The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকাহত জবি

জবি প্রতিনিধি: বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ শোকবার্তা পাঠানো হয়েছে।

শোকবার্তায় জানানো হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে।

আরও বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে।

রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি একজন বাংলাদেশি চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য সক্রিয়তাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং মুক্তিযোদ্ধা। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামক স্বাস্থ্য বিষয়ক এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশের ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ ঘোষণার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম যোদ্ধা। রণাঙ্গনে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে প্রাণ বাঁচিয়েছেন অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার। জাতির যেসব সূর্যসন্তান আজকের এই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং রাজনীতির বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।

ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর কাজের জন্য অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই এবং সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসেবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন। ২০২১ সালে আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার পান তিনি। একজন সচেতন সমাজ সংস্কারক হিসেবে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন বিভিন্ন সেক্টরে। তাঁর সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা ছিল।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকাহত জবি

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকাহত জবি

জবি প্রতিনিধি: বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ শোকবার্তা পাঠানো হয়েছে।

শোকবার্তায় জানানো হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে।

আরও বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে।

রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি একজন বাংলাদেশি চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য সক্রিয়তাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং মুক্তিযোদ্ধা। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামক স্বাস্থ্য বিষয়ক এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশের ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ ঘোষণার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম যোদ্ধা। রণাঙ্গনে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে প্রাণ বাঁচিয়েছেন অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার। জাতির যেসব সূর্যসন্তান আজকের এই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং রাজনীতির বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।

ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর কাজের জন্য অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই এবং সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসেবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন। ২০২১ সালে আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার পান তিনি। একজন সচেতন সমাজ সংস্কারক হিসেবে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন বিভিন্ন সেক্টরে। তাঁর সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা ছিল।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন