The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪

নোয়াখালীতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর পালিয়েছে নিহতের স্বামী।

নিহত ফৌজিয়া সুলতানা আরশী প্রিয়া (২৩) উপজেলার ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের খাঁরগো বাড়ির সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী।

শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আজিমপুর গ্রামের খাঁরগো বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, পারিবারিক কলহের জের ধরে একই দিন সন্ধ্যার দিকে দিকে ওই গৃহবধূ পরিবারের সদস্যদের অগোচরে স্বামীর বসত ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

নিহতের বড় ভাই ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তিন বছর আগে পারিবারিক ভাবে তার বোনের বিয়ে হয় সাদ্দামের সাথে। এর আগে সাদ্দামের সাথে তার প্রথম স্ত্রীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কিন্ত আমার বোনের একটি সন্তান হওয়ার পর সে জানতে পারে তার স্বামীর সাথে তার প্রথম স্ত্রীর এখনো সম্পর্ক আছে এবং কিছু দিন আগে তার সে ঘরে একটি সন্তান জন্ম নেয়। এ নিয়ে তার স্বামীর সাথে তার কলহ দেখা দেয়। এতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও তার শ্বাশুড়ী তাকিয়া খাতুন তার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করত। কয়েক দিন আগে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্বামী তাকে মারধর করে। নিহতের বড় ভাই অভিযোগ করে আরো বলেন, আমার বোনকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. অপরাধ ও শৃঙ্খলা
  3. নোয়াখালীতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

নোয়াখালীতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর পালিয়েছে নিহতের স্বামী।

নিহত ফৌজিয়া সুলতানা আরশী প্রিয়া (২৩) উপজেলার ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের খাঁরগো বাড়ির সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী।

শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আজিমপুর গ্রামের খাঁরগো বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, পারিবারিক কলহের জের ধরে একই দিন সন্ধ্যার দিকে দিকে ওই গৃহবধূ পরিবারের সদস্যদের অগোচরে স্বামীর বসত ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

নিহতের বড় ভাই ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তিন বছর আগে পারিবারিক ভাবে তার বোনের বিয়ে হয় সাদ্দামের সাথে। এর আগে সাদ্দামের সাথে তার প্রথম স্ত্রীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কিন্ত আমার বোনের একটি সন্তান হওয়ার পর সে জানতে পারে তার স্বামীর সাথে তার প্রথম স্ত্রীর এখনো সম্পর্ক আছে এবং কিছু দিন আগে তার সে ঘরে একটি সন্তান জন্ম নেয়। এ নিয়ে তার স্বামীর সাথে তার কলহ দেখা দেয়। এতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও তার শ্বাশুড়ী তাকিয়া খাতুন তার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করত। কয়েক দিন আগে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্বামী তাকে মারধর করে। নিহতের বড় ভাই অভিযোগ করে আরো বলেন, আমার বোনকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন