ইকুয়েডরকে উড়িয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

প্রমিলা ফুটবলেও দারুণ ছন্দে আছে আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডরে চলমান নারী কোপা আমেরিকায় গ্রুপপর্বের চার ম্যাচের সবকটিতেই জয় পেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়েছে সেমিফাইনালের টিকিট।
গ্রুপপর্বে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে গতকাল (বৃহস্পতিবার) বৃহস্পতিবার স্বাগতিক ইকুয়েডরকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা।
প্রথমার্ধের ১৯তম মিনিটে কিশি নুনিয়েজ গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেই প্রথম স্পর্শে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ফ্লোরেন্সিয়া বোনসেগুন্ডো।
চলমান আসরে উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর চিলিকে ২-১ এবং পেরুকে ১-০ গোলে হারায় তারা। সবগুলো ম্যাচ ইকুয়েডরের ইনডিপেনডিয়েন্টে দেল ভ্যালের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রুপ পর্ব শেষে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। একই গ্রুপ থেকে উরুগুয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে শেষ চার নিশ্চিত করেছে। চিলি ৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানের জন্য লড়বে, আর স্বাগতিক ইকুয়েডর ও পেরু এরই মধ্যে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে।
এখন আর্জেন্টিনার চোখ সেমিফাইনালে। প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হবে ব্রাজিল (৯ পয়েন্ট) ও কলম্বিয়ার (৭ পয়েন্ট) মধ্যকার ম্যাচের ফলাফলের ওপর। তৃতীয় স্থানে থাকা ভেনেজুয়েলার (৪ পয়েন্ট) সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ, কারণ গোল ব্যবধানে তারা পিছিয়ে।
শুরুতে দুই উইকেট হারাল বাংলাদেশ

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে পাকিস্তান। জবাবে শুরুতে দুই উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ ৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২০ রানে ব্যাট করছে। ক্রিজে আছেন ওপেনার নাঈম শেখ ও তাওহীদ হৃদয়ের জায়গায় চারে নামা মেহেদী মিরাজ।
এর আগে ওপেনার তানজিদ তামিম এক ম্যাচের বিশ্রাম কাটিয়ে একাদশে ফিরে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। লিটন দাস ৮ বলে ৮ রান করে ফিরেছেন।
পাকিস্তানের বড় রান পেতে চার ব্যাটার ভালো ব্যাটিং করেছেন। এর মধ্যে ওপেনার সাঈম আইয়ূব ও শাহিবজাদা ফারহান ৮২ রানের জুটি গড়েন। সাঈম ১৫ বলে ২১ রান করেন। শাহিবজাদা দলের পক্ষে ৪১ বলে সর্বাধিক ৬৩ রান করেছেন। তার ব্যাট থেকে ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কার শট আসে।
চারে নেমে হাসান নওয়াজ ১৭ বলে ৩৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে এক চার ও তিনটি ছক্কা আসে। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ মোহাম্মদ নওয়াজও ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন। স্লটে রান বাড়িয়ে নেওয়া এই ব্যাটার ১৬ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৭ রান করেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমে দাবি
এশিয়া কাপের ভেন্যু ও শুরুর সময় চূড়ান্ত!

পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনা শুরুর পর থেকেই এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা ছিল। এর মধ্যেই ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বৈঠকে ভারত যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় টুর্নামেন্টটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। অবশ্য শেষমেশ অচলাবস্থা কিছুটা হলেও কেটেছে।
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এসিসির বার্ষিক সভা। বাংলাদেশে না আসলেও অনলাইনে এসিসির বৈঠকে যোগ দিয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ধারণা করা হচ্ছে, এশিয়া কাপ নিয়ে অনিশ্চয়তার কালো মেঘও কেটে গেছে অনেকটাই।
ভারতের গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাতে এবিপি লাইভ এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল, ভারতই এশিয়া কাপ আয়োজন করবে।
তবে সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, হঠাৎ করে আয়োজক দেশ পাল্টে গেছে। এবারের আসর অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যদিও এখনো টুর্নামেন্টের ভেন্যু ও শুরুর সময় নিয়ে এসিসির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
এবারের এশিয়া কাপে অংশ নেবে ৮ দল। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। এ ছাড়া টুর্নামেন্টে অংশ নেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও হংকং। ভেন্যু হিসেবে থাকছে দুবাই ও আবুধাবি।
অবশ্য দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস টুর্নামেন্টে ভারত চ্যাম্পিয়নস দল পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নসের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়, যার ফলে ম্যাচটি বাতিল হয়ে যায়। এ কারণেই অনেকে আশঙ্কা করছেন, এবারের এশিয়া কাপে হয়তো ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন, ভারতের উচিত পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলা, আবার কেউ এই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। শেষ সিদ্ধান্তটি এখন বিসিসিআইয়ের হাতে।
৪৬ রানে ৫ উইকেট নেই পাকিস্তানের

