দেশের নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য ভূমির পরিমাণ নির্ধারণ করতে শিগগির একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। ফ্রেমওয়ার্কে দেশের সাত ধরণের বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ক্ষেত্রে জমির পরিমাণ কি হবে তা উল্লেখ থাকবে।
ভূমি বরাদ্দে নিমার্ণযোগ্য জমির পরিমাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ধরণ, শিক্ষার্থী সংখ্যা, ক্যাম্পাসের ডিজাইনসহ বিভিন্ন বিষয় পরিমাপক হিসেবে কাজ করবে। অপ্রয়োজনে ভূমি অধিগ্রহণ নিরুৎসাহিত করতে এবং নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে এই ফ্রেমওয়ার্ক প্রয়োজনীয় ভূমির পরিমাণ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে ইউজিসি।
আজ সোমবার ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত নব প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ক্যাম্পাসের জন্য ভূমির পরিমাণ নির্ধারণ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির এক সভায় ফ্রেমওয়ার্ক প্রনয়ণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ইউজিসি সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর- এর সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, বুয়েটের প্রোভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার খান, বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহম্মেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম নাজেম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের প্রফেসর ড. এ কে এম আবুল কালাম ও প্রফেসর ড. মো. আখতার মাহমুদ, ভিত্তি স্থাপতিবৃন্দ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি ইকবাল হাবিব, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ড. দূর্গা রানী সরকার ও উপ-পরিচালক শিবানন্দ শীল উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কমিটির সদস্যরা দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি একাডেমিক মাস্টার প্লান প্রণয়ন এবং নতুন পাবলিক বিশ্ববদ্যিালয় স্থাপনে ইউজিসির মতামত গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় প্রফেসর আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ায় বিশ্ববদ্যালয়ের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, সরকার দেশের সব জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করেছে। এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য ভূমির পরিমাণ যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা দরকার। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ক্যাম্পাস স্থাপনে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কারণে জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে নানা সংকট তৈরি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে ৫২টি পাবলিক বিশ্ববদ্যালয় রয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও যুগের চাহিদার কারণে এ সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। বিশ্ববদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে জমির পরিমাণ নির্দিষ্ট করা গেলে আবাদী জমি ও জলাশয় রক্ষা করা যাবে এবং জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে কোন বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে না বলে তিনি জানান।