সমন্বিত ৮টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষায় গরমিলের অভিযোগ উঠেছে।
১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ১৫ সেপ্টেম্বরে প্রকাশের পর কিছু শিক্ষার্থী ফলাফল নিয়ে অভিযোগ ও স্মারকলিপি দিলে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়। এক হাজার টাকা ফি দিয়ে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেন ৪২১জন শিক্ষার্থী। ২৪ তারিখে নিরীক্ষনের আবেদনকারীদের ফলাফলে বিস্তারিত স্কোরসহ দেওয়া হয়। সেই স্কোরে কয়েকজন মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাশ করা শিক্ষার্থী গরমিল খুঁজে পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
এসএসসি এবং এইচএসসিতে প্রাপ্ত মোট নম্বরকে ২৫+২৫=৫০-এ রূপান্তরিত করে ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ করে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়।
মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাশ করা রিফাত আহমেদ রিপন নামের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, তার এইচএসসির প্রাপ্ত নম্বর ১১৩০ থেকে ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্য ৮০ বাদ দিয়ে সেটাকে মোট নম্বর ১৩০০ দিয়ে ভাগ করার পর ২৫ দিয়ে গুণ করলে স্কোর আসে ২০.১৯। কিন্ত পুনঃনিরীক্ষার ফলাফলে দেওয়া হয়েছে ১৫.৪৪। অর্থাৎ ৪.৭৫ নম্বর কম পেয়েছেন তিনি।
একইভাবে আব্দুল্লাহ আল মাহিন নামে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাশ করা আরেকজন শিক্ষার্থী জানান, তার এইচএসসির প্রাপ্ত নম্বর ১১০০ থেকে ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্য ৮০ বাদ দিয়ে ২৫ এ রুপান্তর করলে স্কোর আসে ১৯.৬১৫। কিন্তু পুনঃনিরীক্ষার ফলাফলে তাকে দেওয়া হয়েছে ১৫.০০। এ রকম আরও কয়েকজন মাদ্রাসা মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাশ করা ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে জানা গেছে।
নম্বর গরমিলের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে, কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান অধ্যাপক এ এম এম শামসুজ্জামান বলেন, মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে। গতবারেও এমন সমস্যা হয়েছিল। তবে কোনো শিক্ষার্থীর যদি এমন সমস্যা হয় তবে আমরা তাকে বঞ্চিত করবো না। তাদের বিষয়ে আমরা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেব।
এ বিষয়ে শেকৃবির প্রক্টর ড. হারুন-উর-রশীদ যুগান্তরকে বলেন, বোর্ড থেকে আমাদের যে নম্বর পাঠিয়েছে সেটাই আমরা হিসেব করেছি।
বোর্ড থেকে পাঠানোর নম্বরের উপর গড়ে ভুলের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা নিয়ে আমরা বসব। এরকম কিছু হলে আমরা বিশেষ বিবেচনা করব।