জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরিক্ষায় অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গণ আমরন অনশনে বসেছে শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে ৯ জন শিক্ষার্থী অনশনে রয়েছেন, তবে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অনশনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, পোষ্য কোটা একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা, যা মেধার অবমূল্যায়ন ঘটিয়ে বারবার শামীম মোল্লাদের জন্ম দিচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশে এই বৈষম্যের কোনো স্থান নেই।
তারা আরও জানান, আবু সাঈদ রক্ত দিয়েছিল কোটার নামে হওয়া বৈষম্য দূর করতে। আমরা যদি জাবি থেকে এই অভিশাপ নির্মূল করতে না পারি, তবে সেটা তার আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান হবে। গণঅনশনের অংশগ্রহণকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, পোষ্য কোটার সম্পূর্ণ বাতিল নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও এই আন্দোলনে সংহতি জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
অনশনকারী নাজমুল ইসলাম বলেন, আজকের পোষ্যকোটা বাতিলের কর্মসূচি সম্পর্কে আমরা মোটামুটি সবাই জানি। অযৌক্তিক পোষ্য কোটার সম্পূর্ণ ইতি টানার সময় এটিই। আমরা এখানে সকলে একই মতাদর্শের নই। ভিন্নতা অবশ্যই আছে। কিন্তু আমরা সকলেই পোষ্য কোটার ভয়াবহতা দেখেছি এবং দেখছি। পোষ্য কোটা জন্ম দেয় অসংখ্য শামীম মোল্লার। পোষ্য কোটা বিলুপ্তির যে আন্দোলনে আমরা নেমেছি, এটি আমাদের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। কারণ আবু সাঈদ রক্ত দিয়েছিল কোটার নামে হওয়া বৈষম্য নিরসনের জন্য। যদি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই অভিশাপকে আমরা নির্মূল করতে না পারি তবে সেটা আবু সাঈদের রক্তের সাথে বেইমানি হবে।
আজ আমি নাজমুল ইসলাম অনশনে বসেছি এবং এই পোষ্য কোটা নামক অভিশাপ বাতিল করেই উঠবো ইনশাআল্লাহ। এই অযৌক্তিক পোষ্যকোটা বাতিলে আপনাদেরও অংশগ্রহণ কাম্য।