প্রথম ১০ বলেই ১৮ রান তুলে ফেলা পাকিস্তানকে প্রথম ধাক্কা দিলেন তাসকিন। সাইম আইয়ুবের বিদায়ে শুরু। এরপর মেহেদী ফেরালেন সবশেষ দেখায় মাত্র ৪৬ বলে সেঞ্চুরি করা মোহাম্মদ হারিসকে। ফখর জামান একাই ঝড় তুললেও পাকিস্তানের বাকি ব্যাটারদের খাবি খাওয়াচ্ছেন টাইগার বোলাররা। উইকেট শিকারে যোগ দিয়েছেন তানজিম সাকিব ও মস্তাফিজুর রহমানও। তাতে পাওয়ারপ্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান।
আইয়ুব ও হারিসের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা। তানজিম সাকিবের ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান তিনি। তবে পরের চার বলে সাকিবের সামনে রীতিমতো খাবি খেয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। তার সংগ্রাম শেষ হয় সেই ওভারের শেষ বলে। র্যাম্প স্কুপ খেলতে গিয়ে লিটনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৯ বলে মাত্র ৩ রান করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
পরের ওভারে বল হাতে পান মোস্তাফিজুর রহমান। আর প্রথম ওভারেই পান উইকেটের দেখা। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়েছেন হাসান নেওয়াজকে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪১ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান।
বিপর্যয়ে পড়া পাকিস্তানের বিপদ আরও বেড়েছে বাংলাদেশের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে। রানআউট হয়ে গেছেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। লিটন দাসের থ্রো হাতে পেয়ে ননস্ট্রাইক প্রান্তে রানআউট হয়েছেন তিনি। করেছেন ৫ বলে ৩ রান। পাকিস্তান মাত্র ৪৬ রানে হারিয়েছে ৫ উইকেট। শেষ ৫ ওভারে মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান।
তবে, ফখর জামান ও সাইম আইয়ুবের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল পাকিস্তান। শেখ মেহেদীর করা প্রথম ওভারেই দুটি চার মারেন ফখর। দ্বিতীয় ওভারে তাসকিনকে চার মারেন আইয়ুবও। কিন্তু ফ্লিক করতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৬ রান করে।
তৃতীয় ওভারে ফিরে আসা মেহেদীর ওপর চড়াও হয়েছিলেন ফখর। মারেন তিনটি বাউন্ডারি। কিন্তু সেই ওভারে উইকেটের দেখা পান মেহেদী। ওভারের শেষ বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন হারিস।
ভারতের বরাদ্দ কমিয়ে বাংলাদেশেরটা বাড়াতে আইসিসিকে পরামর্শ ভনের

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) আয় করেছে প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি। এর বড় একটা অংশ এসেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে। তবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকেও বড় অঙ্কের অর্থ পেয়েছে তারা।
আইসিসি থেকে এক বছরে ১ হাজার ৪২ কোটি রুপি পেয়েছে বিসিসিআই। যা তাদের মোট আয়ের ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আইসিসি থেকে এর চেয়ে বেশি অর্থ পায় না আর কোনো দল। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলগুলোর ভারতের তুলনায় অনেক কম অর্থ পায়। তাই ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন মনে করেন এসব দেশগুলোকে আরও বেশি অর্থ দেওয়া উচিত।
আইসিসির এ নীতি প্রসঙ্গে ভন বলেন, ‘যে জিনিসটা আমার বাজে লাগে, সেটা হচ্ছে ক্রিকেটের টাকাপয়সা সঠিকভাবে ভাগ হয় না। আইসিসির অনেক টাকা আছে। আমরা যদি ক্রিকেটে দুই স্তরও চালু করি, সবচেয়ে ন্যায্য হচ্ছে ভাগাভাগিটা ঠিক করা। আমি বলছি না যে সবাই একদম সমানে সমান টাকা পাক।'
২০২৩ সালের জুলাইয়ে আইসিসি বোর্ড সভায় ২০২৪-২৭ চক্রের লভ্যাংশ ভাগাভাগির যে মডেল অনুমোদন করা হয়, সেখানে সবচেয়ে বেশি ৩৮.৫০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ভারতের জন্য। এ ছাড়া ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ৬.৮৯ শতাংশ, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ৬.২৫ শতাংশ এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ৫.৭৫ শতাংশ হারে লভ্যাংশ পাচ্ছে। বাকি দেশগুলোর সবাই ৫ শতাংশেরও কম লভ্যাংশ পাচ্ছে।
ভন বলেন, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলোর ভাগের টাকা আরও বেশি পাওয়া উচিত, যাতে তারা খেলোয়াড়দের আরও বেশি টাকা দিতে পারে। একটা ভালো অঙ্কের অর্থ পেলে এই খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের হয়ে আরও বেশি দিন খেলবেন।’
মন্তব্য