বার্সাকে কাঁপানো সেই ১৮ বছর বয়সী ছেলেটি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে ডাক পেলেন
অন্য দেশ থেকে শরণার্থী হিসেবে এসে অনেকেই তারকা ফুটবলার হয়েছেন। অ্যাঙ্গোলার শরণার্থীশিবিরে জন্ম নেওয়া এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার কথাই ধরুননা। দুই বছর বয়সে সেখান থেকে ফ্রান্সে পাড়ি জমানো কামাভিঙ্গা এখন রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলার। হালের গ্যারাং কুয়োলও কি সেই পথেই হাঁটছেন?
অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া দল সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্স থেকে গত সেপ্টেম্বরে ১৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে দলে টানে নিউক্যাসল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এখনো অভিষেক হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন আগামী জানুয়ারিতে। কিন্তু তার আগেই আরও বড় মঞ্চে অভিষেক হয়ে যেতে পারে কুয়োলের। মিসরে জন্ম নেওয়া এই ফুটবলারকে নিয়েই আজ কাতার বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ২৬ জনের দল ঘোষণা করেছেন কোচ গ্রাহাম আর্নল্ড।
শরণার্থী হিসেবে অন্য দেশে গিয়ে ফুটবলার হতে গিয়ে অনেকে হারিয়েও যান। কিন্তু প্রতিভার দ্যুতিতে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ লিগ যেমন মাতিয়েছেন, তেমনি এ বছরের মে মাসে বার্সেলোনার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার অলস্টার দলের হয়েও দুর্দান্ত খেলেন। অস্ট্রেলিয়ার এ লিগের অলস্টার দল সে ম্যাচে ৩-২ গোলে হারলেও কুয়োলের খেলা নজর কেড়েছিল। সম্ভবত কোচ গ্রাহাম আর্নল্ডও ভুলতে পারেননি। নইলে কি আর গত সেপ্টেম্বরেই জাতীয় দলে ডাকেন কিংবা দেশের হয়ে মাত্র ১ ম্যাচ খেলা কুয়োলকে বিশ্বকাপ দলে বিবেচনা করেন!
গ্যারাং কুয়োলের বড় ভাই আলু কুয়োলও ফুটবলার। জার্মান ক্লাব স্টুটগার্টে খেলছেন গত বছর থেকে। তবে ছোট ভাইয়ের মতো অত প্রতিভা তাঁর নেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত সেপ্টেম্বরে প্রীতি ম্যাচে গ্যারাংয়ের অভিষেকের সময় থেকেই তাঁকে হ্যারি কিউল, টিম কাহিলদের উত্তরসূরি ভাবা হচ্ছে। সে ম্যাচে ১৮ বছর ১০ দিন বয়সে অভিষেক ঘটিয়ে কিউলকে মনেও করিয়ে দেন গ্যারাং। ১৯৯৬ সালে হ্যারি কিউলের পর অস্ট্রেলিয়ার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক ঘটেছিল তাঁর।
গ্যারাংয়ের পরিবার সুদানের খার্তুমে বসবাস করতেন। দেশে গৃহযুদ্ধের কারণে মিসরে পালিয়ে যান তাঁরা। ২০০৪ সালে সেখানেই জন্ম গ্যারাংয়ের। ছয় বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। ফুটবলের সঙ্গে মিতালি তখন থেকেই দুই ভাইয়ের।