বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ৯ ধরনের পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ১৪তম থেকে ১৮তম গ্রেডের এসব পদে মোট ৩৫৬ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
৩৫৬ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৬৯ জন নেওয়া হবে উপজেলা বা থানা মহিলা প্রশিক্ষিকা। থানা বা উপজেলা প্রশিক্ষক পদে নেওয়া হবে ৬৩ জন, স্টাফ ফটোগ্রাফার ১, ড্রাফটসম্যান ১, ভেহিকেল মেকানিক পদে ১, সারেং/লঞ্চ ড্রাইভার ২, নার্সিং সহকারী ১৭, কম্পাউডার ১ ও প্লাম্বার পদে ১ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
স্টাফ ফটোগ্রাফার পদে আবেদনের জন্য এইচএসসি পাসসহ আলোকচিত্র বিদ্যায় ডিপ্লোমা এবং চিত্রগ্রাহক হিসেবে দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
ড্রাফটসম্যান পদে আবেদনের জন্য এইচএসসি বা সমমান পাসসহ ড্রাফটসম্যানশিপ বিষয়ে ডিপ্লোমা থাকতে হবে। উপজেলা বা থানা মহিলা প্রশিক্ষিকা এবং থানা বা উপজেলা প্রশিক্ষক পদে এইচএসসি পাস হলে আবেদন করা যাবে।
নার্সিং সহকারী ও কম্পাউন্ডার পদে আবেদনের জন্য এসএসসি পাসসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা থাকতে হবে। ভেহিকেল মেকানিক, সারেং/লঞ্চ ড্রাইভার ও প্লাম্বার পদে আবেদনের জন্য অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।
মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ঝিনাইদহ, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি পটুয়াখালী জেলার প্রার্থীরা কোনো পদে আবেদন করতে পারবেন না। তবে এতিম/শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটায় সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের পদ্ধতি ও ফি
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার অথবা যেকোনো অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন কম্পিউটার থেকে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওয়েবসাইটে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ লিংকে ক্লিক করে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত লিংকটি সক্রিয় থাকবে। প্লাম্বার পদের জন্য আবেদন ফি ১০০ টাকা এবং বাকি পদগুলোর জন্য
২০০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং ‘নগদ’–এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে। অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে কোনো সমস্যা হলে এই নম্বরে (০৯৬৪৩২০৭০০৪) যোগাযোগ করা যাবে।
আবেদনের বয়স
প্রার্থীদের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চাকরির বয়সে ছাড় দেওয়ায় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তারিখে যাদের বয়স ৩০ বছর হয়েছে তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় অবশ্যই প্রবেশপত্র দেখাতে হবে। প্রবেশপত্র ছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হলে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল ও সাময়িক সনদ, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরের দেওয়া নাগরিকত্বের সনদ, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের মূল/সাময়িক সনদ, এতিম/শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের কোটার প্রমাণপত্র, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য হলে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ সনদ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি মৌখিক/ব্যবহারিক/স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় সঙ্গে আনতে হবে।
নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান বিধিবিধান, কোটাপদ্ধতি এবং পরবর্তী সময় এ–সংক্রান্ত কোনো সংশোধন হলে, তা অনুসরণ করা হবে। নিয়োগের যেকোনো পর্যায়ে প্রার্থীর আবেদনে দেওয়া কোনো তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে কিংবা অসম্পূর্ণ তথ্য দাখিল করলে তার আবেদনপত্র বাতিল করা হবে। অনলাইনে সঠিক জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যাচাই করার সময় ভুল প্রমাণিত হলে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে।