দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদেশে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকরা। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ঢাবির ৩৫৬ জন শিক্ষক বিদেশে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে ফেরেননি ২৯ জন। আর চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৩৭ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বুয়েটের ১৪১ জন শিক্ষক বাইরে অবস্থান করছেন। কর্মস্থলে ফেরেননি ৪১ জন। আর চাকরিচ্যুত হয়েছেন ২১ জন।
তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩ জন শিক্ষক দেশের বােইরে অবস্থান করছেন। কর্মস্থলে ফেরেননি ৫ জন; চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৫ জন। চতুৃর্থ অবস্থানে রয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটির ১০০ জন শিক্ষক দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। কর্মস্থলে ফেরেননি ৮ জন এবং চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৮ জন।
তালিকা পাঁচ নম্বরে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯ জন শিক্ষক বাইরে অবস্থান করছেন। ৮ জন কর্মস্থলে ফেরেননি আর ৫ জন চাকরিচ্যুত হয়েছেন। ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৭ জন শিক্ষক দেশের বাইরে অবস্থান করেছেন।
বিদেশে অবস্থান করেও দীর্ঘদিন ধরে দেশে না ফেরায় এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ইতোমধ্যে অনেকের কাছে বৃত্তির অর্থ ফেরত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর দিল আফরোজা বেগম বলেন, বিদেশে গিয়ে শিক্ষকরা আর দেশে ফিরে আসতে চান না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিদেশে যাওয়ার সময় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিক্ষকদের বন্ড থাকে। যেসব শিক্ষক ফিরে আসতে অনীহা প্রকাশ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, কর্তৃপক্ষ তাও নেবে।