঠে এই ব্যাটারের উইলো থেকে আসে দুইটি চার ও চারটি ছক্কা। সাকিব আল হাসান নেমেই নিজের ভুলেই রান-আউট হন। ২ বলে ১ রান করেন তিনি। শুরু হয় বরিশালের টানা উইকেট হারানো। ৮৪ রানের দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ৯৪ রানের মধ্যে বরিশাল হারিয়ে ফেলে পাঁচটি উইকেট।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৩ রান সংগ্রহ করতে পারে বরিশাল। ডোয়াইন ব্রাভো ২১ বলে ১৭ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেন। কুমিল্লার পক্ষে শহিদুল তিনটি এবং মঈন দুইটি উইকেট শিকার করেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে আছেন ইবাদত হোসেন, নাসুম আহমেদ ও মাহমুদুল হাসান।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচই হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। প্রথম ওয়ানডে ২৩ ফেব্রুয়ারি।
এই সিরিজের জন্য বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা চার ক্রিকেটার—ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান ও ইয়াসির আলী, স্পিনার নাসুম আহমেদ ও পেসার ইবাদত হোসেন। মাহমুদুল, ইয়াসির ও ইবাদতের টেস্ট অভিষেক হলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি। নাসুম খেলেছেন শুধু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি।
সর্বশেষ গত বছর অনুষ্ঠিত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষের ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন ছয় ক্রিকেটার—মোহাম্মদ মিঠুন, মোহাম্মদ নাঈম, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান, রুবেল হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। চোটের কারণে দলে নেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এবার আফগানিস্তান সিরিজে মাহমুদুল, ইয়াসির, নাসুম, ইবাদত ছাড়াও দলে ঢুকেছেন নাজমুল হোসেন। আজ তিন ম্যাচ সিরিজের জন্য তামিম ইকবালকে অধিনায়ক করে ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। চোটের কারণে বিপিএলে শুরুর দিকে ছিটকে পড়া পেসার তাসকিন আহমেদকে রাখা হয়েছে দলে।
গত বছর জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের মাটিতে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার পারিবারিক কারণে ওয়ানডে না খেলেই দেশে ফিরেছিলেন মুশফিকুর রহিম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দলে আছেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে মুশফিকসহ ছিলেন ১৭ জন। এবার ১৫ জন নিয়ে দল গড়া হয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ। পরের দুটি ম্যাচ হবে ২৫ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি। সব কটি ম্যাচই হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এ সিরিজটি বিশ্বকাপ সুপার লিগের অন্তর্ভুক্ত।
ওয়ানডে সিরিজের পর বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে, সে ম্যাচগুলো হবে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।
বাংলাদেশের ওয়ানডে দল:
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, নাসুম আহমেদ, ইয়াসির আলী, মাহমুদুল হাসান।
সাকিবের সঙ্গে কথা বলেছিল আইপিএলের ২ দল, শিশিরের দাবি

এবারের আইপিএলে খেলা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। গতকাল সন্ধ্যায় ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই প্রথম আইপিএলের নিলামে উঠেও বিক্রি হলেন না বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। কাল দ্বিতীয় দিনেও তাঁর নাম ডাকা হয়েছিল, কিন্তু আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল। ব্যাপারটি অবাক করেছে অনেককেই। বিশেষ করে তাঁর বর্তমান ফর্ম বিচার করে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর অভিজ্ঞতা আর রেকর্ড যেমন, তাতে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তাঁর দল না পাওয়াটা বেশ অপ্রত্যাশিত। সাকিবের আইপিএলে দল না পাওয়া নিয়ে তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন জোর আলোচনা।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলামে গত দুই দিনে দুবার নাম উঠেছিল সাকিব আল হাসানের। কোনোবারই তাঁকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজির কেউ। এর পর থেকে চারদিকে আলোচনা-সমালোচনা। সাকিবের আইপিএল ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেল নাকি, উঠেছিল এমন প্রশ্নও।
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই সাকিবের স্ত্রী উম্মে আল হাসানের পোস্ট বিষয়টিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। শিশির লিখেছেন, নিলামে কোনো দল তাঁকে না নিলেও আইপিএলের দুটি দল নাকি সরাসরি সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, ‘খুব বেশি উত্তেজিত হওয়ার আগে আপনাদের জানিয়ে রাখি, বেশ আগেই দুটি দল সরাসরি যোগাযোগ করেছিল। তারা জানতে চেয়েছিল, সাকিব পুরো মৌসুম তাদের হয়ে খেলতে পারবে কি না!’
শিশির মনে করেন, আইপিএলে সাকিব দল পায়নি বলেই যে তাঁর আইপিএল ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে, সেটা ঠিক নয়। দল পেলে তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে থাকতে পারতেন না। শিশির প্রশ্ন তুলেছেন, তখন সবাই তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলতেন কি না, ‘আইপিএলে দল না পাওয়া খুব বড় বিষয় নয়। এবার পায়নি, পরের বছর পাবে। দল পেলে তাকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ মিস করতে হতো। তখন কি সবাই একই কথা বলতেন? তাকে বিশ্বাস ঘাতক বানাতেন? আপনাদের উত্তেজনায় জল ঢেলে দেওয়ার জন্য দুঃখিত!’
দেশের হয়ে খেলা বাদ দিয়ে সাকিব আইপিএলে খেলতে চান, এমন সমালোচনা প্রায়ই হয় তাঁকে নিয়ে। নিজের পোস্টে শিশির সেই প্রসঙ্গই তুলেছেন। এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়েও খেলেছেন সাকিব। কলকাতার হয়ে শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতাও আছে তাঁর।
আইপিএলে দলই পেলেন না সাকিব

সাকিব আল হাসানের আইপিএল অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ সমৃদ্ধ। দুইবার তিনি জিতেছেন শিরোপা। ব্যাট ও বল হাতে যেখানে অবদান রেখেছেন সাকিব। কিন্তু আইপিএল-২০২২ এর নিলামের প্রথম দিনে তাকে তোলা হলে আগ্রহ দেখায় না কেউ। বিশ্বেসেরা অলরাউন্ডার থাকেন অবিক্রিত।
দ্বিতীয় দিনে আবার তোলা হয় তাকে। এবারও তাকে কিনতে আগ্রহ দেখায় না কেউ। আইপিএলে দল বাড়লেও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার অবিক্রিতই থাকলেন। তার ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি।
সাকিব ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুটি দলের হয়ে আইপিএলের ৯ আসরে খেলেছেন। মাঝে কেবল ২০১৩ ও ২০২০ সালের আসরে খেলতে পারেননি নিষিদ্ধ থাকায়।
৯ আসরে সব মিলিয়ে সাকিব খেলেন ৭১ ম্যাচ। ব্যাট করার সুযোগ পান ৫২ ইনিংসে। ১৯.৮৩ গড়ে তিনি রান করেন ৭৯৩টি। ফিফটি মাত্র ২টি। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৬৬ রান। শূন্যরানে আউট হয়েছেন ৪ বার। বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ৭৩টি। আর ছক্কা মেরেছেন ২১টি।
অন্যদিকে বল হাতে নিয়েছেন ৬৩ উইকেট। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৭.৪৪ করে। ৪ কিংবা ৫ উইকেটের দেখা পাননি একবারও।
২০১২ সালে ও ২০১৪ সালে কলকাটা নাইট রাইডার্সের হয়ে শিরোপা জিতেছিলেন তিনি।
মন্তব্য