বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে সহকারী জজদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত সূচি অনুযায়ী- আগামী ৩০ জুলাই শনিবার সহকারী জজ পরীক্ষার (এমসিকিউ) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানীর উইল্স লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ ও সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা অুনষ্ঠিত হবে। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে এ পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এবারের পরীক্ষায় মোট ৮ হাজার ৫৫৮ জন প্রার্থী অংশ নেবেন।
পরীক্ষার্থীদের কক্ষ নম্বর ও আসনবিন্যাস সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের নোটিশ বোর্ড ও কমিশনের ওয়েবসাইটে আগামী ২৮ জুলাই পাওয়া যাবে। পরীক্ষার্থীরা ওই সময় নিজেদের আসনবিন্যাস জেনে নিতে পারবেন।
এরআগে ১৪তম জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সহকারী জজ পদে ১০২ জনকে মনোনীত করা হয়েছে। চলতি বছরের ২১ এপ্রিল তাদের মনোনীত করে ফল প্রকাশ করা হয়। তার আগে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে সহকারী জজ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের প্রবেশ পদ অর্থাৎ সহকারী জজ পদে নিয়োগের লক্ষ্যে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই করা হয়। সহকারী জজ নিয়োগের এ বাছাই পদ্ধতি তিনটি পরীক্ষার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। প্রথমে প্রাথমিক পরীক্ষা নেওয়া হয়, এরপর লিখিত পরীক্ষা এবং সবশেষে ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষা।
এক্ষেত্রে সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যেসব যোগ্যতা থাকতে হয়, সেগুলো হলো- প্রার্থীর বয়স ৩২ বছরের বেশি হতে পারবে না। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট অথবা সমমানের পরীক্ষার মূল সনদপত্র অনুযায়ী বয়স নির্ধারিত হবে। প্রার্থীর বয়স বেশি হলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না। বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।
শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়, কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক অথবা আইন বিষয়ে স্নাতক অথবা কোনো স্বীকৃত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন বিষয়ে তিন বছর মেয়াদি স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, ওই ব্যক্তিকে আইন বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা ক্ষেত্রমত, আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ প্রাপ্ত হতে হবে।
শারীরিক সক্ষমতার শর্তে বলা হয়, সহকারী জজ পদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রার্থীকে শারীরিকভাবে সক্ষম হতে হবে। দায়িত্ব পালনে বাধা হয় এমন দৈহিক বৈকল্য আছে কি না, তা যাচাই এবং প্রত্যয়নের নিমিত্ত প্রার্থীকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত মেডিকেল বোর্ড অথবা মনোনীত মেডিকেল অফিসারের সম্মুখে উপস্থিত হতে হবে।
জাতীয়তার শর্তে বলা হয়, প্রার্থীকে বাংলাদেশের নাগরিক অথবা বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। কিন্তু প্রার্থী যদি এমন কোনো ব্যক্তিকে বিয়ে করেন অথবা বিয়ে করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন, যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, তাহলে তিনি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।