মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) জনবল নিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে নিয়োগের যেসব লিখিত পরীক্ষা হয়েছে সেগুলোর ফলাফল তৈরির কাজ করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ে তা প্রকাশ করা হবে।
নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) মাউশিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন প্রার্থীরা।
মাউশি থেকে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ মাউশির অফিস ও স্কুল-কলেজে দেশব্যাপী ২৪টি পদে চার হাজার ৩২ জনকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। চারটি ধাপে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ঠিকঠাক হলেও পঞ্চম ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এরপর রাজধানীর একাধিক পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রার্থীর কাছে উত্তর সরবরাহ করার প্রমাণ পায় ডিবি পুলিশ। এর সূত্র ধরে মাউশির অধীনস্থ দুজন কর্মকর্তা ও তিনজন কর্মচারীকে আটক করে ডিবি।
মাউশির কর্মকর্তারা জানান, গত ১৩ মে ৫১৩ জন অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষর পদে নিয়োগের জন্য ঢাকা মহানগরের ৬১ কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এসব পদে নিয়োগের জন্য এক লাখ ৭৯ হাজার ২৯৪ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পর ১২টি কেন্দ্রের কয়েকজন পরীক্ষার্থীর কাছে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করা হয়।
জানা যায়, মাউশির নিয়োগ পরীক্ষার ষষ্ঠ ধাপে, চলতি বছরের ৩ জুন লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। পঞ্চম ধাপে পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হওয়ায় বর্তমানে দুটি ধাপের পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শেষ ধাপে হিসাব সহকারী পদে ১০৬টি পদের জন্য ৭৩ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেন।
এ বিষয়ে রোববার মাউশির পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, নিয়োগের দুটি ধাপের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত থাকলেও যেসব পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সেগুলোর ফলাফল তৈরির কাজ করা হচ্ছে। এ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দ্রুত সময়ে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। লিখিত পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশের পর মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যে পরীক্ষাটি পিছিয়ে গেছে সেটি দ্রুত সময়ে কীভাবে নেওয়া যায় সেটি চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। স্থগিত পরীক্ষাটি কবে নেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।