৪৪তম বিসিএসের আবেদনের যোগ্যতায় সংশোধনী আনা হয়েছে। স্নাতক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত না হলেও অ্যাপিয়ার্ড হিসেবে আবেদন করা যাবে। এ ছাড়া এই বিসিএসের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার পরিবর্তে আগামী ২ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৪তম বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থীদের আবেদনের যোগ্যতায় সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, স্নাতকের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত না হলেও অ্যাপিয়ার্ড হিসেবে ৪৪তম বিসিএসে আবেদন করা যাবে। তবে তা সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হবে।
সংশোধিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যদি কোনো প্রার্থী এমন কোনো পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন, যে পরীক্ষায় পাস করলে তিনি ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করবেন এবং যদি তাঁর ওই পরীক্ষার ফলাফল ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র দাখিলের শেষ তারিখ পর্যন্ত প্রকাশিত না হয়, তাহলেও তিনি অবতীর্ণ প্রার্থী (অ্যাপিয়ার্ড) হিসেবে অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। তবে তা সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হবে। কেবল সেই প্রার্থীকেই অবতীর্ণ প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হবে, যাঁর স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সব লিখিত পরীক্ষা আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখের মধ্যে, অর্থাৎ আগামী ২ মার্চের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে।
আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা এ ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd/) গিয়ে পিএসসির নির্ধারিত ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর। ৪৪তম বিসিএস হবে সাধারণ (জেনারেল)। এ বিসিএসে নেওয়া হবে ১ হাজার ৭১০ জনকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হবে।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, করে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাক ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন।