The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধন আজ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের যাত্রা শুরু হবে আজ বুধবার থেকে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করবেন তিনি। এদিন একইসঙ্গে শেখ জামাল ও রোজী জামালের নামে দুটি পৃথক ডরমেটরির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এখান থেকেই উদ্ভাবিত হবে নতুন নতুন আইডিয়া। সেই সকল আইডিয়াকে বাস্তবায়নে রূপদান করার একটি ক্ষেত্র হবে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এই ইনকিউবেটর ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে আরও যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানটি গণভবন, আইসিটি মন্ত্রণালয় ও চুয়েট তিন প্রান্ত থেকে একযোগে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম-৬ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, চুয়েটের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী এবং শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উপকারভোগী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।

এই প্রকল্পের মধ্যে আছে ১০ তলা পর্যন্ত ডিম্বাকৃতির ইনকিউবেশন ভবন। এর প্রতি ফ্লোর ৫ হাজার বর্গফুট করে মোট ভবনের আয়তন ৫০ হাজার বর্গফুট। শেখ জামাল ও রোজি জামালের নামে নারী ও পুরুষদের জন্য রয়েছে পৃথক দুটি চার তলা বিশিষ্ট ডরমিটরি। প্রতি ডরমেটরিতে ৪০টি কক্ষ আছে। দুটি ভবনের মোট আয়তন ৪০ হাজার বর্গফুট। আরও আছে ৬ ছয় তলা মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবন যার প্রতি ফ্লোর ৬ হাজার বর্গফুট করে মোট আয়তন ৩৬ হাজার বর্গফুট। এই ইনকিউবেটর এর মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়ার মাঝে একটা সেতু বন্ধন সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ দশমিক ৭ একর জায়গায় দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ২২০ জনের প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বিটিসিএল’ র মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ আছে এখানে। ২০১৭ এর জুলাই থেকে শুরু করে ২০২২ এর জুন পর্যন্ত নির্ধারিত মেয়াদেই এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ১১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও ১১৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকায় পুরো কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা সরকারকে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষর মাধ্যমে বর্তমানে সারাদেশে ৯২টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৯টি পার্ক স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। বর্তমানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের জন্য ৩টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। আরও ৩৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধন আজ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধন আজ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের যাত্রা শুরু হবে আজ বুধবার থেকে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করবেন তিনি। এদিন একইসঙ্গে শেখ জামাল ও রোজী জামালের নামে দুটি পৃথক ডরমেটরির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এখান থেকেই উদ্ভাবিত হবে নতুন নতুন আইডিয়া। সেই সকল আইডিয়াকে বাস্তবায়নে রূপদান করার একটি ক্ষেত্র হবে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এই ইনকিউবেটর ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে আরও যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানটি গণভবন, আইসিটি মন্ত্রণালয় ও চুয়েট তিন প্রান্ত থেকে একযোগে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম-৬ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, চুয়েটের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী এবং শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উপকারভোগী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।

এই প্রকল্পের মধ্যে আছে ১০ তলা পর্যন্ত ডিম্বাকৃতির ইনকিউবেশন ভবন। এর প্রতি ফ্লোর ৫ হাজার বর্গফুট করে মোট ভবনের আয়তন ৫০ হাজার বর্গফুট। শেখ জামাল ও রোজি জামালের নামে নারী ও পুরুষদের জন্য রয়েছে পৃথক দুটি চার তলা বিশিষ্ট ডরমিটরি। প্রতি ডরমেটরিতে ৪০টি কক্ষ আছে। দুটি ভবনের মোট আয়তন ৪০ হাজার বর্গফুট। আরও আছে ৬ ছয় তলা মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবন যার প্রতি ফ্লোর ৬ হাজার বর্গফুট করে মোট আয়তন ৩৬ হাজার বর্গফুট। এই ইনকিউবেটর এর মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়ার মাঝে একটা সেতু বন্ধন সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ দশমিক ৭ একর জায়গায় দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ২২০ জনের প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বিটিসিএল' র মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ আছে এখানে। ২০১৭ এর জুলাই থেকে শুরু করে ২০২২ এর জুন পর্যন্ত নির্ধারিত মেয়াদেই এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ১১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও ১১৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকায় পুরো কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা সরকারকে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষর মাধ্যমে বর্তমানে সারাদেশে ৯২টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৯টি পার্ক স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। বর্তমানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের জন্য ৩টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। আরও ৩৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন