ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউএসএআইডির (ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট) মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের শেষ কর্মদিবস পার করেছেন বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি)। মার্কিন সময় অনুযায়ী শুক্রবারের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বিশ্বব্যাপী ইউএসএআইডির তহবিল স্থগিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার প্রশাসন সংস্থাটিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা করছে। ইতোমধ্যে ওয়াশিংটনে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে কর্মীদের না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ইউএসএআইডির ওয়েবসাইটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ঢাকায় ইউএসএআইডির মার্কিন কর্মকর্তাদের শেষ কর্মদিবস ছিল। দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করায় স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, যা কর্মীদের বিদায়ের সময় আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করে। তবে তহবিল স্থগিতের ফলে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
ঢাকায় ৬০-৭০ জন মার্কিন কর্মকর্তা ইউএসএআইডিতে কাজ করতেন। এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, তহবিল স্থগিতের ঘোষণার পরপরই প্রথমে সংস্থার ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে যেসব মার্কিন কর্মকর্তার জরুরি চিকিৎসা বা সন্তানদের পড়াশোনা সংক্রান্ত বিশেষ পরিস্থিতি রয়েছে, তাদের কিছুটা সময় বাড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে। বাকিদের শুক্রবারের মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে।
এছাড়া ঢাকায় ২৫০-৩০০ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তা ইউএসএআইডির বিভিন্ন প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন। তাদের চাকরি থাকবে কি না, নতুন করে কোথায় কাজ পাবেন—সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সংস্থার কর্মকাণ্ড চালু থাকলেও অপেক্ষাকৃত কম খরচে পরিচালনার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইউএসএআইডির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এত বড় একটি সংস্থা হুট করে পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। আপাতত ৯০ দিনের জন্য কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে যদি বিশ্বব্যাপী ইউএসএআইডির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করতে হয়, তাহলে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন নিয়ে বিল পাস করতে হবে।
ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর বিদেশে সরকারি ব্যয় কমানোর নীতিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সেই নীতির অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা সহায়তা ব্যতীত বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অন্যান্য কার্যক্রম আপাতত তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।