জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার পদে ২০২৪ এ ডিইও ব্যাচে চাকরির সুযোগ নিয়ে ‘জয়েন বাংলাদেশ নেভী’ শীর্ষক সেমিনার ও জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৪ জুন) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে মোট ছয়টি বিভাগে চাকরির সুযোগ নিয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ইফরাত জাহানের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে চাকরির আদ্যোপান্ত নিয়ে আলোচনা করেন। মোট তিনটি শাখায়- ইঞ্জিনিয়ারিং ইলেকট্রিক্যাল শাখা (পুরুষ), শিক্ষা শাখা (পুরুষ ও মহিলা) এবং শিক্ষা শাখা (ইঞ্জিনিয়ার) কমিশন্ড অফিসার হিসেবে চাকরির সুযোগ থাকছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং ইলেকট্রিকাল শাখার জন্য আবেদনকারীদের দেশের যেকোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে নেভাল আর্কিটেকচার/মেকানিকাল/ইলেকট্রিকাল বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রীধারী হতে হবে৷ প্রার্থীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ ৪.৫০ এবং বিএসসিতে ন্যুনতম সিজিপিএ ৩.০০ পেতে হবে৷
শিক্ষা শাখায় যেকোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং প্রার্থীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ন্যুনতম জিপিএ ৪.০০ এবং স্নাতক (সম্মান) সিজিপিএ ৩.০০ পেতে হবে। ছয়টি বিষয় হলো- ইংরেজি, পদার্থ, রসায়ন, মনোবিজ্ঞান, আইন ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা।
এছাড়া শিক্ষা শাখা (ইঞ্জিনিয়ার) এর জন্য প্রার্থীকে যেকোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ন্যূনতম জিপিএ ৪.৫০ ও সিজিপিএ ৩.০০ পেতে হবে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার ও কম্পিউটার সায়েন্স এই তিনটি বিভাগের স্নাতকরা এখানে আবেদন করতে পারবেন।
আয়োজকরা জানান, চূড়ান্ত মনোনয়ন শেষে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে অ্যাক্টিং সাব লেফটেন্যান্ট পদে পাঁচ বছরের জন্য স্বল্পমেয়াদী/স্থায়ী কমিশন প্রদান করা হবে৷ প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে লিখিত পরীক্ষা, আইএসএসবি ও চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হবে।
সেমিনারে নৌবাহিনী ক্যাপ্টেন আমিন আব্দুল্লাহ বলেন, ‘জানুয়ারি ২০২৪ এ জয়েন করবে তাদের জন্য এ চাকরির সুযোগ৷ জুলাইয়ে এ প্রক্রিয়া শেষ হবে। নভেম্বরে আবার দ্বিতীয় ধাপে শুরু হবে। নৌবাহিনীতে জাহাজ, এয়ারক্রাফট পরিচালনা করার জন্য টেকনিকাল পারসন বেশি দরকার। এ বছর যেগুলো ফাঁকা আছে সেগুলো এখন নিচ্ছি৷ অন্য বিভাগে পরে সার্কুলার প্রকাশ করা হবে।’
শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য এটা খুবই বড় সুযোগ। চাকরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য আমাদের কাছে থাকে না। এটাই সময় ক্যারিয়ার বাছাই করার। সেনা ও নৌবাহিনীতে উত্তোরোত্তর গবেষণাকর্মের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, নৌবাহিনী প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকতে হয়। আর এ পেশায় যারা যেতে চায় তারা সে চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহী৷ সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনি, নৌবাহিনীর সুনাম আছে৷ সেখানে যোগদান করাও গৌরবের। শিক্ষার্থীরা আরো বেশি আগ্রহী হবে।